"পিতা বনাম পূত্রগং"পর্বঃ--৮১//নাটক রিভিউ

in hive-129948 •  4 months ago 

আজ--০৫ কার্তিক | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সোমবার | হেমন্তকাল |



আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।


আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি নাটক রিভিউ উপস্থাপন করবো। নাটকের নাম পিতা বনাম পূত্রগং।নাটকটা একটি ধারাবাহিক নাটক,গ্রামাঞ্চলের মধ্যে শুটিং এবং গ্রাম্য ভাষা ব্যবহার করার কারণে নাকটটা দেখতে সব থেকে বেশি ভালো লাগে। আশা করছি আপনাদের সবার ভালো লাগবে।



  • প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
  • নাটক রিভিউ (পিতা বনাম পূত্রগং--৮১)
  • আজ--০৫কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  • সোমবার


তো চলুন শুরু করা যাক...!


শুভ রাত্রি সবাইকে......!!


IMG_20241020_132359.jpg

ছবিঃ- ইউটিউব থেকে স্কিনশট নেওয়া।

source

নাটকের কিছু তথ্য


নামপিতা বনাম পূত্রগং ।
পরিচালনাসকাল আহমেদ।
প্রযোজককাজী রিটন
রচনাবৃন্দাবন দাশ
গল্পরমজান আলী
আবহ সংগীতঅধ্যায়ন ধাড়া (কলকাতা)মেহেদি হাসান তামজিদ
চিত্রনাট্যশামসুল আলম লেলিন।
অভিনয়েমাসুম বাসার,আজিজুল হক,নাদিয়া আহমেদ,শাহনাজ খুশি,প্রাণ রায়,আরফান আহম্মেদ,মৌসুমি হামিদ,শিরিন আলম,ইকবাল হোসেন,আশরাফুল আর্শিষ,শেলি আহসান,সৌম,সেতু,তৌহিদুল ইসলাম তায়েব এবং চঞ্চল চৌধুরী,সহ আরও অনেকে ।
দৈর্ঘ্য১৯ মিনিট ৫৯ সেকেন্ড
পরিবেশনায়Maasranga TV Official
মুক্তির তারিখ২৩-শ নভেম্বর, ২০২২ ইং
ধরনসামাজিক,বাংলা ড্রামা সিরিয়াল
পর্ব৮১
ভাষাবাংলা।
দেশবাংলাদেশ


নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনীঃ-



অনেকদিন পরে আমি আপনাদের মাঝে পিতা বনাম পুত্রগং নাটকের ৮১ পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি। আপনারা ইতিমধ্যে সকলেই জেনে গিয়েছেন যে বাসার সাহেবের ছোট স্ত্রী হঠাৎ করেই বাসা থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে সকলেই তাকে অনেক খোঁজাখুজি করছে কিন্তু তাকে কোনভাবেই পাওয়া যাচ্ছে না এদিকে হঠাৎ করেই বাসায় পুলিশ এসেছে আর পুলিশ আশা দেখে অনেকেই খুবই ভয় পাচ্ছে বিশেষ করে বাসার সাহেবের বোন এবং তার মেয়ে সেই সাথে সকল সন্তানেরা। যাই হোক যেহেতু বাসায় পুলিশ এসে গিয়েছে আর বাসার সাহেবের বোন এবং তার মেয়ে বাসার সাহেবের জামাই কে বলছে পুলিশের সাথে কথা বলতে কিন্তু বাসার সাহেবের জামাই কোন ভাবেই পুলিশের সঙ্গে কথা বলবে না বলে মন স্থির করেছে অবশেষে তারা দুজন তাকে অনেক চেষ্টা করে পুলিশের কাছে পাঠাতে সক্ষম হয়। মূলত বাসার সাহেবের জামাই খুব করেই চাচ্ছে সকলেই যেন তাকে অনেক বেশি রিকোয়েস্ট করে আর রিকোয়েস্ট করার ফলেই সে সেখানে যাবে যাতে করে সকলের কাছে সে একটু উচ্চ মর্যাদা পায়।

Screenshot_2024-10-20-13-28-17-21_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

Screenshot_2024-10-20-13-27-59-81_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

