বিলের মাঝে নৌকা বাইচ দেখার অনুভূতি

in hive-129948 •  2 months ago 

আজ--১৬ আশ্বিন | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |মঙ্গলবার | শরৎকাল|



আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।


আজ আমি আপনাদের মাঝে বাসায় গিয়ে নৌকা বাইচ মেলা দেখার সুন্দর মুহূর্ত এবং অনুভূতি শেয়ার করবো,আশা করছি আমার এই পোস্ট আপনাদের সবার ভালো লাগবে।



  • প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
  • বিলের মাঝে নৌকা বাইচ দেখার অনুভূতি
  • আজ--১৬আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  • মঙ্গলবার


তো চলুন শুরু করা যাক...!


শুভ রাত্রি সবাইকে......!!


Picsart_24-09-30_14-59-40-972.jpg

কভার ফটো তৈরিতে--@jibon47



আপনারা অনেকেই জানেন যে কয়েকদিন আগে আমি আপনাদের মাঝে একটা পোস্ট শেয়ার করেছিলাম পদ্মবিল নিয়ে। যদিও আমাদের খুব ইচ্ছে ছিল যে আমরা পদ্মবিলে গিয়ে নৌকা নিয়ে ঘোরাঘুরি করব বিলের মাঝে কিন্তু দুঃখের বিষয় এটাই যে আমরা সেখানে গিয়ে বিল পেয়েছি ঠিকই কিন্তু পদ্ম আর খুঁজে পাইনি কোথাও। যাইহোক কোন একটা কিছু দেখার জন্য যখন আমরা বাসা থেকে বের হই আর গন্তব্যস্থলে পৌঁছে গিয়ে যখন আমরা সেই জিনিসটা আর দেখতে পাই না তখন নিজের কাছে আসলেই অনেক বেশি খারাপ লাগে এটা হয়তোবা সকলের ক্ষেত্রেই এক। আপনি কোন একটা কিছু দেখার জন্য অতি আগ্রহ নিয়ে বাসা থেকে অনেকটা সময় নিয়ে জার্নি করে সেখানে গিয়েছেন অথচ সেই জায়গাতে গিয়ে যদি আপনি আপনার কাঙ্খিত সেই দর্শনীয় জিনিসটা দেখতেই না পান তাহলে খারাপ লাগবে এটাই স্বাভাবিক আমাদের সকলেরও ঠিক একই রকম খারাপ লেগেছিল। ফিরে আসবো ঠিক তখনই জানতে পারি এখান থেকে ৫ কিলো দূরে একটা বিলের নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা হচ্ছে। এটা জানার পরে আমরা সকলে মিলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যেহেতু পদ্ম দেখতে পেলামই না সেহেতু নৌকা বাইচ দেখে যাই। সেই ধারণা থেকেই আবার আমরা বাইক নিয়ে নৌকা বাইচ দেখার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম যদিও পথটা ছিল আমাদের সকলেরই অচেনা এবং অজানা।

প্রায় আধা ঘন্টা বাইক ড্রাইভ করার পরে আমরা অবশেষে গিয়ে পৌছাই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার স্থানে সেখানে গিয়ে আমরা একটা গ্যারেজের মধ্যে বাইক রেখে হাঁটতে হাঁটতে সামনের দিকে অগ্রসর হই। প্রথমে ভেবেছিলাম এখানে হয়তোবা তেমন মানুষ জন্যই তবে যতই সামনের দিকে অগ্রসর হছিলাম ততই বুঝতে পারছিলাম যে এখানে অনেক মানুষের সমাগম। আমরা যখন একদম বিলের কাছাকাছি গিয়ে পৌঁছাই ঠিক তখনই জানতে পারি যে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অলরেডি শুরু হয়ে গিয়েছে তখনই আমরা যে যার মত একটা জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকি এবং দেখতে থাকি আসলেই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা ধরেছে কিনা অবশেষে দেখতে পাই যে অনেক দূরে দুটো নৌকা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে দর্শকদের চারিদিকে অনেক চিৎকার চেঁচামেচিতে নিমিষেই মনটা ভালো হয়ে গেল। আমরা সেখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দূর থেকে দেখছিলাম যদিও খুব একটা ভালো দেখতে পাইনি কারণ চারিদিকে প্রচুর লোকজন আর লোকজনের ভিড়ে খুব ভালোভাবে দেখাও যাচ্ছে না যেহেতু আমরা একদম শেষের টাইমে গিয়েছিলাম প্রায় সন্ধ্যের আগ মুহূর্তে বুঝতেই পারছেন, যার কারনে খুব একটা ভালোভাবে দেখতে পারিনি।

অবশেষে যখন প্রতিযোগিতার শেষ স্থানে দুটো নৌকা এসে পৌঁছায় ঠিক তখনই দুই নৌকার মাঝি মাল্লার সঙ্গে একে অপরের মারামারি লেগে যায় কারণ তারা দুজনেই প্রথম প্রথম বলে চিৎকার চেঁচামেচি করছিল কিন্তু বাস্তবিক অর্থে দুজনকে তো আর প্রথম স্থান দেওয়া সম্ভব নয় যার কারণে সেখানে ভলেন্টিয়ার হিসেবেও কিছু লোকজন ছিল তারা খুবই চমৎকার ভাবে ভিডিও করেছে। পাশেই মঞ্চ থেকে বারবার মাইকে করে ডাকা হচ্ছিল যে আপনারা কেউ উত্তেজিত হবেন না মারামারি করবেন না আমাদের কাছে ভিডিও আছে দুই নৌকার মালিককে আমরা আমাদের মঞ্চে এনে ভিডিও দেখে আমরা একটা সঠিক সিদ্ধান্ত নিব আপনারা শান্ত হোন। আমি প্রায় জায়গাতেই এই একই রকমের পরিস্থিতির শিকার হই অনেক জায়গাতেই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা দেখতে গিয়েছি, প্রায় সকল জায়গাতেই এই একই রকমের সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে দুই নৌকার মাঝি মামলা এবং কর্তৃপক্ষ যেটা খুবই দুঃখজনক।

IMG20240911173156.jpg

IMG20240911173204.jpg

IMG20240911174507.jpg

IMG20240911174511.jpg

IMG20240911174525.jpg

মেলার কর্তৃপক্ষ অনেকটা সময় নিয়ে তাদেরকে শান্ত করার চেষ্টা করছিল কিন্তু তারা কোনোভাবেই শান্ত হচ্ছিল না মনে হচ্ছিল এখনই মনে হয় দুই নৌকার মাঝি-মালার মাঝে মারামারি বেধে যাবে। পরিস্থিতি অনেকটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল অবশেষে দুই নৌকার মালিক কে মঞ্চে ডেকে নিয়ে গিয়ে ভিডিও দেখে যেকোনো একটা নৌকাকে প্রথম স্থান এবং অন্য আরেকটা নৌকাকে দ্বিতীয় স্থান দেওয়া হয়, যেহেতু নৌকার মালিকেরা সেটা মেনে নিয়েছে যার কারণে আর সে রকম কোন মারামারি হয়নি। এটা প্রায় সন্ধ্যা লাগার আগ মুহূর্তেই হয়েছিল সন্ধ্যে লাগার আগ মুহূর্তেই মেলাটা শেষ হয়ে গিয়েছিল প্রথমে স্থান ছিল একটা ফ্রিজ দ্বিতীয় স্থান ছিল টিভি তৃতীয় স্থানটা কি ছিল সেটা তখন পর্যন্ত আমরা জানতে পারিনি। পরিস্থিতি খুব একটা ভালো না দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম এখানে আর বেশিক্ষণ থাকবো না আর আমাদের যেতে হবে অনেকটা পথ প্রায় ৫০ কিলো বাইক রাইড করে আমাদেরকে বাসায় যেতে হবে। কিন্তু মেলায় এসেছি আর একটু ঘোরাঘুরি করব না এটা তো কখনো হতে পারে না তাই মেলার শেষ অংশে যাবার জন্য মন স্থির করলাম হাঁটতে হাঁটতে আবার মেলার শেষ অংশের দিকে রওনা দিলাম। বোঝাই যাচ্ছিল এটা কোন গ্রাম্য অঞ্চলের মেলা যার কারণে খুব একটা বেশি দোকানপাট বসেনি তবে গ্রাম গঞ্জের মেলা যেরকম হয় এটা ঠিক তেমনি ছিল।

