আজ - ০৯ জৈষ্ঠ্যমাস| ১৪২৯ বঙ্গাব্দ | সোমবার | গ্রীষ্মকাল |

আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।

তো চলুন শুরু করা যাক...!

শুভ রাত্রি সবাইকে.....!!

আমি বরাবরই মাংস খেতে অনেক বেশি পছন্দ করি। ভুল বললাম, শুধুমাত্র আমি না আমি মনে করি মাংস পছন্দ করেনা এরকম মানুষ খুব কমই আছে তবে আমার চোখে আমি কখনো এরকম মানুষ দেখি নি যে কিনা মাংস খেতে পছন্দ করে না। ব্যক্তিগতভাবে সবরকম মাংস আমি খেতে পারি, তবে আমার কাছে দেশি মুরগির মাংস অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে। বেশ অনেকদিন যাবত দেশি মুরগির মাংস তেমন একটা খাওয়া হয়না। আমার ছোট বোন সে খুব ছোটবেলা থেকেই মুরগী পালন করে। ও এসব কাজে অনেক বেশি পারদর্শী। যদিও ছোট তবে মুরগির পালন প্রতি অন্যরকম এক ভালবাসা আছে। দেশি মুরগির মাংস অনেকদিন না খাওয়ার কারণে সেদিন আমার আম্মু একটা মুরগি মাংস রান্না করেছিল। যখন সেই দেশে মুরগিটা জবাই করার জন্য ধরা হয়েছিল তখন আমার ছোট বোনের মনটা সত্যিই অনেক বেশি খারাপ হয়ে গিয়েছিল। ও আসলে এরকমই, যখন ওর পালন করা কোনো কিছু খাওয়া হয় তখন মনটা অনেক বেশি খারাপ হয়ে যায়। তবে যাই হোক শেষমেষ অনেকটা বুঝিয়ে মন ভালো করা হয়েছিল। তো যাই হোক আমি আজ আপনাদের মাঝে সেই দেশি মুরগির মাংস রান্নার ঝোল রেসিপি শেয়ার করতে চলেছি। আশা করছি আপনারা খুবই চমৎকার ভাবে রেসিপিটি উপভোগ করবেন। বেশি কথা না বাড়িয়ে চলুন রান্না শুরু করি।

• মরিচ
• রসুন
• পেঁয়াজ
• শুকনা মরিচের গুড়া
• ধুনের গুড়া
• হলুদের গুড়া
• তেল
• গরম মসলা
• জিরা

সর্বপ্রথমে পেঁয়াজ রসুন এবং মরিচ এই তিনটি উপকরণ খুবই চমৎকার ভাবে বেটে নিতে হবে। এমনভাবে বেটে নিতে হবে যেন খুবই চমৎকার ভাবে ফিনিশিং হয়। চাইলে আপনারা উপরের চিত্রের ন্যায় বাঁটতে পারেন।

এবার একটি কড়াই চুলার উপর দিতে হবে সেই সাথে পরিমান মত তেল ঢেলে নিতে হবে। তেল ঢেলে দেওয়ার পরে পেঁয়াজ রসুন এবং মরিচ বাটা তার উপর ছেড়ে দিতে হবে।

এরপরে সেই উপকরণের উপর পরিমাণমতো হলুদের গুঁড়া ছিটিয়ে দিতে হবে তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে হলুদের গুড়ার পরিমাণ যেন বেশি না হয়ে যায়।

হলুদের গুঁড়া এই উপকরণ মিশিয়ে দেওয়ার পরে এবার পরিমাণমতো মরিচের গুঁড়া দিতে হবে এবারও ঠিক আগের মতোই খেয়াল রাখতে হবে যেন পরিমাণটা পরিমাপ মত থাকে। মরিচের গুড়ার পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে তাহলে কিন্তু খেতে পারবেন না, প্রচুর ঝড় লাগবে। আর আপনারা যারা বেশি ঝাল খেতে পছন্দ করেন তারা চাইলে বেশি করে মরিচের গুঁড়া দিতে পারেন।

সকল উপকরণ যোগ করার পরে এবার চামচ দিয়ে খুবই চমৎকার ভাবে নারানারি করতে হবে এমন ভাবে নারানারি করতে হবে যেন, প্রতিটি উপকরণের সাথে পেঁয়াজ রসুন বাটা একত্রে যোগ হয়ে যায়।

এবার উপকরণ গুলোর উপর দেশি মুরগির মাংস দিতে হবে তবে অবশ্যই মাংসগুলো আগে থেকে পরিষ্কার ভাবে ধুয়ে নিতে হবে। চাইলে আপনারা দুই থেকে তিনবার ধুয়ে নিতে পারেন।

এবার একটি চামচ দিয়ে উপকরণগুলি সাথে দেশি মুরগির মাংস খুবই চমৎকার ভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। এবং আস্তে আস্তে নাড়ানারী করতে হবে।

এভাবে নাড়ানাড়ির প্রক্রিয়া অনেকক্ষণ যাবৎ চালিয়ে যেতে হবে। অনেকক্ষণ নারানারি করার পরে যখন বোঝা যাবে যে মাংস আধো-আধো সেদ্ধ হয়ে গেছে। ঠিক তখন তাপ কমিয়ে দিতে হবে।

মাংস সিদ্ধ হওয়ার পরে এবার পরিমাণমতো পানি ঢেলে দিতে হবে। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে পানির পরিমাণ টা যেন বেশি না হয় যায়।

পানি যোগ করার পরে এবার তাপ বাড়িয়ে দিতে হবে। অনেকটা সময় মাংস চুলার উপর রেখে দিতে হবে এবং মাঝে মাঝে স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। এভাবে কিছুটা সময় রাখার পরে মাংস থেকে পানি কিছুটা শুকিয়ে যাবে। তারপরে স্বাদ গ্রহণ করে ঝাল এবং লবণের পরিমাণ দেখতে হবে। যদি ঝাল এবং লবণের পরিমাণ ঠিক থাকে তাহলে মাংস চুলা থেকে নামিয়ে ফেলতে হবে।

যদিও আমার এই রেসিপিতে ঝোলের পরিমাণটা একটু বেশি হয়ে গিয়েছিল তবে খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু লেগেছিল কারণ, আমাদের পরিবারের সকলেই দেশি মুরগির ঝোল অনেক বেশি পছন্দ করে ব্যক্তিগতভাবে দেশি মুরগির ঝোল আমার কাছে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে। তাই আমি আমার আম্মু কে বলেছিলাম বেশি করে ঝোল রাখতে। সকলে মিলে খুবই চমৎকার ভাবে এই দেশি মুরগির মাংসের ঝোল উপভোগ করেছিলাম। চাইলে আপনারাও এরকমভাবে দেশি মুরগির মাংস রান্না করে খেতে পারেন। খুবই সুস্বাদু এবং লোভনীয় লাগবে আশা করি।

আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আমি আশা করিছি আপনারা সবাই আমার পোষ্ট উপভোগ করবেন এবং আপনারা সবাই আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন