শত্রু থেকে বন্ধুত্ব। পর্ব-৪

in hive-129948 •  last year  (edited)
আস-সালামু আলাইকুম

প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাইবোন বন্ধুরা,

আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমি আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।

water-drops-g6af62f0d3_1920.jpg

সোর্স

আজকে আমি আপনাদের মাঝে নিয়ে চলে আসলাম আরও একটি নতুন পোস্ট। তবে অনেকদিন হয়ে গেল আমার গল্পের কোন পর্ব আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হয়নি। আসলে ঠিক সময় হয়ে ওঠে না। তার জন্যই এতদিন কোন পর্ব শেয়ার করতে পারিনি। তো যাই হোক আজকে আমি আমার গল্প শত্রু থেকে বন্ধুত্ব গল্পটির চার নম্বর পার্ট শেয়ার করতে চলেছি। আশা করি এই পর্বটি আপনাদের ভালই লাগবে। তো চলুন আর বেশি দেরি না করে আজকের পর্বটি শুরু করা যাক।

গত পর্বের শেষের কিছু অংশ

তো এরপর নয়ন অনেক রেগে যাই এবং বলল আমরাও এর বদলা নিব। কিন্তু আমি নয়নকে বোঝালাম যে এখন যদি আমরা ঝামেলা করতে যাই তাহলে ঝামেলা আরো বাড়বে তার থেকে বরং আমরা আর কিছু না বলি তাহলে সব ঠিক হয়ে যাবে। তো নয়ন প্রথমে তো রাজি হচ্ছিল না কিন্তু আমি অনেকবার বলাতে সে রাজি হয়ে গিয়েছিল তবে আমাকে ও বলে দেয় যে এবার যদি ওরা আমাদেরকে বিরক্ত করতে আসে আমি তো ওদেরকে ছাড়বো না

পর্ব-৪

তো আমি তখন আর কিছু না বলে বললাম ঠিক আছে যা খুশি করিস। তো সেদিনের মতো আমরা বাড়িতে চলে গেলাম। প্রতিদিনের মতো পরের দিন আমি আর নয়ন স্কুলে গেলাম। প্রথমদিকে সবকিছুই ঠিক ছিল। তো একসময় আমার চোখ কিছুক্ষণের জন্য রুহির দিকে চলে গিয়েছিল। আসলে ওকে যেহেতু আমার ভালো লাগে তাই ওর দিকে চোখ যাওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু আমার সেই দিন বার বার রুহির দিকে চোখ যাচ্ছিল। তো আমার এই রুহিত দিকে তাকিয়ে থাকাটা ওই চারজন লক্ষ্য করে।

টিফিন টাইমে নয়ন একটু বাইরে গিয়েছিল তখন ওরা আমাকে ডাক দেয়। যদিওবা আমি ওদের কাছে আসতে চাইনি কিন্তু তখন ওরা আমাকে জোর করেই ধরে নিয়ে আসে। আর আমাকে বলে যে তুই কি রুহিতে ভালবাসিস। ভালবাসলে বল আমরা তোকে সাহায্য করবো। কিন্তু আমি তো জানছি ওরা আমার মুখ থেকে কথা বের করার জন্য এই কথাগুলো বলছে। তো আমি রাজি হচ্ছিলাম না কিন্তু তখন ওরা আমাকে বলে যে আমরা দেখেছি যে তুই মাঝে মাঝেই রুহিত দিকে তাকিয়ে থাকিস।

তো তখন ওরা আমাকে বলল আমরা যা বলব তাই যদি না শুনিস তাহলে আমরা সবাইকে এই কথাটা বলে দেবো। তো বিষয়টা শুনে আমি বেশ ভয় পেয়ে গেলাম। তাই আমি ওদেরকে বললাম যে ঠিক আছে তোরা যা বলবি তাই করে দেব। তো প্রথমেই ওরা আমাকে বলল এই কথাগুলো নয়নকে বলা যাবে না। আমি বললাম ঠিক আছে বলবো না। এরপরই ওরা আমার হাতে কিছু টাকা দেয় আর অর্ডার করে বাইরের দোকান থেকে বিস্কিট কিনে নিয়ে আয়। যেহেতু কিছু করার নাই তাই আমি ওদের কথা মতো ওদের জন্য বিস্কুট কিনে নিয়ে আসলাম।

তো এভাবে ওরা আমাকে দিয়ে অনেক কাজ করিয়ে নেয়। একদিন ওরা আমাকে ঝালমুড়ি কিনে আনতে বলে তখন নয়ন আমাকে দেখে ফেলে আর বলে ঝালমুড়ি কাদের জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছিস। তো আমি তখন বললাম যে ওই চারজনের জন্য। নয়ন এই কথা শুনেই রেগে গেল। তো তখন আমি নয়ন কে কোন রকমের ভুলভাল বুঝিয়ে বললাম এমনিতেই ওরা অন্য একটা ছেলেকে বলছিল তাই আমি বললাম আমি কিনে নিয়ে আসছি। তো এটা বলাতে নয়ন একটু শান্ত হল। তো যাই হোক যতদিন যাচ্ছে ওদের অর্ডার গুলো তত কঠিন হতে যাচ্ছে। তো ওদের প্রতিটা শর্তেই মেনে নেয়ার মতো ছিল কিন্তু একদিন ওরা আমাকে এমন একটা শর্ত দেয় যেটা আমার পক্ষে মেনে নেওয়া খুবই কষ্টকর ছিল....

চলবে,,,,

গতপর্ব গুলার লিংক

প্রথম পর্বের লিংক
দ্বিতীয় পর্বের লিংক
তৃতীয় পর্বের লিংক

তো প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাই বোন বন্ধুরা, এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। আমার গল্পের আজকের পর্বটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। আর কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে আশা করি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। তো আজকের মত এটুকুই। আবারো খুব শীঘ্রই নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে ইনশা-আল্লাহ। ততক্ষণ সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন।

আল্লাহ হাফেজ
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.