আমরা মেলার শেষ অংশে গিয়ে অনেকটা সময় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে একে অপরের সঙ্গে গল্প করছিলাম সেই সাথে একটু আগে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়েও অনেকে অনেক রকম মন্তব্য করছিল আমরা মেলার গরম গরম জিলাপি খেয়েছিলাম খেয়েছিলাম বাদাম সেই সাথে খেয়েছিলাম ছোটবেলার সেই প্রিয় খাবার যেটা মুখের মধ্যে নিলেই হঠাৎ করেই নিমিষে নাই হয়ে যায় সেটাকে কি যেন একটা নাম বলে তবে এখন মনে নেই, আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন কারণ এটা সকলেরই অনেক বেশি পছন্দের ছিল। অনেকটা সময় মেলার মধ্যে কাটিয়ে এরপরে বাইক নিতে যাই কিন্তু ততক্ষণে মেলাটা শেষ হয়ে গিয়েছিল যে যার মত বাসায় ফেরার জন্য রওনা দিয়েছে যার কারণে পুরো রাস্তায় জ্যাম লেগে গিয়েছিল। মেলার জায়গা থেকে আমাদের মেইন রাস্তায় উঠতে প্রায় সময় লেগেছিল আধা ঘন্টার বেশি তাহলে বুঝতেই পারছেন যে কতটা জ্যামে আটকে ছিলাম। অনেকটা সময় জ্যামের মধ্যে আটকে থাকার পরেও অবশেষে আমরা মেইন রাস্তায় উঠে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম।

IMG20240911173301.jpg

IMG20240911173321.jpg

IMG20240911173405.jpg

IMG20240911174530.jpg

IMG20240911182353.jpg

IMG20240911182359.jpg

দীর্ঘ এক ঘন্টা বাইক ড্রাইভ করার পরও অবশেষে আমরা চলে আসি খোকসা বাসস্ট্যান্ডে। খুব সব বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে আমাদের এক বড় ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হয় তার সঙ্গে অনেকটা সময় কাটাই টং দোকানে বসে রং চা খেয়ে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে অবশেষে আমরা বাসার উদ্দেশ্যে রওনা করি বাসায় যেতে যেতে আমাদের প্রায় রাত্রি সাড়ে নয়টা বেজে গিয়েছিল। অনেকদিন পর বাসায় গিয়ে এরকম একটা সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করতে পেরে নিজের কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল সত্যি বলতে সেদিনের সেই মুহূর্তটা আমার কাছে ছিল অনেকটাই অনেক বেশি রোমাঞ্চকর। কারণ ভাই ব্রাদারের সঙ্গে ঘুরাঘুরি করতে কে না পছন্দ করে আপনারাই বলুন আর সাথে যদি প্রিয় মানুষগুলো থাকে তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। জানিনা আবার কবে এরকম সুন্দর মুহূর্ত কাটাতে পারব তবে তাদের সঙ্গে প্রতিটা মুহূর্ত আমার কাছে অনেক বেশি সুন্দর এবং রঙিন। এরকম সুন্দর এবং রঙিন মুহূর্তগুলো বারবার কাটাতে মন চায় কিন্তু পরিস্থিতি অনেকটাই দূরে সরিয়ে এনেছে তাদের থেকে যাই হোক এটাই হয়তো ভাগ্য বা নিয়তি।

সত্যি বলতে এরকম মুহূর্ত বারবার কাটাতে মন চায় কিন্তু সময়ের ব্যবধানে এরকম মুহূর্ত কাটানো আর সম্ভব হয়ে ওঠে না আর সকলেই যে একই সময়ে বাসায় থাকে তা কিন্তু নয়। আমরা কয়েকজন অনেক planning করে একসঙ্গে বাসায় গিয়েছিলাম যার কারণে সবাই মিলে সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করতে পেরেছি যদি প্ল্যানিং না করে বাসায় যেতাম তাহলে হয়তোবা এরকম মুহূর্ত কাটাতে পারতাম না। যাইহোক এটাই ছিল আমার আজকের বিলের মাঝে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা দেখার অনুভূতি আশা করছি আমার এই পোস্ট আপনাদের সকলের কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আজ আর নয় এখানেই শেষ করছি, সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে...!!



