প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাইবোন বন্ধুরা,
যাইহোক এবারে আসা যাক অন্য কোন স্মৃতিতে। রামিমের সবথেকে একটা আচরণ যেটা আমার খুব ভালো করেই মনে আছে সেটা হচ্ছে রামিম এর সাথে আমরা যখন কোনো খেলা খেলতাম সেই খেলার মধ্যে যদি একটু অস্পষ্টভাবে রামের বিরুদ্ধে কিছু হতো তাহলে সেটা যদি আমরা সবাইও মেনে নিতাম তাহলেও রামিম মানতে চাইতো না। অর্থাৎ রামিম হার মানতে চাইতো না। মানে স্পষ্টভাবে হেরে গেলে হার মেনে নিত। তবে একটু যদি অস্পষ্টভাবে অর্থাৎ মার্বেলে টাচ করেছে কি করেনি এই নিয়ে যদি একটু সন্দেহ থাকে তাহলেই রামিম সেটা মানতে চাইতো না। আসলে আমরা ছোটবেলায় ক্রিকেট ফুটবল বাদ দিয়ে বেশিরভাগই মার্বেল লাটিম এগুলো খেলতাম তো তাই এরকমটা বেশিরভাগই হতো। যাইহোক এভাবে সবাই একসাথে খেলা খেলতাম। কিন্তু রামিম একসময় ওঁর নানির বাড়িতে চলে গিয়েছিল থাকার জন্য। তখন থেকে আমাদের সাথে আর কথা হয়নি। মাঝে মাঝে ও আসতো কিন্তু কেন জানি না আমাদের সাথে কথা বলত না।
অর্থাৎ ছোটবেলায় আমরা ওর সাথে কথা বলেছি তবে বড় হয়ে কখনো ও আমাদের সাথে কথা বলেনি তাই আমরাও আর ট্রাই করি। যাইহোক এভাবেই দিন চলে যেত কিন্তু গতবছরে একদিন হঠাৎ করে শুনতে পেলাম রামিম নাকি ট্রেন দুর্ঘটনায় মারা গেছে। বিষয়টা শুনে বেশ অবাক হয়েছিলাম। সেই দিন আমার মনের ভিতর কেন জানিনা একটা অন্যরকম ফিলিংস কাজ করছিল। কারণ এই প্রথম আমাদের কোন বন্ধু মারা গিয়েছিল। তো ওর বাড়ি যেহেতু এখানেই তাই ওকে এখানে মাটি দেয়া হয়েছিল। যেদিন রাত্রে রামিমের লাশটা নিয়ে এসেছিল আমরা সব বন্ধুরা মিলে শেষবারের মতো ওকে দেখতে গিয়েছিলাম। বেশ ভয় করছিল। ওর আব্বু বিদেশ থাকতো তাই সেদিন মাটি দেয়া হয়নি পরের দিন ওর আব্বু বিদেশ থেকে আসছিল এবং সেদিন ওকে মাটি দেওয়া হয়েছিল।
তো বন্ধুরা এই ছিল রামিম এর সাথে কাটানো কিছু ঝাপসা ঝাপসা স্মৃতি। ঝাপসা বলার একটাই কারণ সেটা হচ্ছে আমি ওর সাথে তেমন কোন টাইম স্পেন্ড করিনি। তাই আমার লেখা গল্পটাও এরকমই হইল। যাইহোক রামিমের আব্বু অনেক দিন এখানে ছিল এর মাঝে আমার একটা অসুখ হয়েছিল। তো রাইমের সাথে যেহেতু আমার বন্ধুত্ব ছিল তাই ওর আব্বু আমাকে অনেক হেল্প করেছিল।
তো প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাই বোন বন্ধুরা, এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। আজকের লেখাগুলো আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। আজকের মত এটুকুই। আবারো খুব শীঘ্রই নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে ইনশা-আল্লাহ। ততক্ষণ সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
যাই হোক শেষের অংশটাও পড়ে নিলাম। আপনার বন্ধু ট্রেন দুর্ঘটনায় মারা গেছিল, সেটা খুবই দুঃখের ব্যাপার। এর আগেও মনে হয় আপনার পোস্টে বলেছিলাম যে, পোস্ট পড়ে যতটা মনে হচ্ছে তার সাথে আপনার সম্পর্ক তেমন বেশি একটা ভালো ছিল না। তারপরও বন্ধু মারা গেলে কষ্ট হওয়াটাই স্বাভাবিক। আমারও হয়তো এখন অনেক বন্ধু বান্ধবের সাথে তেমন কোনো বিশেষ সম্পর্ক নেই। তবে তাদের যদি কোন সমস্যা হয় তারপরও দেখা গেল আমার ভিতরে একটু হলেও কষ্ট লাগবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ যেহেতু ছোটবেলায় একসাথে খেলা খেলতাম তাই একটু কষ্ট লাগে স্বাভাবিক। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে সুন্দরভাবে মন্তব্যটি করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলেই আগে মার্বেল আর লাটিম খেলাটা বেশি খেলা হত।আমার কাছে লাটিম খেলাটা দেখতে ভালোই লাগে।তবে আপনার বন্ধু রামিমের কথা পড়ে বেশ খারাপ লাগলো।ট্রেন দূর্ঘটনার মারা গেলে, আসলেই মৃত্যুর কোন সিরিাল নেই। আসলে ছোটবেলার বন্ধু হয়ত তেমন যোগাযোগ ছিলো না তারপরও মারা যাওয়াতে খারাপ লাগা স্বাভাবিক।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলেছেন আগে মার্বেল লাটিম এই ধরনের খেলাগুলোই বেশি হতো। গ্রাম অবশ্য এখনো দেখা যায়।আর হ্যাঁ যেহেতু রামিমের সাথে ছোটবেলায় একসাথে খেলা খেলতাম। তাই একটু খারাপ লাগবে এটাই স্বাভাবিক।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit