আজ--১৭ আষাঢ় | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | সোমবার | শীতকাল |
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
- ভারত vs সাউথ আফ্রিকা ম্যাচের রিভিউ এবং আমার অনুভূতি
- আজ--১৭ই আষাঢ়, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
- সোমবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ দুপুর সবাইকে......!!
খেলাধুলা পছন্দ করে না এরকম মানুষ খুব কমই আছে। এছাড়া আমাদের শরীর এবং মন দুটোই যদি আমরা সুস্থ রাখতে চাই তাহলে আমাদের সকলেরই খেলাধুলা করা উচিত খেলাধুলা বলতে আমি যে শুধুমাত্র ক্রিকেট ফুটবল এসবকেই বোঝাচ্ছে তা কিন্তু নয়। মূলত নিজের শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য যতটুকু ব্যায়াম করা প্রয়োজন ততটুকু ব্যায়াম যদি আমরা প্রতিনিয়ত করে থাকি তাহলে হয়তোবা আমাদের খুব একটা বেশি সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না। যাই হোক, ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলা আমার অনেক বেশি পছন্দের তবে ক্রিকেট ছোটবেলা থেকেই আমার খুব একটা বেশি আকৃষ্ট করত না আমি বরাবরই ফুটবলের প্রেমে আসক্ত কারণ ফুটবল খেলার মাঝে রয়েছে এক অন্যরকম ভালোলাগা। যার কারণে ক্রিকেটের প্রতি খুব বেশি ভাবে আকৃষ্ট হতে পারেনি তবে ক্রিকেট খেলা দেখা হয়। আগে যখন বাসায় থাকতাম তখন ক্রিকেট খেলতাম বেশ কয়েক বছর হয়েছে ক্রিকেট খেলা হয় না তবে বাসায় গেলে মাঝে মাঝে ফুটবল খেলা হয়। যেহেতু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলছিল কিছুদিন আগে ক্রিকেট খেলা খেলি বা না খেলে সেটা কোন বড় কথা নয় মূল কথা হচ্ছে যেহেতু বিশ্বকাপ খেলা অবশ্যই খেলা দেখতে হবে। বাংলাদেশ সহ অন্যান্য প্রায় প্রত্যেকটা দেশের খেলা খুব বেশি না দেখলেও খেলার খোঁজখবর রাখা হয়েছে।
ঠিক তেমনি ভাবে খোঁজখবর রাখার একপর্যায়ে বাংলাদেশ অনেক আগেই টি-টোয়েন্টি থেকে বিদায় নিয়ে নির্দেশে ফিরে এসেছে অবশ্যই কষ্ট পেয়েছিলাম এবং নিজের কাছে অনেক বেশি খারাপ লেগেছিল কারণ নিজের দেশ বলে কথা। নিজের দেশের প্রতি সকলেরই অন্যরকম এক ভালোবাসা মায়া দুটোই কাজ করে আর এই ভালোবাসা বা মায়া কখনো বর্ণনা করে বোঝানো সম্ভব নয়। সে যাই হোক আমি মনে করি এটা বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের বড় ধরনের একটা ব্যর্থতা আর এই ব্যর্থতা তারা কিভাবে মূল্যায়ন করে এখন পর্যন্ত আমার এই ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে আসে না। আপনারা সকলেই জানেন যে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সাউথ আফ্রিকা এবং ভারত এই দুটো দেশ ফাইনালে উঠেছিল। সাউথ আফ্রিকা কয়েকবার ফাইনাল খেললেও কখনোই তারা বিশ্বকাপের মুখ দেখতে পারেনি কিন্তু এদিকে ভারত পুরোপুরি ব্যতিক্রম তারা কয়েকবার বিশ্বকাপের মুখ দেখেছে এদিক থেকে বলা যায় যে সাউথ আফ্রিকা দল হিসেবে ভালো হলেও তাদের ভাগ্যটা অনেক বেশি খারাপ।
এবারও তারা তাদের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে ফাইনাল খেলার সুযোগ পেয়েছিল আর এটা জেনে আমি খুবই খুশি ছিলাম কারণ আমি অনেক আগে থেকেই চাইতাম যে সাউথ আফ্রিকা কোন একটা বিশ্বকাপ খেলুক এবং সেই বিশ্বকাপে তারা বিশ্বকাপ অর্জন করুক। ভারত অনেক প্রচেষ্টা অনেক ত্যাগ অনেক পরিশ্রম করার ফলে এবারও তারা ফাইনালে উঠেছে এটাও প্রতিবেশী দেশ হিসেবে নিজের কাছে ভালো লাগছিল। এই ফাইনাল খেলা দেখার জন্য অনেক আগে থেকেই অধীর আগ্রহ নিয়ে বসে ছিলাম কারণ অনেক আগে থেকেই বুঝে গিয়েছিলাম যে খেলাটা অনেক বেশি জমজমাট হবে যেহেতু দুটোই বাঘা বাঘা দল আর দুই দলেই অনেক ভালো ভালো প্লেয়ার আছে যার কারণে আগে থেকেই বুঝতে পারলাম খেলাটা অনেক বেশি জমজমাট হবে।
