ছোটবেলায় বন্ধুদের সাথে মাছ ধরতে যাওয়ার স্মৃতি। শেষ পর্ব

in hive-129948 •  last year  (edited)
আস-সালামু আলাইকুম

প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাইবোন বন্ধুরা,

আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমি আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।

fishing-boat-5541327_1280.jpg

সোর্স

আজকে আমি আপনাদের মাঝে নিয়ে চলে আসলাম আরও একটি নতুন পোস্ট। তো গতকালকে আমি আপনাদের মাঝে ছোটবেলায় বন্ধুদের সাথে মাছ ধরতে যাওয়ার একটা স্মৃতি শেয়ার করেছিলাম তো আজকে আমি সেই স্মৃতির দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করব আশা করি আপনাদের ভালোই লাগবে। তো চলুন আর বেশি দেরি না করে মূল বিষয়ে যাওয়া যাক।

তো গত পর্বে আমি আপনাদের বলেছিলাম যে আমরা মাছ ধরতে ব্যর্থ হয়ে বাড়ির পথে রওনা দিয়েছিলাম। তো আমরা যাওয়ার সময়ের মতোই একটা সাইকেলে তিন জন মিলে আস্তে আস্তে আসছিলাম। তো অর্ধেক পথ আসার পর দেখি রামিম সাইকেল নিয়ে মরকার উদ্দেশ্যে যাচ্ছে। তো ওর সাথে পথে দেখা হলো তারপর আমরা ওকে সব খুলে বললাম যে একটাও মাছ পাওয়া যাচ্ছে না তাই আমরা ফিরে আসলাম। কিন্তু ও তখন বলল যে না আবার যাবো চল দেখব মাছ পাওয়া যায় কিনা।

তো কয়েকবার বলার পর আমরা সবাই আবার যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে নিলাম। তো এবার যেহেতু দুইটা সাইকেল তাই আমরা খুব দ্রুততার সাথেই পৌঁছে গেলাম কাঙ্ক্ষিত জায়গায়। তারপর আবারো অনেক জায়গায় মাছ ধরার চেষ্টা করলাম। তো অনেকক্ষণ চেষ্টা করার পর শুধুমাত্র একটাই টাকি মাছ ধরতে পেরেছিলাম। তো এরপর অনেকক্ষণ চেষ্টা করার পর আর কোন মাছ না পেয়ে আমরা ভাবলাম যে বাড়ি ফিরে যাব। কিন্তু তখন সাগর বললো যে জুগীরগোফাই আমার একটা আত্মীয়র বাড়ি চল সেখান থেকে ঘুরে আসি। আর জুগীরগোফাই যেহেতু আমার নানি বাড়ি। তাই আমিও রাজি হয়ে গিয়েছিলাম যাওয়ার জন্য।

তো এরপর আমরা সবাই মিলে রওনা দিলাম জুগীরগোফার উদ্দেশ্যে। মারকা থেকে জুগীরগোফা মূলত দুই তিন কিলোমিটার হবে। তো কিছুক্ষণ পরেই আমরা আমার নানি বাড়িতে পৌঁছে গেলাম। তো ছোটবেলায় নানি বাড়ি গেলে আর বাড়ি ফিরতে মন চাইতো না তো সেই দিনও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আমি নানি বাড়িতে পৌঁছেই আমি বললাম যে তোরা বাড়ি চলে যা আমি আজকে আর যাব না। তো ওরা প্রথমে একটু রাগ করেছিল কিন্তু যেহেতু আমি যেতে চাইলাম না তাই আমাকে আর জোর করেনি। তো এরপরে ওরা মূলত বাড়ি চলে গিয়েছিল। আর আমি নানি বাড়িতে একদিন তারপরের দিন বাড়ি গিয়েছিলাম হয়তোবা।

তো প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাই বোন বন্ধুরা, এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। তো আজকের পোস্টটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন । আর হ্যাঁ এই ঘটনার তিন চার বছর পরে আমি অন্য বন্ধুদের সাথে আবারো একবার ওখানে মাছ ধরতে গিয়েছিলাম কখনো সময় পেলে সেই গল্পটাও আপনাদের মাঝে শেয়ার করব ইনশা-আল্লাহ। তো আজকের মত এটুকুই। আবারো খুব শীঘ্রই নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে ইনশা-আল্লাহ। ততক্ষণ সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন।

আল্লাহ হাফেজ

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

image.png

ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দারুন একটি গল্প লিখে । ঠিক বলেছেন ভাই আপনি ছোটবেলায় বন্ধুদের সাথে মাছ ধরার গল্প সত্যি বেশ স্মৃতিময়। আসলে জুগীরগোফা গ্রামটা এমন একটি গ্রাম সেখানে যদি যাওয়া যায় সত্যি আসতে মন চায় না ভাই আমিও সেখানে দীর্ঘ সাত বছর থেকেছি। সেখানে আপনারা কিছু টাকি মাছ ধরতে পেরেছিলেন জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

আসলে গ্রামটার উপর আমার তেমন টান নেই কিন্তু নানি বাড়ির উপর খুব টান ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যটি করার জন্য।

ভাইয়া আপনি আজকে ছোটবেলায় বন্ধুদের সাথে মাছ ধরতে যাওয়ার বেশ চমৎকার একটি গল্প শেয়ার করেছেন। আপনারা দুই বন্ধু মিলে মাছ ধরতে গিয়ে শুধু একটি টাকি মাছ পেয়েছিলেন। তারপর আপনার নানি বাড়ি জুগীর গোফাতে গিয়ে মাছ ধরেছিলেন। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য।