শত্রু থেকে বন্ধুত্ব। পর্ব-৫

আজকে আমি আপনাদের মাঝে নিয়ে চলে আসলাম আরো একটি নতুন পোস্ট। গত পরশুদিন আমি আপনাদের মাঝে বন্ধু থেকে শত্রু গল্পটির চতুর্থ পর্ব শেয়ার করেছি। তো আজকে আমি আপনাদের মাঝে বন্ধু থেকে শত্রু গল্পটির পঞ্চম পর্ব শেয়ার করতে চলেছি আশা করি এই পর্বটি আপনাদের ভালো লাগবে। তো চলুন আর বেশি দেরি না করে মূল গল্প যাওয়া যাক।

গত পর্বের শেষের কিছু অংশ

নয়ন এই কথা শুনেই রেগে গেল। তো তখন আমি নয়ন কে কোন রকমের ভুলভাল বুঝিয়ে বললাম এমনিতেই ওরা অন্য একটা ছেলেকে বলছিল তাই আমি বললাম আমি কিনে নিয়ে আসছি। তো এটা বলাতে নয়ন একটু শান্ত হল। তো যাই হোক যতদিন যাচ্ছে ওদের অর্ডার গুলো তত কঠিন হতে যাচ্ছে। তো ওদের প্রতিটা শর্তেই মেনে নেয়ার মতো ছিল কিন্তু একদিন ওরা আমাকে এমন একটা শর্ত দেয় যেটা আমার পক্ষে মেনে নেওয়া খুবই কষ্টকর ছিল।

পর্ব-৫

তো আপনারা ভাবতে পারেন ওরা আমাকে কি এমন বলেছিল যেটা আমার পক্ষে মেনে নেওয়া খুবই কষ্টকর ছিল। আসলে ওরা আমাকে বলেছিল যে সবথেকে রাগী যে স্যার আছে ওনার ক্লাস ফাঁকি দিতে। আমি তো জানি ওই স্যারের ক্লাস যদি আমি ফাঁকি দিই তাহলে পরবর্তীতে অনেক শাস্তি পেতে হবে। তার জন্য এটা আমার পক্ষে মেনে নেওয়া খুবই কঠিন ছিল। কিন্তু তার থেকে বড় কঠিন ছিল যে সবাই জেনে যাক আমি একটা মেয়ে দিকে তাকিয়ে থাকি। তাই আমি আর না ভেবে রাজি হয়ে যায়। নয়ন আমাকে ক্লাসে ডাকছিল কিন্তু আমি ওকে কোনোভাবে বুঝাই যে আজকে আমার পড়া হয়নি তাই এই স্যারের ক্লাসটা আমি করতে পারবো না। কিন্তু এভাবে আর কতদিন। কতদিন ওদের অত্যাচার সহ্য করব। এতদিন শুধু ধৈর্য ধরে আছি যে একসময় ওরা ঠিক ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু এভাবে আর ধৈর্য ধরে থাকতে পারছি না না জানি কখন কি করে ফেলবো। যতদিন যাচ্ছে ওদের শর্তগুলা অনেক কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

এভাবে একদিন ওরা আমাকে আরো একটা কঠিন শর্ত দেয় আর বলে এটা করতে পারলেই তোকে মাফ করে দিব আর কোনদিন তোকে আমরা বিরক্ত না। আমি জিজ্ঞেস করলাম কি শর্ত? তো ওরা আমাকে বললো রুহি যখন ক্লাসে থাকবেনা তখন ওর ব্যাগ লুকিয়ে রাখতে হবে। কিন্তু ওরা জানে আমি এমনটা কখনোই করবেনা তার জন্য ওরা আমাকে এই শর্তটা দিয়েছিল। আমি ওদের কথা মানতে পারলাম না। আমি বললাম যে এটা আমার পক্ষে কখনোই সম্ভব নয়। তখন ওরা আমাকে বলল তাহলে ওই রাগী স্যারের ক্লাসটা আরেকবার ফাঁকি দিতে হবে ।কিন্তু আমি এটাতেও রাজি হতে চাচ্ছিলাম না কারণ গতবার ক্লাস ফাঁকি দেওয়ার কারণে প্রচুর মার খেয়েছি।

সেই ব্যথা আজও গা থেকে যায়নি এখন আবার যদি আমি ওই স্যারের ক্লাস ফাকি দেই তাহলে আবার অনেক মার খেতে হবে। কিন্তু কি আর করার কিছুই করার নেই তাই ওদের কথায় রাজি হয়ে গেলাম। গতবারের মতো ক্লাস ফাঁকি দেয়ার কারণে স্যারের কাছে এবারেও অনেক মার খেলাম। মার খেয়ে ব্যথার চোটে আমার গায়ে জ্বর চলে এসেছিল। তাই বাড়িতে এসে আম্মুর কাছে বললাম যে আমি খুব অসুস্থ আমি কয়েকদিন স্কুলে যেতে পারবো না। তাই আম্মুকে দিয়ে স্যার কে ফোন করিয়ে কয়েকদিন ছুটি চাইলাম। যেহেতু অসুস্থ ছিলাম আর গার্জেন ফোন করেছে তাই স্যার ও ছুটি দিতে রাজি হয়ে গিয়েছিল। আমার দেখাদেখি নয়নও তাঁর আম্মুকে কোন রকম ম্যানেজ করে স্যারকে ফোন দিয়ে ছুটি নিয়েছিল। যাক স্কুল ছুটি নেওয়ার কারণে এবারে হয়তো কয়েকদিন ওদের থেকে মুক্তি পাব....

চলবে,,,

প্রথম পর্বের লিংক
দ্বিতীয় পর্বের লিংক
তৃতীয় পর্বের লিংক
চতুর্থ পর্বের লিংক