আজ--১৫ কার্তিক | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |বৃহস্পতিবার | হেমন্তকাল |
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
- রাত এখন ছিনতাইকারী দখলে।
- আজ--১৫ইকার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
- বৃহস্পতিবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ দুপুর সবাইকে......!!
বর্তমান সময়টা হঠাৎ করেই কেমন জানি ভিন্ন রকমের হয়ে গিয়েছে। আগের দিনগুলোতে মানুষ হয়তো বা এতটা ভয়ভীতি নিয়ে রাস্তায় চলাফেরা করেনি তবে বর্তমান সময়ে রাস্তায় চলাফেরা করাটা অনেকটাই কষ্টসাধ্য এবং ভয়ংকর একটা ব্যাপার হয়ে উঠেছে। জানিনা এটা কি কারণে হয়েছে তবে বর্তমানে সময়ে পেপার পত্রিকায় এবং অনলাইনে অনেক জায়গাতেই শুনছি সকল জায়গাতেই একই অবস্থা বিশেষ করে দিনের বেলাতে খুব একটা বেশি সমস্যা হয় না সূর্য যখন পশ্চিম আকাশে হেলে গিয়ে সন্ধ্যা নেমে আসে ঠিক তখনই রাতের নরপশুরা মাথা জাগ্রত করে অগ্রসর হয়। দিনের বেলাতে খুব একটা বেশি রাস্তাঘাটে চলাফেরা করতে খুব একটা সমস্যাই হয় না কারণ তখন মানুষের আনাগোনা থাকে কিন্তু সন্দেহ হবার সঙ্গে সঙ্গেই যেন সবকিছু বদলে যায়। কিছু কিছু মানুষ আছে যারা মানুষ রুপে মানুষের সঙ্গে মিশে তার আচার-আচরণ কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করে এবং সুযোগ বুঝেই তার কাছ থেকে তার প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো আত্মসাৎ করার চেষ্টা করে যেটাকে আমরা ছিনতাইকারি অথবা ডাকাত বলে থাকি। অনেকদিন ধরেই শুনছিলাম এদিকে ওদিকে ছিনতাইকারীর দেখা মিলেছে অনেক মানুষের অনেক কিছু কেড়ে নিয়েছে তবে এরকম একটা ঘটনা যে আমাদের ডিপার্টমেন্টের এক বড় ভাইয়ের সঙ্গে ঘটে যাবে সেটা বুঝতে পারিনি।
চাকুরী সূত্রে এখন বর্তমান থাকা হচ্ছে বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলার কোন একটা থানার আশেপাশে। এখানে বেশ কদিন ধরেই শুনছিলাম যে আশেপাশে ছিনতাইকারীর তীব্রতা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। যার কারণে ফ্যাক্টরি থেকে সিনিয়র ম্যানেজার একদিন আমাকে ডেকে নিয়ে বলে যেহেতু তুমি ফ্যাক্টরির মধ্যে একা একাই থাকো রাতের বেলা বাহিরে যাওয়ার কোন দরকার নেই খুব বেশি যদি বাহিরে যাওয়ার প্রয়োজন হয় তাহলে ফ্যাক্টরির গেট থেকে একটা সিকিউরিটি সাথে নিয়ে বাহিরে যাবে তবে বেশিক্ষণ বাহিরে থাকবে না। আমি সিনিয়র ম্যানেজারকে এটা বলে আশ্বস্ত করেছিলাম যে, আমি রাত্রি সাড়ে আটটার পরে আর বাহিরে খুব একটা বেশি যায় না রুমে চলে আসি। স্যার আমাকে এটাও জানিয়েছিল যে বর্তমান এলাকায় ছিনতাইকারী অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়ে গিয়েছে বাহিরে একা একা পেলেই কাছে যা পাচ্ছে সেটাই নিয়ে যাচ্ছে এটা শোনার পরে আমি অনেকটাই সতর্ক হয়ে গিয়েছিলাম বাহিরে সেই প্রথম থেকেই যাওয়া খুবই কম হয় এখন ও যে আগের মত যাওয়া হচ্ছে না সেটা বলব না আগের মত সবকিছু চলছে, তবে এখন পর্যন্ত তেমন কোন সমস্যার সম্মুখীন আমি হইনি। গতকাল ঘুম থেকে উঠে অফিসে গিয়েই একটা কথা শুনে রীতিমতো চমকে উঠেছিলাম।
