একটি মর্মান্তিক বাইক এক্সিডেন্ট। শেষ পর্ব

in hive-129948 •  last year  (edited)
আস-সালামু আলাইকুম

প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাইবোন বন্ধুরা,

আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমি আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।

crash-1308575_1280.jpg

সোর্স

আজকে আমি আপনাদের মাঝে নিয়ে চলে আসলাম আরও একটি নতুন পোস্ট। তো গতকালকের পোস্টে আমি আপনাদের মাঝে একটি মর্মান্তিক বাইক দুর্ঘটনার ঘটনার কিছু অংশ শেয়ার করেছিলাম তো আজকে আমি আপনাদের মাঝে সেই ঘটনার বাকি অংশ শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভালোই লাগবে তো চলুন আর বেশি দেরি না করে মূল বিষয়ে আসা যাক।

তো ছেলেটাকে কুষ্টিয়াতে পাঠিয়ে দেওয়ার পর মোটামুটি পরিবেশটা শান্ত হলো। তো ছেলেটাকে যখন গাংনী হসপিটালে পাঠানো হয়েছিল তখন একটা ঘটনা ঘটেছিল যেটা আপনাদের মাঝে গত পর্বে শেয়ার করা হয়নি। তো আজকে সেটা বলছি। আসলে আমরা সবাই প্রথমে জানতাম যে বাইকে দুজন ছিল আর একজনের খুব খারাপ অবস্থা আর একজনের অবস্থা তুলনামূলক ভালো ছিল। কিন্তু ওদের দুজনকে যখন গাংনী হসপিটালে পাঠানো হলো তখন আরেকটা ছেলে তার মায়ের সাথে এসে বলে যে আমিও ওই বাইকের পিছনে ছিলাম। তবে আমি ধানের ক্ষেতের মধ্যে পড়াতে আমার তেমন একটা লাগেনি। কিন্তু তার বাবার ভয়ে প্রথমে এটা সবার সামনে প্রকাশ করেনি। তাই সে এখন চুপি চুপি এসেছে মূলত আমাদের কাছ থেকে একটা ব্যাথার ইনজেকশন ও কিছু ওষুধ নিয়ে যেতে,যেন পরবর্তীতে ব্যথা না হয়।

তো এর অবস্থা যেহেতু ভালো ছিল তাই আমরা এর কাছে জানতে পারলাম যে ওরা তিনজন বাইকে যাচ্ছিল আর সামনে একটা ধান ঝাড়ি মেশিন ছিল। কিন্তু কিভাবে যেন তারা সোজাসুজি গিয়ে সেটার সাথে ধাক্কা খায় আর তারপরেই সবার এমন অবস্থা হয়ে যায়। কিন্তু এ যেহেতু ওই দুর্ঘটনা সাক্ষী তাই ছেলেটা বেশ কাঁদছিল। আসলে এরকম একটা ঘটনা সাক্ষী হলে এমনিতেই তো মনের ভিতর ভয় ঢুকে যাওয়ার কথা। যাইহোক ওকে আর বেশিক্ষন ওয়েট না করিয়ে আমরা ওকে বাসায় পাঠিয়ে দিয়ে আর সেই সময় দেখি গাংনী থেকে ওই ছেলেটাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে কুষ্টিয়াতে পাঠানো হয়েছে।

যাইহোক এর কিছুক্ষণ পরেই দেখলাম ওই জায়গা থেকে গাড়িটাকে এনেছে। তো গাড়িটার কাছে গিয়ে দেখি গাড়ির অবস্থা বেশ খারাপ। কিন্তু এটা যেহেতু জড়বস্তু তাই এটার আর কি মূল্য।

তো যাই হোক সেদিন এই দুর্ঘটনা সাক্ষী হয়েই আমরা আমাদের টাইম মতো বাড়ি চলে এসেছিলাম। তো ছেলেটা কুষ্টিয়াতে পৌঁছে গেলেই দেখি যে ওই ছেলেটার এক্সরে রিপোর্ট আমার সাথে যে আরেকজন কাজ করে সে ফেসবুকে আপলোড করেছে। তো আমি সেই এক্সরে রিপোর্টটাতে দেখি যে তার একটা পায়ে দুই জায়গায় ভেঙে গেছে। বলা চলে তার অবস্থা বেশ খারাপ। আমি সেই এক্সরে রিপোর্টার ছবি কমেন্ট সেকশনে দিয়ে রাখবো আপনারা একটু গিয়ে দেখে নিয়েন। যাই হোক পরের দিন আমি দোকানে এসে আরো জানতে পারলাম যে ওই ছেলেটার পায়ের দুই জায়গায় ভেঙেছে আবার হাতেও যেখানে গোশত উঠে গর্ত হয়ে গিয়েছিল সেখানেও ভেঙেছে। তো পরবর্তীতে জানলাম যে তাকে কুষ্টিয়া থেকে নিয়ে গিয়ে ঢাকা পঙ্গুতে ভর্তি করা হয়েছিল এবং সেখান থেকেই খুব দ্রুত তার অপারেশনটাও কমপ্লিট করা হয়েছিল। এবং জানতে পেরে ভালো লাগলো যে তার অপারেশনটা নাকি খুব ভালোভাবেই হয়েছিল।

তবে পরবর্তীতে জানতে পারলাম যেই ছেলেটার অল্প লেগেছিল অর্থাৎ যে হাঁটতে পারছিনা তারও নাকি পা ভেঙে গিয়েছে। সত্যিই একটা অ্যাক্সিডেন্টে দুইজনের অবস্থা একদম কাহিল। আসলে আমাদের বাইক চালানোর ক্ষেত্রে খুবই সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত শুধু বাইক না যে কোন গাড়ির ক্ষেত্রেই খুবই সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। কারণ যেই ছেলেটা সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে সে নাকি বিদেশ যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল আর তার নাকি ১১ লাখ টাকা জমা দেওয়া হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখন তার এই অবস্থা হয়তোবা সে আর কোন ভারী কাজ করতেই পারবে না। আর হ্যাঁ ছেলেটার নাম হচ্ছে জীবন। ওর সাথে আমার কখনোই সেই ভাবে কথা হয়নি কিন্তু ওর বাবার সাথে আমার ভালো সম্পর্কই বলা চলে। অর্থাৎ আমাদের দোকানে আসলেই বেশ মজা করি ওনার সাথে। তবে প্রথমে আমি জানতাম না যে এটা ওনার ছেলে কিন্তু যখন জানতে পারলাম তখন আরো বেশি খারাপ লাগে। তবে হ্যাঁ ছেলেটা এখন মোটামুটি সুস্থ আছে।

তো প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাই বোন বন্ধুরা, এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। তো আজকের মতো এটুকুই আবারো খুব শীঘ্রই নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে ইনশা-আল্লাহ। ততক্ষণ সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন।

আল্লাহ হাফেজ
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

image.png

1701275749617.jpg

আসলে বিপদ গুলো কিভাবে আসে বুঝা খুব কঠিন। বর্তমান সময়ে বাইক এক্সিডেন্ট খুবই মারাত্মক ভাবে হচ্ছে। তাছাড়া ও গাড়িগুলো খুব অনিয়ন্ত্রিতভাবে চালানো হয়। আপনার পোস্ট পড়ে খুবই খারাপ লাগলো। বিস্তারিত পড়েছি অসংখ্য ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

সত্যিই কয়েকজন একটু বেশি অনিয়ন্ত্রিত ভাবে গাড়ি চালাই। যাই হোক ধন্যবাদ আপু আপনাকে সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য।