অবশেষে বাসার সাহেবের জামাই পুলিশের সামনে গিয়ে কথা বলতে রাজি হয় কিন্তু তার আগেই পুলিশের কাছে গিয়ে চঞ্চল চৌধুরী এবং অন্যান্য বাসার সাহেবের সন্তানেরা পুলিশের কাছে গিয়ে কথা বলে। কিন্তু চঞ্চল চৌধুরী পুলিশের সঙ্গে অনেক রকম ভাবে কথা বলছিল মূলত এখানে গ্রামের কিছু দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে নাটকটা দেখে গ্রামের অনেক স্মৃতি মনে পড়ে যাচ্ছিল। যেমন গ্রামগঞ্জে কোথাও যদি পুলিশ যায় তাহলে গ্রামের মানুষেরা সবসময়ই পুলিশকে খাওয়াতে অনেক বেশি ব্যস্ত হয়ে যায় যেমন ডাবের পানি চা বিস্কিট সহ অন্যান্য খাবার খাওয়ানোর জন্য অনেক বেশি ব্যাকুল হয়ে পড়ে চঞ্চল চৌধুরীও ঠিক তেমনি ভাবে পুলিশকে অনেক রকম ভাবেই অফার করছিল কিন্তু পুলিশ কোন ভাবেই তার কোন অফার গ্রহণ করছিল না সে শুধু বারবার তার বাবার সঙ্গে দেখা করতে চাচ্ছিল। কিন্তু এদিকে তো চঞ্চল চৌধুরী তার বাবাকে অনেক আগেই বাসা থেকে বের করে দিয়েছে আর এ কথা সে কাউকেই বলেনি সে শুধু এটাই বলছে যে তার বাবা বাসায় নেই হয়তো বা থানাতে গিয়েছে।

অবশেষে সেখানে গিয়ে বাসার সাহেবের জামাই হাজির হয়। এবং পুলিশের সঙ্গে চঞ্চল চৌধুরী বাসার সাহেবের জামাইকে পরিচয় করিয়ে দেয় কিন্তু পুলিশ তার কাছে এটা জানতে চায় আমি কারো পরিচয় নিতে এখানে আসিনি সে শুধুমাত্র বারবারই বলছে যে বাসার সাহেবকে তার সামনে হাজির করা হোক কিন্তু চঞ্চল চৌধুরী কোনভাবে সেটা ম্যানেজ করছে মূলত চঞ্চল চৌধুরী একটু চালাক চতুর এটা আপনারা অনেকেই জানেন যার কারণে বাসার সাহেবের অন্যান্য সন্তানেরা যেখানে ভয় পাচ্ছে পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে সেখানে, চঞ্চল চৌধুরী পুলিশের সঙ্গে একাই কথা বলছে এবং সবকিছু সে একাই ম্যানেজ করছে। ব্যাপারটা আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছে।

Screenshot_2024-10-20-13-33-53-46_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

Screenshot_2024-10-20-13-28-58-64_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

Screenshot_2024-10-20-13-28-54-01_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

Screenshot_2024-10-20-13-30-52-34_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

Screenshot_2024-10-20-13-30-59-69_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

কিন্তু সব থেকে আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে পুলিশ যখন সকলের সামনে এটা বলে যে কোন এক স্টেশনে একটা মহিলার লাশ পাওয়া গেছে এবং তার লাশের তদন্ত করতে গিয়ে বাসার সাহেবের নাম খুঁজে পাওয়া গেছে। আর সেটা দেখে খুঁজতে খুঁজতেই আমরা আপনাদের বাসায় এসে পৌঁছেছি যখনই বাসার সাহেবের জামাই এবং তার সন্তানেরা এই কথাটা শুনে তখন তারা রীতিমতো অবাক হয়ে যায়। এতক্ষণে তারা বুঝতে পেরেছে যে বাসার সাহেবের ছোট স্ত্রী অর্থাৎ তাদের ছোট মা মারা গিয়েছে বাসার সাহেবের প্রত্যেকটা সন্তান অনেক বেশি অবাক হয় সেই সাথে ভয়ও পাচ্ছিল বটে।

এর পরের অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে নাদিয়া দৌড়ে দৌড়ে হঠাৎ করেই শাহনাজ খুশির কাছে গিয়ে হাজির হয় এবং তার কাছে যখন এই কথাটা জানায় যে বাসার সাহেবের ছোট স্ত্রী রেললাইনে মৃত অবস্থায় পড়েছিল এই কথা শুনে শাহনাজ খুশি আরো বেশি অবাক হয় এবং সে এটা কোনভাবেই মেনে নিতে পারছিল না যে বাসার সাহেবের স্ত্রী মারা গিয়েছে। সত্যি বলতে আমিও তখন বিশ্বাস করতে পারছিলাম না যে এরকম একটা ঘটনা ঘটে যাবে তবে এখন পর্যন্ত এটা কতটুকু সত্য সেটা বোঝা যাচ্ছে না। আর এদিকে বাসার সাহেবের ছোট ছেলে পুলিশ আশা দেখেই দৌড়ে পালিয়ে গিয়েছে বাসা থেকে। এই ব্যাপারটা দেখে আমি অনেকটাই হেসেছি কারণ গ্রামগঞ্জে দেখেছি যখন পুলিশ আসে তখন অনেকেই দৌড়ে পালিয়ে যায় বাসা থেকে একদম বাস্তবতার সঙ্গে মিলে গিয়েছে।

Screenshot_2024-10-20-13-31-31-31_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

Screenshot_2024-10-20-13-31-29-11_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

Screenshot_2024-10-20-13-32-38-94_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

Screenshot_2024-10-20-13-32-45-37_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

Screenshot_2024-10-20-13-32-29-25_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

এর পরের অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, পুলিশ পুরো বাড়ি তল্লাশি করে যখন আর বাসার সাহেবকে খুঁজে পায় না তখন তারা একটা গাছের নিচে গিয়ে বসে এবং তার প্রত্যেকটা সন্তানের নাম লিখে নিয়ে যায়। যদিও কেউই নাম বলতে চাচ্ছিল না তবে পরবর্তীতে চঞ্চল চৌধুরী সকলের নাম একে একে করে বলে দিয়েছে আর এটা দেখে বাসার সাহেবের বড় সন্তানেরা অনেকটাই ভয় পেয়েছে মূলত এখানে চঞ্চল চৌধুরী কোনরকম ভয় পাচ্ছে না চঞ্চল চৌধুরী বাদে সকলেই পুলিশ দেখে অনেক বেশি ভয় পাচ্ছে, তারা ভাবছে পুলিশ হয়তো বা তাদের সবাইকে ধরে নিয়ে যাবে।

যেহেতু শাহনাজ খুশি ইতোমধ্যেই জানতে পেরেছে যে বাসার সাহেবের বাসায় পুলিশ এসেছে যার কারনে সে বাসার সাহেবের বাসায় যাচ্ছিল পথিমধ্যেই বাসার সাহেবের মেজো ছেলের সঙ্গে তার দেখা হয় যেটা কিনা শাহনাজ খুশির ক্লাস ফ্রেন্ড। সে তাকে দেখে রীতিমতো অবাক হয় এবং তার কাছে জিজ্ঞেস করে যে বাসায় পুলিশ এসেছে এ ব্যাপারে সে জানে কিনা কিন্তু এ ব্যাপারে বাশার সাহেবের মেজো ছেলে জানে না এবং বাসায় পুলিশ এসেছে এটা জানতে পেরে সে অনেকটাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং সে বলে আমি তাহলে আর এখন বাসায় যাব না মূলত আমি আপনাদের আগেই বলেছি বাসার সাহেবের প্রত্যেকটা সন্তানই পুলিশ এর কথা শুনে অনেক বেশি ভয় পাচ্ছে। এবং এটাও পরিলক্ষিত করা যাচ্ছে যে যদি পুলিশ এসে তার বাবাকে ধরে নিয়ে যায় তাতে কোন দুঃখ নেই কিন্তু তাদের ধরে নিয়ে গেলে তাদের অনেক বড় ধরনের সমস্যা। বাবার দুঃখে আসলেই সন্তানেরা দুঃখী নয় সেটাই বোঝা যাচ্ছে।

Screenshot_2024-10-20-13-34-04-22_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

Screenshot_2024-10-20-13-34-40-93_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

Screenshot_2024-10-20-13-33-53-46_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

Screenshot_2024-10-20-13-36-24-16_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

