শত্রু থেকে বন্ধুত্ব। পর্ব-৬

in hive-129948 •  last year 
আস-সালামু আলাইকুম

প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাইবোন বন্ধুরা,

আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমি আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।

water-drops-g6af62f0d3_1920.jpg

সোর্স

আজকে আমি আপনাদের মাঝে নিয়ে চলে আসলাম আরো একটি নতুন পোস্ট। গত গতকালকে পোস্টে আমি আপনাদের মাঝে বন্ধু থেকে শত্রু গল্পটির পঞ্চম পর্ব শেয়ার করেছি। তো আজকে আমি আপনাদের মাঝে বন্ধু থেকে শত্রু গল্পটির ষষ্ঠ পর্ব শেয়ার করতে চলেছি আশা করি এই পর্বটি আপনাদের ভালো লাগবে। তো চলুন আর বেশি দেরি না করে মূল গল্প যাওয়া যাক।

গত পর্বের শেষের কিছু অংশ

গতবারের মতো ক্লাস ফাঁকি দেয়ার কারণে স্যারের কাছে এবারেও অনেক মার খেলাম। মার খেয়ে ব্যথার চোটে আমার গায়ে জ্বর চলে এসেছিল। তাই বাড়িতে এসে আম্মুর কাছে বললাম যে আমি খুব অসুস্থ আমি কয়েকদিন স্কুলে যেতে পারবো না। তাই আম্মুকে দিয়ে স্যার কে ফোন করিয়ে কয়েকদিন ছুটি চাইলাম। যেহেতু অসুস্থ ছিলাম আর গার্জেন ফোন করেছে তাই স্যার ও ছুটি দিতে রাজি হয়ে গিয়েছিল। আমার দেখাদেখি নয়নও তাঁর আম্মুকে কোন রকম ম্যানেজ করে স্যারকে ফোন দিয়ে ছুটি নিয়েছিল। যাক স্কুল ছুটি নেওয়ার কারণে এবারে হয়তো কয়েকদিন ওদের থেকে মুক্তি পাব।

পর্ব-৬

স্কুল ছুটি নেয়ার কারণে কয়েক দিন বেশ মজার সাথে কাটালাম। দুই-একদিনের মধ্যেই আমি সুস্থ হয়ে গিয়েছিল তারপর থেকেই সারাদিন শুধু খেলায় খেলতাম। দেখতে দেখতেই ছুটি গুলো শেষ হয়ে আসলো। এবার কি করবো আবারো তো আমাকে স্কুলে যেতে হবে এবং ওদের কথা শুনতে হবে। যেহেতু আমার কাছে আর কোন উপায় ছিল না তাই পরের দিন আমি আর নয়ন একসাথে স্কুলে চলে গেলাম। স্কুলে গিয়েই দেখি সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে। বুঝলাম কোন না কোন গন্ডগোল হয়েছে। কিন্তু তখন আমি সবাইকে ইগনোর করে একটা সিটে গিয়ে বসে পড়লাম। যেহেতু প্রতিটা বেঞ্চে চারজন বসার নিয়ম সেহেতু আমি আর নয়ন বাদে আরও দুইজন আমাদের বেঞ্চে বসে ছিল। তো ওদের মধ্যে একজন আমাকে বলছে আমরা আজও কোন প্রেম করতে পারলাম না কিন্তু এই স্কুলে মাত্র কয়েক দিন এসে রুহিকে পটিয়ে ফেললি। ওর কথা শুনে আমি আর নয়ন তো পুরাই অবাক।

কারণ আমি আজ পর্যন্ত রুহির সাথে কথাই বলিনি প্রেম তো দূরে থাক। তখন আমি বুঝতে পারলাম যে ওই চারজনই হয়তো আমার নামে এই বদনাম ছড়িয়েছে। আমি ওদের এত কাজ করে দিলাম কিন্তু তারপরও ওরা আমার নামে বদনাম ছড়িয়েছে। কথাটা ভাবলেই যেন রক্ত গরম হয়ে আসছে। কিন্তু তখন চুপচাপ সবগুলো ক্লাস করলাম। টিফিন টাইম নয়ন আমাকে জিজ্ঞেস করছে, কি ঘটনা আমাকে খুলে বল তো? আমি তখন নয়নকে সব কথাগুলো খুলে বললাম। নয়ন আমার কাছ থেকে কথাগুলো শুনে বলল এত কিছু হয়ে গেল কিন্তু আমাকে একবার বলার প্রয়োজন মনে করলি নি? তখন আমি আর কিছু না বলে বললাম এমনিতেই কোন ঝামেলা করবো না বলেই তোকে কিছু বলিনি।এছাড়া আরও বললাম এবার যদি ওরা আমার সাথে ঝামেলা করতে আসে তাহলে আমি ওদের ছাড়বো না।

নয়ন তো আগে থেকেই ওদের উপর রেগে ছিল আর আমার কথা শুনে ও আমার সাথে সহমত পোষণ করলো। তো সেদিনের মত ওরা আমাদেরকে ডিস্টার্ব করেনি। কয়েকদিন খুব ভালোই যাচ্ছিল ভাবলাম এবারে হয়তো সবকিছু ঠিক হয়ে গিয়েছে। নিজেকে মোটামুটি শান্ত করে ফেললাম। কিন্তু ওরা তো ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয় আবারো আমাকে জ্বালানোর চেষ্টা করল। তবে এবারে সরাসরি আমাকে টার্গেট করেনি ওরা মূলত রুহির কাছে গিয়ে আমার নামে বদনাম ছড়িয়েছে। ওরা রুহিকে গিয়ে বলেছে আমি নাকি ক্লাসের সবাইকে জানাতে বলেছি যে আমি রুহিকে ভালবাসি। কথাগুলো আমার একটা বান্ধবী এসে আমাকে বলল। এবার আমার রাগের চোটে রক্ত গরম হয়ে আসলো। আমি কথাগুলো গিয়ে নয়নকে বললাম। আর দুজনে মিলে প্লান করলাম এবারে আমরা ওদের সামনে যাবো। আমাদেরকে যদি কোন ভাবে ডিস্টার্ব করতে আসে তাহলেই ওদেরকে উচিত শিক্ষা দিয়ে দিব। তোর টিফিন টাইমে আমরা ওদের সামনে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে গেলাম....

চলবে,,,,

প্রথম পর্বের লিংক
দ্বিতীয় পর্বের লিংক
তৃতীয় পর্বের লিংক
চতুর্থ পর্বের লিংক
পঞ্চম পর্বের লিংক

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.