যেদিন ফাইনাল খেলেছিল সেদিন সমস্ত রকমের কাজকর্ম অনেক আগেই শেষ করে রেখেছিলাম কারণ সাড়ে আটটায় খেলা শুরু হওয়ার কথা ছিল সাড়ে আটটার আগেই ফোনটা হাতে নিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়েছিলাম রাত্রি জেগে খেলা দেখব বলে। অবশেষে খেলা শুরু হয়ে গেল, প্রথম অবস্থাতেই বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মা শুরুটা অনেক বেশি ভালো করেছিল তাদের শুরু দেখে বোঝাই যাচ্ছিল যে আজকে তাদের রান সংখ্যা অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে প্রথমে আমি ভেবেছিলাম তারা দুজন যদি এরকম ভাবে ১০ ওভার পর্যন্ত খেলতে পারে তাহলে রান হয়তোবা দুশো প্লাস হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে রোহিত শর্মা খুব দ্রুতই সাজঘরে ফিরে যায়। রোহিত শর্মা সাজঘরে ফেরার পরে আরেকজন প্লেয়ার আসে সেও বেশিক্ষণ ব্যাট হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে পারেনি তখন মনে হচ্ছিল ভাঙ্গন শুরু হয়ে গিয়েছে ইন্ডিয়া ক্রিকেট দলে। একটু আগেই যেখানে মনে হচ্ছিল যে ইন্ডিয়ার স্কোর বোর্ডে ২০০ প্লাস রান দেখা দেবে ঠিক তখনই মনে হচ্ছিল হয়তোবা এরকম ভাবে চলতে থাকলে খুব একটা ভালো রান হবে না কিন্তু বিরাট কোহলির খেলার ধরণটা বরাবরই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে এবং সে একজন ভালো খেলোয়ার এটা মানতেই হবে সকলকে।
দলের যখন খারাপ অবস্থা ঠিক তখনই বিরাট কোহলি দলের হাল ধরেছে এবং অনেকটা সময় সে দলকে সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে। দলের খারাপ সময়ে এসে কখনোই মাথা গরম করেনি মাথা গরম করে ভুল কোন শর্ট খেলে না সে সবসময়ই ঠান্ডা মাথায় খেলার চেষ্টা করেছে। বিরাট কোহলি ঠান্ডা মাথায় খেলার চেষ্টা করেছিল বিধায়ই আমার মনে হয় যে ইন্ডিয়া আজ টি-টোয়েন্টি বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। যাই হোক বিরাট কোহলি ব্যাটিং চলাকালীন সময়ে ও কয়েকটা উইকেট পড়ে গিয়েছিল কিন্তু ইন্ডিয়া কখনোই আশাহত হয়নি। আমার মনে হয় স্কোরবোর্ডটা সবসময়ই বিরাট কোহলির নজর রাখছিল যার কারণে যখন যে শর্ট খেলা পর্যন্ত তখন সে সেই শর্ট খেলছিল। সব থেকে বড় আরেকটা ব্যাপার সেটা হচ্ছে যে গ্যালারিতে বসে থাকা ইন্ডিয়ান সমর্থকরা ইন্ডিয়ান ক্রিকেট টিমকে অনেকটাই সাপোর্ট করেছে যার কারণেই তারা অনুপ্রেরণা পেয়েছে আর তাদের থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েই তারা অনেকটা দূর পর্যন্ত এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। খেলার মধ্যে হারজিত থাকবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু একটা ভালো মানের খেলা দর্শকদের উপহার দেওয়ার মাঝেও রয়েছে এক অন্যরকম ভালোলাগা আর আমি মনে করি ইন্ডিয়ান ক্রিকেট টিম সেটা উপহার দিয়েছে।
ইন্ডিয়া আরো একটু বেশি রান করতে পারতো যদি বিরাট কোহলি আউট না হতো দুর্ভাগ্যক্রমে বিরাট কোহলি যখন আউট হয়ে গেল ঠিক তখনই ইন্ডিয়ার স্কোর বোর্ডটা কিছুটা নিচে নেমে গেল সে যাই হোক। ২০ ওভার শেষে ইন্ডিয়া অর্জন করেছিল ১৭৬ রান। সাউথ আফ্রিকা কে জিততে হলে অবশ্যই ১৭৭ রান করতে হবে আর ১৭৭ রান তাদের কাছে অনেকটাই বড় একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। যদিও সাউথ আফ্রিকা অনেক ভালো বল করেছিল অনেক ভালো বল করার ফলে তারা ইন্ডিয়াকে ১৮০ রানের নিচেই আটকে দিয়েছিল। আমি প্রথম অবস্থায় ভেবেছিলাম যে রান সংখ্যা হয়তোবা ২১০ হবে কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে সেটা হয়নি যাইহোক ভেবেই নিয়েছিলাম খেলাটা অনেক বেশি জমজমাট হবে কারণ ১৭৭ রান করাটাও খুব যে সহজ তাও নয় আবার এদিকে ইন্ডিয়ার বোলিং লাইন ও কিছুটা শক্তিশালী। ওদিকে সাউথ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইন ও একটু শক্তিশালী দু-এ মিলে খেলাটা অনেক বেশি জমজমাট হবে এটা ভেবেই ছিলাম অনেক আগে থেকে।