Screenshot_2024-10-20-13-36-41-73_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

যাইহোক পুলিশ তাদেরকে অনেক রকম ভাবেই শাসিয়ে যায় এবং এটাও বলে যায় যে পরবর্তীতে আবার যখন বাসায় আসবো তখন যদি বাসার সাহেব বাসায় না থাকে তাহলে আপনাদের সবাইকে ধরে নিয়ে যাবে। এদিকে বাসার সাহেবের মেয়ে এবং তার বোন অনেক বেশি চিন্তিত কারণ তারা এখন পর্যন্ত জানে না যে পুলিশের সঙ্গে বাসার সাহেবের জামাই এবং তার সন্তানেরা কি কথা বলছে। হঠাৎ করেই সেখানে বাসার সাহেবের জামাই এসে হাজির হয় এবং তাদেরকে জানাই সে কোন রকম ভাবে পুলিশের সঙ্গে কথা বলে তাকে ফিরিয়ে দিয়েছে কিন্তু এটা সম্পূর্ণই মিথ্যে কথা ছিল সে কোন কথা বলেনি এবং সে ওই রকম ভাবে পুলিশকে ম্যানেজ করেনি পুরো ব্যাপারটা হ্যান্ডেলিং করেছে চঞ্চল চৌধুরী। মূলত সে তার বউ এবং ফুপুর কাছে নিজেকে অনেক বেশি বড় দেখাচ্ছে কিন্তু বাস্তবিকভাবে সে আসলেই একজন ভন্ড মিথ্যে প্রতারক।

Screenshot_2024-10-20-13-40-23-44_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

Screenshot_2024-10-20-13-41-00-63_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

আমাদের আশেপাশে দেখবেন এমন কিছু মানুষ আছে যে মানুষগুলো যখন কেউ খুব বেশি বিপদে তখন তারা সেখানে থাকে ঠিকই কিন্তু সে বিপদ থেকে তাকে কোনরকম ভাবে উদ্ধার করার চেষ্টা করে না। কিন্তু যখন কেউ কোন কিছুর ব্যাপারে জিজ্ঞেস করে তখন সে নিজেকে অনেক বড় করে দেখায় এবং এটাও দেখানোর চেষ্টা করে যে তার মাধ্যমেই পুরো ব্যাপারটা সমাধান করা হয়েছে কিন্তু বাস্তবিক অর্থে তার আসলে কোন ভূমিকা নেই, এদিকে বাসার সাহেবের জামাই ঠিক তেমনি তার কোন ভূমিকা নেই এবং সে কোন কথাও বলেনি পুলিশের সঙ্গে সম্পূর্ণ ব্যাপারটা চঞ্চল চৌধুরী নিজের মত করে ম্যানেজ করেছে কিন্তু সে তার বউ এবং ফুপুর কাছে গিয়ে নিজেকে বড় প্রমাণ করছে এটা আমার কাছে খুব একটা বেশি ভালো লাগে।

যাই হোক দেখা যাক পরবর্তী পর্ব কেমন হয় তবে যেহেতু এ পর্বে জানতে পেরেছি বাসার সাহেবের দ্বিতীয় স্ত্রী খুন হয়েছে তার মানে পরবর্তী পর্বটা আরো বেশি জমজমাট হবে। এটাই ছিল আমার আজকের পিতা বনাম পুত্রগং নাটকের রিভিউ আশা করছি আপনাদের সকলের কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আজ আর নয় এখানেই শেষ করছি, সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে...!!!



শিক্ষণীয় দিক-


পিতা বনাম পুত্রগণ নাটকটি মূলত একদম বাস্তবতা অবলম্বনে নির্মিত করা হয়েছে। ‌ অনেক আগে গ্রাম অঞ্চলের লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে পিতা মাতারা তাদের সন্তানদেরকে বিয়ে দিতে মোটেও চাইত না। মূলত তারা বিয়ে দিতে চাইতো না কারণ তারা ভাবতে হয়তো অন্য ঘরের মেয়েরা সংসারে আসলে তারা সংসারটা নষ্ট করে দেবে বা তাদের ছেলেরা তাদেরকে ছেড়ে দিয়ে চলে যাবে। কিন্তু ছেলেদেরকে বিয়ে না দিলে তারা যে কতটা উতোলা হয়ে পড়ে সেটা এই নাটকটা দেখলে বোঝা যায়। নাটকের মধ্যে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বিয়ে করার জন্য বাসার সাহেবের পাঁচ সন্তান খুবই উৎফুল্ল কিন্তু বাসার সাথে তাদেরকে বিয়ে দিচ্ছে না। মূলত এই নাটকের মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে যে, সন্তানদেরকে পর্যাপ্ত বয়সে বিয়ে না দিলে ভবিষ্যতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।


