ছোটবেলার বন্ধু জিহাদ জীবিকার তাগিদে চলে গেল দূর প্রবাসে।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে নিয়ে চলে আসলাম আরো একটি নতুন পোস্ট। তো বন্ধুত্ব আমাদের জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ছোটবেলা থেকে আমাদের কিছু বন্ধু তৈরি হয়। আবার বিভিন্ন কারণে আমাদের কয়েকটা বন্ধু হারিয়ে যায় আবার নতুন কয়েকটা বন্ধু চলে আসে। কিন্তু এমন খুব কম বন্ধু আছে যারা সেই ছোটবেলা থেকেই শেষ জীবন পর্যন্ত একসাথে থাকে। আসলে বন্ধু চেঞ্জ হওয়ার কারণ হচ্ছে পড়ালেখার জন্য বাইরে যাওয়া বা কোনো কর্মের জন্য বাইরে যাওয়া। আর যদি একবার বাড়ি ছেড়ে বাইরে যাওয়া যায় তাহলে সে ছোটবেলার বন্ধু গুলার সাথে আর তেমন কোনো যোগাযোগ থাকে না। হয়তোবা খুব কম সময়ে তাদের সাথে কথা হয়।

তো আজকে আমার একটা ছোটবেলার বন্ধু দেশ ছেড়ে চলে গেল দূর প্রবাসে। আমার জীবনে এই প্রথম আমার কোনো ছোটবেলার বন্ধু অর্থাৎ আমার একটা ঘনিষ্ঠ বন্ধু আমাদেরকে ছেড়ে প্রবাসে গেলো। সত্যিই গত দুইদিন আগে ওকে যখন বিদায় জানাচ্ছিলাম তখন বেশ খারাপ লাগছিল। আসলে আবার কবে ওর সাথে সরাসরি দেখা হবে একসাথে বসে আড্ডা দেবো তা হয়তো জানি না। আবার ওর সাথে আমার দেখা হবে কিনা সেটাও আল্লাহ তায়ালাই ভালো জানে। আর যার জন্য হয়তোবা একটু বেশি খারাপ লাগছিল।

তো গত দুইদিন আগে আমরা ওকে বাসে তুলে দেওয়ার জন্য বেশ কয়েকজন গিয়েছিলাম। তো ওখানে যারা যারা ছিল তাদের সবাইকে আমি সবাইকে একে একে জিজ্ঞেস করছিলাম তুই কি বিদেশ যাবি? তো একের পর এক সবাইকে জিজ্ঞেস করার পর দেখলাম ম্যাক্সিমাম বন্ধুরা বা ছোট ভাইয়েরাই বিদেশে যেতে চাই। সত্যি আস্তে আস্তে যদি সবাই বিদেশে যেতে থাকে তাহলে হয়তো আমি একসময় একা হয়ে যাব। কারণ এখন পর্যন্ত আমার বিদেশ যাওয়ার কোনো ইচ্ছা জাগে না। তবে বিভিন্ন দেশ-বিদেশে ঘুরতে ইচ্ছা জাগে।

যাইহোক জিহাদের সাথে আমার অনেক স্মৃতি আছে। সেই ছোটবেলা থেকেই আমরা একে অন্যকে চিনি। স্কুল লাইফে আমরা অনেক সময় কাটিয়েছি। এমন অনেকদিন আছে দুজনে একসাথে স্কুলে যাব বলে ওর বাড়িতে গিয়ে বসে থাকতাম। আবার একসময় ও আমার বাড়িতে এসে বসে থাকতো দুজনে একসাথে স্কুলে যাব বলে। তবে কলেজে ওঠার পর প্রায় সব সময় আমি ওর বাড়িতে যেতাম কারণ একবারে ওর বাড়ি দিয়ে গেলে সহজ হতো। তবে একটা মজার বিষয় হচ্ছে ও কখনোই তাড়াতাড়ি রেডি হত না। তো সেই সময় অনেক খারাপ লাগতো কিন্তু যখন একসাথে দুজনে বেরিয়ে পড়তাম তখন সব ভুলে যেতাম। যখন আমি যাব ঠিক তখন ও আমাকে দাঁড় করিয়ে রেখে রেডি হবে এবং তারপর দুজনে মিলে একসাথে কলেজে যেতাম। যাইহোক ওর সাথে যত স্মৃতি আছে হয়তো অনেক ভুলেও গিয়েছি আবার অনেক এমন স্মৃতি আছে যেগুলো বলে বোঝাবার নয়। তবে একটা স্মৃতির সবসময় হয়তো মনে থাকবে সেটা হচ্ছে আমার ফোনটা থেকে ওর ফোনের ক্যামেরা ভাল ছিল যার কারণে আমার অনেক ছবি ওর ফোন দিয়ে ওই আমাকে তুলে দিতে। আর আমি যখন এবিবি লেভেল টু এর লিখিত পরীক্ষা দিয়েছিলাম তো সেখানে একটা ছবি আপলোড করেছিলাম আর সেটাও জিহাদ আমাকে তুলে দিয়েছিল।

তো প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির ভাই বোন বন্ধুরা, এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। দোয়া করি জিহাদ যেখানেই থাকুক ভালো থাকুক আল্লাহ তাআলা ওকে সুস্থ রাখুক‌। তো আজকের মত এটুকুই। আবারো খুব শীঘ্রই নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে ইনশা-আল্লাহ। ততক্ষণ সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন।

আল্লাহ হাফেজ