ঘটনাটা ঘটে গিয়েছে আমার সেকশনের এক বড় ভাইয়ের সঙ্গে, ফ্যাক্টরিতে অফিসে প্রবেশ করার পরে এরকম একটা কথা শোনার পরে আমি সোজাসুজি সেই ভাইয়ের কাছে চলে যাই এবং ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করে কিভাবে কি হয়েছে সেটা জানতে চাই। মূলত তার ডিউটি রাত আটটা পর্যন্ত ফ্যাক্টরিতে কোন একটা কাজ থাকার কারণে তার বাসায় ফিরতে ফিরতে প্রায় সাড়ে নয়টা বেজে গিয়েছিল। সাড়ে নয়টা বাজার সঙ্গে সঙ্গেই যে রাস্তায় মানুষজন একদমই থাকে না তা কিন্তু নয় মানুষজন ছিল সে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল, মেইন রাস্তা ধরে হেঁটে হেঁটে তার বাসায় যেতে 10 থেকে 15 মিনিট সময় লাগে। মেইন রাস্তা শেষ হবার সঙ্গে সঙ্গেই সামনে একটা গলি সেই গলি দিয়ে আর দু থেকে তিন মিনিটের পর। ভাই সেই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল হঠাৎ করেই গলির ভেতর থেকে তিন চার জন মানুষ এসে তার সামনে দাঁড়ায়।
যখনই সেই বড় ভাই ৩ থেকে ৪ জন মানুষের দেখা পেয়েছে তখনই সে মোটামুটি ভাবে আন্দাজ করতে পেরেছে সে হয়তো বা ছিনতাইকারীর কবলে পড়েছে। সে মনে মনে ভয় পাচ্ছিল কিন্তু সে নিজেকে শক্ত রেখেছিল এবং সে কোন কিছু তোয়াক্কা না করেই সামনের দিকে যাচ্ছিল হঠাৎ করেই তিন থেকে চার জন লোক তার সামনে এসে হাতে ধারালো কিছু চুরি চাপাতি সহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক যে জিনিস গুলো লাগে সেগুলো দিয়ে তাকে ভয় দেখাচ্ছিল। ভয় দেখানোর একপর্যায়ে তাকে বলা হয় কাছে যা যা আছে সবকিছু দিয়ে দিতে যদিও সে প্রথম অবস্থায় দিতে রাজি হয়নি কিন্তু পরবর্তীতে তারা তার কাছ থেকে জোর করে সবকিছু কেড়ে নিয়েছে। বড় ভাইয়ের কাছে ছিল দুটো ফোন আর ওয়ালেটে কিছু টাকা ছিল সেই সাথে হাতে একটা স্বর্ণের রিং ছিল। মোটামুটি ভাবে বুঝতেই পারছেন অনেক টাকার জিনিস তার সঙ্গে ছিল শুধুমাত্র ছোট্ট যে বাটুন মোবাইলটা ছিল সেটা তাকে দিয়ে দিয়েছে আর বড় এন্ড্রয়েড ফোন সহ তার হাতের ফোন স্বর্ণের রিং কেড়ে নিয়েছে। এরপরে আমি বড় ভাইকে জিজ্ঞেস করি এগুলো নেওয়ার পরে আপনার কোন ক্ষতি করার চেষ্টা করেছে বা আপনার গায়ে হাত তুলেছে নাকি,মারধর করছে নাকি এরকম কিছু..? এরপরে বড় ভাই আমাকে জানায় প্রথমে তো আমি এগুলো দিতে চাইনি, তখন তারা আমাকে অনেক ভয় দেখিয়েছে।
যেহেতু গলির মধ্যে ঢুকে পড়েছিলাম আর আমার সঙ্গে কোনো মানুষ ছিল না আর তারা তিন থেকে চার জন ছিল তাই আমি আর বেশি কিছু না বলে আমার কাছে যা ছিল সব তাদেরকে দিয়ে দিয়েছি। যদি আমি তাদেরকে এগুলো না দিতাম হয়তোবা তারা আমার কোন একটা ক্ষতি করে বসতো। যখন আমি ভাইয়ের কাছ থেকে এরকম একটা ঘটনা শুনলাম তখন আমার নিজের কাছে অনেক বেশি খারাপ লেগেছে খারাপ লাগার পাশাপাশি এটা ভেবে আরও বেশি খারাপ লাগছে যে ভাইয়ের হাতে যেই রিংটা ছিল সেটা নাকি তার অনেক বেশি পছন্দের একটা রিং সে আমাকে এটাই বলছে যে ফোন এবং টাকা পয়সা নিয়ে নিয়েছে তাতে আমার কোন দুঃখ নেই কিন্তু আমার হাতের যে রিং টা নিয়ে নিয়েছে সেটার জন্য আমি সত্যিই অনেক বেশি কষ্ট পেয়েছি। বুঝতে পারছিলাম হয়তোবা এটা ভাইয়ের খুব প্রিয় মানুষ তাকে গিফট করেছিল।যাইহোক, এসব কথা বলতে বলতেই ভাই আমাকে বলে বাহিরে একা একা আর বের হবে না,খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাওয়ার দরকার নেই। দেশের অবস্থা খুব একটা ভালো না।