ব্যক্তিগত মতামত-


প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই সকাল আহমেদ স্যারকে এত সুন্দর একটি নাটক আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। পিতা বনাম পুত্রবাগ নাটকের মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু জানতে পারছি এবং শিখছি। আমার মনে হয় এটা একটা বাস্তবধর্মী নাটক যেটা কিনা বর্তমান সময়ের সঙ্গেও কিছুটা মিল রয়েছে। বর্তমান সমাজের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে এমন অনেক পরিবার রয়েছে যারা কিনা সন্তানদেরকে দিয়ে দেয় না কিন্তু তার সন্তানেরা বাবা মার কাছে বলতেও পারে না যে তারা বিয়ে করবে। এটাই মূলত নাটকের মূল বিষয়বস্তু। আমি মনে করি এই নাটকটি সকল পিতা-মাতার দেখা উচিত এতে করে তারা এই নাটকের মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারবে।

ব্যক্তিগত রেটিং-


৯/১০


source

সবগুলো স্ক্রিনশট এখান থেকে নেয়া


সমাপ্ত


আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা

বিবরণ
বিভাগনাটক রিভিউ
বিষয়পিতা বনাম পূত্রগং"পর্বঃ-৮১
পোস্ট এর কারিগর@jibon47
অবস্থান[সংযুক্তি]source


এটাই আমি..!!

IMG_5290-01.jpeg

আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নেম @jibon47। আমি মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে অনেক বেশি ভালোবাসি। আব্বু আম্মু আর ছোট বোনকে নিয়েই আমার পরিবার। এই তিনজন মানুষকে কেন্দ্র করেই আমার পৃথিবী।একসাথে সবাইকে খুশি করা তো সম্ভব নয়, তারপরও আমি চেষ্টা করি পরিবারের সবাইকে খুশি রাখার। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে।আমি বর্তমানে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্ট থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং লেখাপড়া করছি। আমি গান গাইতে, কবিতা লিখতে, এবং ভাই ব্রাদারের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। সত্যি বলতে আমি প্রচন্ড রকমের অভিমানী, হতে পারে এটা আমার একটা বদ অভ্যাস। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব,"আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, পরিশ্রম সফলতার চাবিকাঠি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@jibon47



VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

আমি সবসময় চেষ্টা করি সুন্দর সুন্দর নাটকগুলোর রিভিউ পড়ার জন্য। সংক্ষেপে রিভিউর মাধ্যমে নাটকের কাহিনীটা জানতে আমার কাছে অসম্ভব ভালো লাগে। আমি মাঝে মাঝেই সময় পেলে নাটক দেখি। এরকম নাটক গুলো আমার অনেক বেশি দেখা হয়। এই নাটকটার অনেক পর্বের রিভিউ আপনার মাধ্যমে দেখেছিলাম। আর তখন ভেবেছিলাম নাটকটা সম্পূর্ণ দেখবো। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে এখনো দেখা হয়নি। এখন রিভিউ পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো।

দেখতে দেখতে পিতা বনাম পুত্র গং নাটকের ৮১ পর্ব শেষ হয়ে গেলো। আপনার এই নাটকের বেশিরভাগ পর্বের রিভিউ আমি পড়ার জন্য চেষ্টা করেছি। নাটকের কাহিনীটা আমার অনেক ভালো লাগে। এই পর্ব পড়ে বুঝতে পারলাম পরবর্তী পর্ব অনেক বেশি জমজমাট হতে চলেছে। তাই আমার তো এখন আর তর সইছে না পরবর্তী পর্বের রিভিউ পড়ার জন্য। আশা করছি খুব শীঘ্রই পরবর্তী পর্বের রিভিউটা নিয়ে হাজির হবেন।