সমাপ্ত


আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা

বিবরণ
বিভাগজেনারেল রাইটিং
বিষয়বিলের মাঝে নৌকা বাইচ দেখার অনুভূতি
পোস্ট এর কারিগর@jibon47
অবস্থান[সংযুক্তি]source


এটাই আমি..!!

IMG_5290-01.jpeg

আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নেম @jibon47। আমি মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে অনেক বেশি ভালোবাসি। আব্বু আম্মু আর ছোট বোনকে নিয়েই আমার পরিবার। এই তিনজন মানুষকে কেন্দ্র করেই আমার পৃথিবী।একসাথে সবাইকে খুশি করা তো সম্ভব নয়, তারপরও আমি চেষ্টা করি পরিবারের সবাইকে খুশি রাখার। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে।আমি বর্তমানে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্ট থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং লেখাপড়া করছি। আমি গান গাইতে, কবিতা লিখতে, এবং ভাই ব্রাদারের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। সত্যি বলতে আমি প্রচন্ড রকমের অভিমানী, হতে পারে এটা আমার একটা বদ অভ্যাস। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব,"আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, পরিশ্রম সফলতার চাবিকাঠি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@jibon47



VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

আসলে এখন পর্যন্ত আমি কোন দিন সরাসরি নৌকা বাইচ দেখতে পারিনি। তবে, সোসাল মিডিয়ার মধ্যে অনেক ভিডিও দেখেছিলাম। আপনি দেখছি আজকে আমাদের মাঝে নৌকা বাইচের বেশ কিছু মুহূর্ত তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। আসলে নৌকা বাইচ সরাসরি দেখার মজাই আলাদা, যেটা আমি আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম।

নৌকা বাইচ খেলা দেখার মধ্যে চমৎকার অনুভূতি কাজ করে। বেশি কিছুদিন আগে আমাদের এখানে ও নৌকা বাইচ হয়েছিলো। আপনার লেখা এবং অনূভুতি পড়ে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।

নৌকা বাইচ খেলা দেখতে অনেক ভালো লাগে। আমাদের গ্রামের বাড়ির পাশেই মাঝে মাঝে নৌকা বাইচ খেলা হয়। এবছর অবশ্য হয়নি। ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো।

বিকেলবেলা নৌকা বাইচ দেখার মুহূর্তগুলো সত্যিই অসাধারণ। নৌকা বাইচার আগের মত দেখতে পাওয়া যায় নাম। আগে নদীতে এ মাঝেমধ্যে এই নৌকা বাইচের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হতো। অনেক দিন পর দেখতে পেয়েও ভালো লাগলো। ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

আমার ক্ষেত্রেও তাই যখন কোন কিছু আশা করে ঘর থেকে বের হয়ে সেটা আর না পাই তাহলে বড্ড মেজাজ খারাপ হয়। যাইহোক তবুও তো আপনি নৌকা বাইচ দেখতে পেলেন এটাই সবথেকে বড় বিষয়। আর আমার অনেক দিনের ইচ্ছা নৌকা বাইচ দেখার কিন্তু সুযোগ হয়ে উঠেনি, ইনশাআল্লাহ একদিন হয়তো দেখবো। তবে আপনার পোস্টের মাধ্যমে অনেক কিছু দেখা হলো। অনেক ধন্যবাদ ভাই চমৎকার পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

আসলে এর আগে আমি কিন্তু নদীতে নৌকা বাইচ দেখেছি কিন্তু এই বিলের মধ্যে নৌকা বাইচ এই সর্বপ্রথম দেখতে পেলাম। আসলে এই ধরনের জিনিসগুলো আমাদের সমাজ থেকে এখন দিন দিন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

নৌকা প্রতিযোগিতা সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা রয়েছে কিন্তু স্বচক্ষে তেমন কোনদিন দেখা হয়নি। আসলে এই আনন্দের আয়োজন করা হলে সেখানে অনেক জিনিসের কেনাকাটার সুযোগ সৃষ্টি হয়। কারণ এখানে মেলা জমে বিভিন্ন প্রকার খাবারের ও প্রয়োজনীয় জিনিসের। যাই হোক অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ফটোগ্রাফির মাধ্যমে। আশা করি অনেক আনন্দ উৎসব ছিল তখন।