প্রতি বলতে এরকম একটা পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে দেশ অতিক্রম করবে সেটা বুঝতে পারিনি কখনোই। দেশের কোথায় কি হচ্ছে সেটা তো আর জানিনা তবে আমি যেখানে থাকি সেখানেই এরকম একটা ঘটনা ঘটে গিয়েছে জেনে নিজের কাছে অনেক বেশি খারাপ লাগছিল সেই সাথে এটা ভেবেও খারাপ লাগছিল যে সন্দেহ হওয়ার পরেই সেই মানুষগুলো মাথা চারা দিয়ে জেগে ওঠে যারা কিনা মানুষকে নিঃস্ব করায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এটা আসলেই অনেক বেশি দুঃখজনক জানিনা তবে এরকম পরিস্থিতি আমাদের সামনে থেকে দূর হবে। আমি আসলে একটা জিনিস কোনভাবেই বুঝতে পারি না যে কেন মানুষ চিন্তাই করে এর থেকে কাজকর্ম করলে বেশি উপার্জন করা সম্ভব বলে আমার বিশ্বাস। যাই হোক আমি আপনাদের একটা কথাই বলতে চাই সেটা হচ্ছে যে নিজের জায়গা থেকে সবসময়ই সুরক্ষায় থাকার চেষ্টা করুন। সকল ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করে বাহিরে বের হবেন।
বর্তমান পরিস্থিতি খুব একটা ভালো না যেহেতু পরিস্থিতি খুব একটা ভালো না তাই আমাদের সকলেরই সতর্ক থাকা উচিত। সতর্ক থাকলে হয়তো বা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাটা থাকবে খুবই কম। যাই হোক এটাই ছিল আমার আজকের পোস্ট আশা করছি আমার এই পোস্ট আপনাদের সকলের অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আজ আর নয় এখানেই শেষ করছি, সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে...!!
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা
বিভাগ | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
বিষয় | রাত এখন ছিনতাইকারী দখলে |
পোস্ট এর কারিগর | @jibon47 |
অবস্থান | [সংযুক্তি]source |
আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নেম @jibon47। আমি মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে অনেক বেশি ভালোবাসি। আব্বু আম্মু আর ছোট বোনকে নিয়েই আমার পরিবার। এই তিনজন মানুষকে কেন্দ্র করেই আমার পৃথিবী।একসাথে সবাইকে খুশি করা তো সম্ভব নয়, তারপরও আমি চেষ্টা করি পরিবারের সবাইকে খুশি রাখার। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে।আমি বর্তমানে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্ট থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং লেখাপড়া করছি। আমি গান গাইতে, কবিতা লিখতে, এবং ভাই ব্রাদারের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। সত্যি বলতে আমি প্রচন্ড রকমের অভিমানী, হতে পারে এটা আমার একটা বদ অভ্যাস। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব,"আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, পরিশ্রম সফলতার চাবিকাঠি।
@jibon47
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে ভাই এখন বাইরে বের হলে বেশ আতঙ্কে থাকি নিজের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে। ছিনতাইকারী সংখ্যা এখন অধিক বেড়ে গেছে। সব সময় আমাদের আতঙ্ক থাকতে হয়। ছিনতাইকারীর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমাদেরকে সবসময় খুবই সতর্ক থাকতে হবে। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit