আব্দুর রহমানের দুষ্টামি।

in hive-129948 •  last year 
আস-সালামু আলাইকুম

প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাইবোন বন্ধুরা,

আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমি আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।

IMG_20231103_195709.jpg

আজকে আমি আপনাদের মাঝে নিয়ে চলে আসলাম আরও একটি নতুন পোস্ট। তো কিছুদিন আগে আমি একটা পোস্টে শেয়ার করেছিলাম যে আমার আপুরা আমাদের বাড়িতে এসেছে। তো এবারে আপুরা প্রায় দুই বছর পর আমাদের বাড়িতে আসলো। যার জন্য অনেক ভালোলাগা কাজ করছিল আর সব থেকে বেশি ভালো লাগার কাজ করছিল যার জন্য সে হচ্ছে আমার ছোট্ট ভাগ্নে টা।

আসলে ওর বয়স বর্তমান ১৩ মাস। তো ও যখন জন্ম হয়েছিল তখন আমরা আপু বাড়ি গিয়েছিলাম আর সেটা নিয়ে আপনাদের মাঝে অনেক পোস্ট ও শেয়ার করেছিলাম জানিনা সেগুলো আপনাদের কারোর মনে আছে কিনা। যাইহোক আপুদের বাড়ি থেকে আসার পর ভাগ্নের সাথে আর দেখা হয়নি। তো এবার যেহেতু প্রথমবারের মতো ও আমাদের বাড়িতে আসলো তার জন্য আমি অনেক বেশি খুশি ছিলাম। তবে ও বাড়ি আসার পর যখন আমি ওকে প্রথমবার কোলে নিতে যাই ও আসবে না তো আসবেই না।

তারপরেও জোর করে একটু কোলে নেয়ার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু কিছুক্ষণ থেকেই কান্না শুরু করে দিয়েছিল। তো এভাবেই প্রতিদিন জোর করে ওকে কোলে নেওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু ও কিছুক্ষণ থেকেই আবার নিচে নামতে চাই। আসলে বাচ্চারা যে এতটা অস্থির হয় সেটা আমি এবারই প্রথম জানতে পারলাম। আসলে কখনো এভাবে এক বছরের বাচ্চা সামলানোর চেষ্টা করিনি তো তাই তেমন কোন এক্সপেরিয়েন্স ছিল না আমার। আর যখন সামলানোর চেষ্টা করতাম তখন আমি নিজেও ছোট ছিলাম।

যাইহোক যেটা বলছিলাম ও যে এতটা অস্থির ওকে এক জায়গায় স্থির করে রাখা যায় না। যদি ওকে নিচে ছেড়ে দেই তাহলে ও একবার এদিক আরেকবার ওদিক যাবে আর মাঝে মাঝে খাটের নিচে আরেকবার আলনার পিছনে। এভাবেই খেলা খেলতে খেলতেই ওর দিন চলে যায়। আর মাঝে মাঝে দেখি আপু ওকে সামলাতে সামলাতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছে। আসলে এবারই রিয়েলাইজ করতে পারলাম যে একটা বাচ্চাকে সামলাতে মায়ের কতটা কষ্ট হয়ে থাকে। কারণ আমি ওকে কোলে নিয়ে খুব বেশিক্ষণ রাখতে পারছি না। যার কারনে ওকে আবারও আপুর কোলে ফিরে যেতে হচ্ছে আর আপুকেও বারবার ওকে সামলাতে হচ্ছে। আর তাও তো ওর বয়স মাত্র এক বছর হলো এখনো তো দিন পড়ে আছে।

আসলে এতদিন আমি অন্যদের বাচ্চা সামলানো দেখে ভাবতাম এটা তো তেমন কোন ব্যাপারই না কিন্তু এখন খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারছি যে একটা বাচ্চাকে সামলানো কতটা মুশকিল। কারণ বাড়ির সবাই মিলে সামান্য আমার ছোট ভাগ্নে আব্দুর রহমানকেই সামলাতে পারছি না ‌। তবে হ্যাঁ ওর দুষ্টামি দেখতে কিন্তু বেশ ভালই লাগে আমার। আবার কোলে নিলে কান্না করে যার জন্য একটু বিরক্ত হই। কারণ অনেকদিন হলো কিন্তু এখনো সেই ভাবে ওকে কোলে নিতে পারলাম না। আসলে সারাদিন বাড়িতে থাকা হয় না তো শুধুমাত্র রাতেই আর সকালে ওর সাথে দেখা হয় যার কারণে এখনো ও আমাকে সেইভাবে চিনতে পারেনি। তবে আমার মনে হয় এবার আর ও আমাকে সেইভাবে চিনতে পারবে না কারণ আপুরা আবার খুব শীঘ্রই বাসায় ফিরে যাবে।

তো প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাই বোন বন্ধুরা, এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। তো শেষে একটা কথাই জিজ্ঞেস করতে চাই আপনাদের যাদের কিউট কিউট বাচ্চা আছে তারা কিভাবে সামলান একটু বলে দিয়েন যাতে পরবর্তীতে আব্দুর রহমানকে কোলে নিলে একটু সামলাতে পারি। তো আজকের মতো এটুকুই আবারো খুব শীঘ্রই নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে ইনশা-আল্লাহ। ততক্ষণ সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন।

আল্লাহ হাফেজ
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

image.png

  ·  last year (edited)

বাচ্চা সামলানো অনেক কঠিন ব্যাপার ভাই। আব্দুর রহমানের হাঁসিটা আমার ভীষণ ভালো লাগলো ভাইয়া। জ্বী ভাইয়া মনে আছে। আপনি আপু বাড়ি গিয়েছিলেন কিছুদিন আগে। ও যেহেতু প্রথমবারের মতো আপনাদের বাড়িতে এসেছে তাহলে তো সবাই খুশি এবং আপনি তো ভীষণ খুশি মনে হচ্ছে। ছোট মানুষ ভাইয়া কখনোই এক জায়গায় স্থির থাকেনা কিন্তু ভালো লাগে একটু সাবধানে রাখবেন। বাচ্চা সামলানো কিন্তু ভাই অনেক কষ্টের ব্যাপার। আস্তে আস্তে চিনে যাবে ভাইয়া। ছোট মানুষ তো কিছুদিন থেকে যদি আবার চলে যায় চিনতে পারেনা। আস্তে আস্তে যখন বড় হবে তখন ঠিকই চিনতে পারব। অনেক ভাল ছিল আপনার লেখাটি আজকে।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।এত সুন্দর একটি লেখা আমাদের মাঝে পরিবেশন করার জন্য

ঠিক বলেছেন ভাই বাচ্চা সামলানো খুবই কঠিন। তবে ওদের দুষ্টামি দেখতেও বেশ ভালো লাগে।

আমাদের বাড়িতেও এমন একজন রয়েছে যার দুষ্টামি শেষ নেই। তবে বাচ্চাদের এই সমস্ত দুষ্টামি গুলো কিন্তু খুবই ভালো লাগে। ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট সামনে পেয়ে আমার অনেক ভালো লাগলো।

ঠিক বলেছেন ভাই বাচ্চাদের দুষ্টামি গুলো দেখতেও বেশ ভালো লাগে।