আজ--২৬ কার্তিক | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |সোমবার | হেমন্তকাল|

আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।

তো চলুন শুরু করা যাক...!

শুভ রাত্রি সবাইকে......!!

মাঝে মাঝে আমাদের সঙ্গে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যায় যে ঘটনার জন্য আমরা মোটেও প্রস্তুত থাকি না অনেক বেশি আশ্চর্য হয়ে যেতে হয়। গত কয়েকদিন আগে রাতে র বেলা অনেক বেশি আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিলাম যেটা আমি কখনো আশাই করিনি। মানুষ আসলে যখন কোন কিছু বা কোন ব্যাপার নিয়ে এক্সপেক্টেশন রাখে না বা থাকে না তখন যদি কিছু পেয়ে যায় তখন সত্যিই তার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে আর এটা আমি ঠিক তখনই বুঝতে পেরেছিলাম। এজন্য মাঝে মাঝে আমার মনে হয় কারো কাছ থেকে কখনোই কোন কিছু এক্সপেকটেশন করা উচিত না প্রয়োজনের থেকে বা যতটুকু পাবার যোগ্য ঠিক ততটুকুই প্রত্যাশা করা উচিত এর থেকে বেশি প্রত্যাশা করলে যখন ঠিক ততটুকুই পাওয়া হবে না তখন নিজের কাছে অনেক বেশি খারাপ লাগবে আর এই খারাপ লাগাটা আপনি কখনোই বর্ণনা করতে পারবেন না কাউকে বোঝাতে পারবেন না। এই আমাদের সকলেরই উচিত অন্যের থেকে প্রত্যাশা সবসময়ই প্রয়োজন এর থেকে কম রাখা উচিত যাতে করে নিজেকে সবসময় সুখী এবং খুশি রাখা যায়। যাই হোক, মোটামুটি ভাবে এক বড় ভাই বাসায় গিয়েছিল কয়েকদিন আগে যেহেতু অনেকদিন হলো বাসা থেকে এসেছি আর বাসায় ফেরা হয়নি যার কারণে বাসায় এই শীতের শুরুতেই অনেক মজাদার মজাদার পিঠা বানানো হচ্ছে কিন্তু ইচ্ছে থাকলেও আর আগের মত বাড়ি ফেরা হয়ে উঠছে না, পিঠাও খাওয়া হচ্ছে না।

বিশেষ করে আপনি এখন দেখতে পারবেন রাস্তার ধারে অনেকেই অনেক মজাদার মজাদার পিঠা বানিয়ে রাখছে তার মধ্যে মজাদার পিঠাগুলো হচ্ছে, ভাপা পিঠা তেলে ভাজি করা পিঠা পাটিসাপটা সহ অন্যান্য মজাদার সব পিঠার রেসিপি নিয়ে রাস্তার ধারে বসে গিয়েছে। আর এই শীতের সময় এই সকল পিঠা খেতে আসলেই অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে। কিছুদিনের মধ্যেই দেখতে পারবেন রাস্তার ধারের দোকানগুলোতে অনেক বেশি জ্যাম বেঁধে আছে কারণ সকলেই শীতের মৌসুমের পিঠা খেতে অনেক বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত কয়েকদিন আগে ভার্সিটিতে যাওয়ার পথে রাস্তার ধার থেকে তেলে ভাজি পিঠা খেয়েছিলাম অনেকদিন পরে তেলে ভাজি পিঠা খেয়ে এতটা বেশি সুস্বাদু লাগছিল যে আপনাদেরকে বলে বোঝাতে পারবো না। তেলে ভাজি এই পিঠার দাম যে খুব একটা বেশি সেটাও নয় মাত্র 10 টাকা পিস আমি প্রায় পাঁচ থেকে ছয় পিস পিঠা খেয়েছিলাম। যাই হোক সেখান থেকেই মূলত তেলে ভাজি পিঠার উপর অনেক বেশি লোভ জেগে উঠেছিল তাছাড়া ছোটবেলা থেকেই তেলে ভাজি পিঠা আমি অনেক বেশি পছন্দ করি তবে অবশ্যই সেটা গুড় দিয়ে তৈরি করতে হবে।

এক বড় ভাই বাসায় গিয়ে ফোন দিয়েছিল মূলত ফোন দিয়েছিল খোঁজখবর নেওয়ার জন্য কি করছি কেমন আছি এটা ওটা। অনেকটা সময় তার সঙ্গে কথা বলছিলাম কথা বলার এক পর্যায়ে বড় ভাইকে এই গল্প শোনালাম যে ভার্সিটিতে যাওয়ার পথে রাস্তার ধার থেকে আজকে তেলে ভাজি পিঠা খেলাম খুবই সুস্বাদু লাগলো তবে রাতের বেলা মন চাচ্ছিল সেই তেলে ভাজি পিঠা খেতে কিন্তু নিয়ে আসেনি রুমে। একথা শুনে ভাই আমাকে বলল তারও নাকি তেলে ভাজি পিঠা খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে এবং সেও অনেক বেশি পছন্দ করে। যাইহোক কথাটা এ পর্যন্তই আমাদের শেষ হয়ে গিয়েছিল এরপরে আর এই পিঠা নিয়ে তেমন কোন কথা হয়নি তবে আমরা অনেকটা সময় অনেক বিষয় নিয়ে গল্প করছিলাম। বড় ভাই বেশি দিনের ছুটি নিয়ে বাসায় যায়নি মাত্র তিন দিনের ছুটি নিয়ে গিয়েছিল যার কারণে বুঝতে পারছিলাম ভাই কয়েকদিনের মধ্যেই আবার ঢাকায় চলে আসবে এইসব ব্যাপার নিয়েই দুজন অনেকটা সময় গল্প করেছিলাম।

যাইহোক বড় ভাই যেদিন ঢাকায় আসবে সেদিন বিকেল বেলা আমাকে ফোন দিয়ে বলে আজ রাতে নাকি ঢাকায় আসবে। এটা জানার পরে বেশ ভালই লাগছিল তাকেও ফোনে বলে দিয়েছিলাম ভালোভাবে সাবধানে আসতে। এরপরে সে আমাকে বলল আগামীকাল সকালে তোমার সঙ্গে আমার দেখা হবে যথারীতি এসব কথা বলেই রাতের বেলা আর বেশিক্ষণ রাত না জেগেই ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম। খুব ভোরে ফোনের রিংটোনে ঘুম ভাঙ্গে ঘুম ভেঙে ফোনটা হাতে নিয়েই দেখি সেই বড় ভাই ফোন দিয়েছে তবে তখন বাজে সবেমাত্র ছটা। তার ফোন দেখে রীতিমতো অবাক হয়ে ঘুম ঘুম চোখে এই ফোনটা রিসিভ করলাম এরপরে বড় ভাই আমাকে বলল আমি তোমার বাসার নিচে, শুনে রীতিমতো অবাক হলাম এবং জিজ্ঞেস করলাম এত সকালে কেন কোন সমস্যা হয়েছে কিনা। এরপরে সে আমাকে বলে খুব দ্রুত বাসার নিচে আসো। এরপরে ঘুম ঘুম চোখ নিয়েই দরজাটা খুলে বাসার নিচে গিয়ে দেখি সে একটা মিষ্টির বক্স নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ততক্ষণে ঘুমটা কিছুটা কেটেছে, এরপরে আমি একটু মজা করে বললাম বাসায় গিয়ে বিয়ে-শাদী করে ফেলেছেন নাকি..?? সকাল সকাল মিষ্টি নিয়ে চলে আসছেন হাহাহা। এরপরে বড় ভাই আমাকে বলল উঠে ফ্রেশ হয়ে মিষ্টিগুলো খেয়ে নিও এই কথা বলে হাতে মিষ্টির প্যাকেট ধরিয়ে দিয়ে সে আবার চলে গেল, তাকে আমি রুমে যাওয়ার জন্য অনেক বার বলেছিলাম কিন্তু সে রুমে আসেনি।

যাইহোক আমি তখন অবধি জানতাম যে এই মিষ্টির প্যাকেট এর মধ্যে মিষ্টিই আছে অন্য কিছু নেই। রুমে এসে সেটা রেখে ফ্রেশ হয়ে যে না মিষ্টির প্যাকেট খুলেছি তখনই আমি দেখতে পারলাম এখানে রাখা হয়েছে আমার খুব পছন্দের এবং প্রিয় পিঠা-তেলে ভাজি পিঠা, এরপরে রাখা হয়েছে তালের বড়া এরপরে রাখা হয়েছে তেলে ভাজি ফুল পিঠা। তিনটাই আমার অনেক বেশি পছন্দের পিঠা আর এই তিনটা একত্রে দেখে লো বার সামলাতে পারছিলাম না সকাল সকাল পিঠা খাওয়া শুরু করে দিলাম আর সাথে সাথেই সেই বড় ভাইকে ফোন দিয়ে ধন্যবাদ জানিয়ে দিলাম। এরপরে বড় ভাই বলল যে তোমার নাকি রাস্তার ধারের পিঠা খেয়ে পেট ভরে নি যার কারণেই বাসা থেকে বানিয়ে এনেছি শুধু তোমার জন্য, আমি আমার জন্য কিছু রেখেছি বাকিটা তোমাকে দিয়ে আসলাম। সত্যি বলতে তখন অনেক বেশি ভালো লাগছিল কারণ এরকম ভাবেও যে কেউ আমার কথা মনে রাখে সেটা জানা ছিল না।

মাঝে মাঝে এরকম ছোট ছোট সারপ্রাইজ পেতে সত্যিই অনেক বেশি ভালো লাগে। আর সেই মানুষগুলোকে অনেক বেশি আপন মনে হয় যখন তারা এরকম ছোট ছোট কথাকে প্রাধান্য দেয়। যাইহোক শীতে শুরুতেই তিন রকমের পিঠা খেয়ে নিজের কাছে অনেক বেশি ভালো লাগছিল, যাইহোক এটাই ছিল আমার আজকের সংক্ষিপ্ত পোস্ট আশা করছি আমার এই পোস্ট আপনাদের সকলের কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আজ আর নাই এখানেই শেষ করছি, সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে...!!!

আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা

আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নেম @jibon47। আমি মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে অনেক বেশি ভালোবাসি। আব্বু আম্মু আর ছোট বোনকে নিয়েই আমার পরিবার। এই তিনজন মানুষকে কেন্দ্র করেই আমার পৃথিবী।একসাথে সবাইকে খুশি করা তো সম্ভব নয়, তারপরও আমি চেষ্টা করি পরিবারের সবাইকে খুশি রাখার। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে।আমি বর্তমানে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্ট থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং লেখাপড়া করছি। আমি গান গাইতে, কবিতা লিখতে, এবং ভাই ব্রাদারের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। সত্যি বলতে আমি প্রচন্ড রকমের অভিমানী, হতে পারে এটা আমার একটা বদ অভ্যাস। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব,"আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, পরিশ্রম সফলতার চাবিকাঠি।

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy