আম্মুর থেকে পাওয়া সাহায্য।

in hive-129948 •  3 months ago 
আস-সালামু আলাইকুম

প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাইবোন বন্ধুরা,

আশা করি আপনারা সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন আমি আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।

Pink & Blue Watercolor Painted Canvas Quote Instagram Post_20240820_145127_0000.png

Canva অ্যাপ দিয়ে তৈরি

আজকে আমি আপনাদের মাঝে নিয়ে চলে আসলাম আরও একটি নতুন পোস্ট। দৈনিক আমার অনেক কাজ আছে যেগুলো আম্মু করে দিয়ে থাকে। আর এগুলো করতে তিনি কখনোই আপত্তি করেন না। আসলে এগুলাই ওনার ডেইলি রুটিনে পরিণত হয়েছে। আর আমিও এভাবেই অভ্যস্ত হয়ে গেছি। তবে যদি কোনোদিন আম্মু কোথাও যাই অর্থাৎ আমাকে বাসায় রেখে কোথাও বেড়াতে যাই বা কোনো কাজে যাই তাহলে খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারি দৈনন্দিন জীবনে আম্মু আমাকে ঠিক কতটা সাহায্য করে।

তবে আম্মু আমাকে বাড়িতে রেখে সচারাচর কোথাও যায়না বললেই চলে আর কোথাও গেলেও টাইম মতো ফিরে আসে। কিন্তু মাঝে মাঝে কোথাও না গেলেই যেন নয়। কিছুদিন আগে আমার খালা অসুস্থ হয়েছিলেন তার জন্য আম্মু তার সাথে হসপিটালে দু একদিন থেকেছিলেন। তবে বাড়িতে আমার জন্য তেমন কোনো কাজ রেখে গিয়েছিলেন না। তবে সেই কাজগুলো করতে গিয়েই মনে হচ্ছিল যেন মাথার ঘাম পায়ে পড়ে যাচ্ছে।

তো যাই হোক এইতো গেল কিছুদিন আগের কথা গতকালকে আম্মু আমাকে বাসায় রেখে আপুর বাসায় গিয়েছিলেন। আমারও ইচ্ছে ছিল আম্মুর সাথে গিয়ে আপুর বাসায় ঘুরে আসার কিন্তু কাজের কারণে সেখানে আর যাওয়া হয়নি। তাই বাড়িতেই ছিলাম। আম্মু গতকালকে গিয়েছিল আর আজকেই চলে এসেছিল তবে গতকালকে আম্মুকে ছাড়া কিছু মুহূর্ত থাকতেই যেন মনে হয়েছিল কত কষ্টে আছি। আসলে আম্মুকে ছাড়া আমার অল্প কিছু কাজ বাড়তি করতে হয় কিন্তু সেগুলো করতে গিয়ে যেন অবস্থা খারাপ হয়ে যায়।

প্রতিদিন আম্মু নিজের হাতে খাবার বেড়ে আমাকে খেতে দেয় কিন্তু যেদিন আম্মু বাড়িতে থাকে না সেদিন নিজেকেই খাবার নিয়ে খেতে হয়। কিন্তু এই খাবার বাড়তে গিয়ে যে এতটা আলসেমি কাজ করে আমার মধ্যে তো আমার বলার বাইরে। অর্থাৎ অতীতে এমন হয়েছে যে যতক্ষণ না পর্যন্ত অতিরিক্ত ক্ষুধা না লেগে যায় ততক্ষণ পর্যন্ত নিজে গিয়ে খাবার বেড়ে খাইনি। আর বাকি কাজগুলো তো বাদই দিলাম। আসলে মেয়েদের এই কাজগুলো দেখলে সহজ মনে হয় কিন্তু নিজে করতে গেলে বোঝা যাই অভ্যাস না থাকলে এগুলোও বেশ কঠিন।

তো সব মিলিয়ে মাঝে মাঝে চিন্তা করি আল্লাহ তায়ালা মাকে না দিলে হয়তোবা চলার পথটা অনেক কঠিন হয়ে যেত। তার জন্যই সকল সন্তানদের চেষ্টা করা উচিত তাদের থেকে যেন তাদের মায়েরা কষ্ট না পায়।

তো প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির ভাই বোন বন্ধুরা, এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। পোস্টটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে কমেন্টে জানাতে পারেন। তো আজকের মত এটুকুই।আবারো খুব শীঘ্রই নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে ইনশা-আল্লাহ। ততক্ষণ সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন।

আল্লাহ হাফেজ
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

আসলে মায়ের স্নেহ ভালোবাসা কখনো ভোলা যায় না। যারা প্রতিনিয়ত মায়ের স্নেহ ভালোবাসার মধ্যে থাকে হঠাৎ আম্মা যদি পাশে না থাকে তাহলে বোঝা যায় মায়ের মর্ম কতখানি। ঠিক তেমনি আজকে আপনি অনুভব করতে পেরেছেন আপনার বোনের বাসায় আপনার আম্মা বেড়াতে গিয়েছিল আর সেই মুহূর্তে আম্মা পাশে না থাকায় তার অনুপস্থিত থাকার অভাবটা। আশা করব এখান থেকেই বেশ শিক্ষা নিবেন মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা ও অনুগত্যশীল হওয়ার।