২০ ওভার যখন শেষ হয়ে যায় তখন খেলাটা ইনিংস ব্রেক দেয়া হয়। এই ইনিংস ব্রেকের সময় আমি খাওয়া-দাওয়া করে নিয়েছিলাম কারণ আমি চেয়েছিলাম যে একদম শুরু থেকে শেষ অবধি খেলাটা দেখব যদিও চোখে প্রচন্ড রকমের ঘুম ছিল তারপরেও সমস্ত রকমের ঘুম দূর করে দিয়ে আমি চেষ্টা করেছিলাম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলাটা উপভোগ করাবে যদিও আমার সাথে কেউ ছিল না আমি বাহির থেকে চপ, সিঙ্গারা এবং চানাচুর কিনে নিয়ে এসেছিলাম রাতে খাওয়ার জন্য। খেলা দেখছিলাম আর মাঝে মাঝে দু একটা চপ সিঙ্গারা খাচ্ছিলাম বেশ ভালই লাগছিল একা একা খেলা দেখার মাঝে সত্যি বলতে কোন রকম আনন্দ নেই খুবই বোরিং লাগে সেই সাথে ঘুমও আসে। এটা আপনারা তারাই বুঝতে পারবেন যারা একা একা খেলা দেখেছেন সে যাই হোক প্রথম ইনিংস শেষ করলাম। ইন্ডিয়া ২০ ওভার ১৭৬ রান, সাউথ আফ্রিকাকে জিততে হলে অবশ্যই ২০ ওভারে ১৭৭ রান করতে হবে।
এটাই ছিল আমার আজকের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারত এবং সাউথ আফ্রিকার মধ্যাকর ম্যাচের প্রথম ইনিংস এর রিভিউ এবং আমার অনুভূতি। আশা করছি আমার এই অনুভূতি আপনাদের সকলের কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে আমি চেষ্টা করেছি আপনাদের মাঝে সুন্দরভাবে রিভিউ তুলে ধরার। আজ আর নয় এখানেই শেষ করছি, সকলেই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে...!!
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা
বিভাগ | খেলার রিভিউ |
---|---|
বিষয় | টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনাল--ভারত vs সাউথ আফ্রিকা/প্রথম ইনিংস(নিজের অনুভূতি) |
পোস্ট এর কারিগর | @jibon47 |
অবস্থান | [সংযুক্তি]source |
আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নেম @jibon47। আমি মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে অনেক বেশি ভালোবাসি। আব্বু আম্মু আর ছোট বোনকে নিয়েই আমার পরিবার। এই তিনজন মানুষকে কেন্দ্র করেই আমার পৃথিবী।একসাথে সবাইকে খুশি করা তো সম্ভব নয়, তারপরও আমি চেষ্টা করি পরিবারের সবাইকে খুশি রাখার। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে।আমি বর্তমানে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্ট থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং লেখাপড়া করছি। আমি গান গাইতে, কবিতা লিখতে, এবং ভাই ব্রাদারের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। সত্যি বলতে আমি প্রচন্ড রকমের অভিমানী, হতে পারে এটা আমার একটা বদ অভ্যাস। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব,"আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, পরিশ্রম সফলতার চাবিকাঠি।
@jibon47
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
খেলাধুলা করার ইচ্ছা তো আছে ভাই কিন্তু সেই পরিস্থিতি এখন আর নেই। একসময় প্রচুর খেলাধুলা করেছি। এইদিন যেন সাউথ আফ্রিকার বিরুদ্ধে কোহলি একাই দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। নিজের একক প্রচেষ্টায় রান টা অনেক দূর নিয়ে যায় । যদিও অন্যরা তার সাথে ছিল। এবং একটা ভালো সংগ্রহ করে। ফাইনালের জন্য এই সংগ্রহ যথেষ্ট ছিল বলা যায়।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit