ছোটবেলায় ভূতের গল্প শুনে যখন অতিরিক্ত ভয় পেয়ে যায়। শেষ পর্ব

in hive-129948 •  2 years ago 
আস-সালামু আলাইকুম

প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাইবোন বন্ধুরা,

আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমি আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।

horror-g47fa69b4b_1920.jpg

সোর্স

আজকে আমি আপনাদের মাঝে নিয়ে চলে আসলাম আরো একটি নতুন পোস্ট। গত পরশুদিন আমি আপনাদের মাঝে ছোটবেলায় ভূতের গল্প শুনে অতিরিক্ত ভয় পাওয়া নিয়ে একটি পোস্ট করেছিলাম। আজকে আমি আপনাদের মাঝে সেই গল্পের দ্বিতীয় পার্ট শেয়ার করব। তো চলুন আর বেশি দেরি না করে শুরু করা যাক।

তো নয়নের নানি ভূতের গল্প বলা শুরু করল। প্রথমেই নানী আমাদেরকে বলল আমি ভূত দেখেছি। বলছে আমি রাতে যখন বের হই তখন মাঝে মাঝে দেখতে পায়। যে এই যে এই বাঁশঝাড় আছে এটা পুরা আলোকিত হয়ে ওঠে। আসলে নয়নদের বাড়ি তখন খোলামেলা ছিল আর ঠিক পাশে একটা ঘন বাঁশঝাড় ছিল। এখন অবশ্য নয়নদের বাড়ি মোটামুটি ঘেরা আবার বাঁশঝাড়ো নেই। তো যাই হোক এছাড়াও নানি বলছিল যে আগে দেখতাম ভুতরা যেদিন বিয়ে করতো সেদিন এই চারি সাইডে ঘোরাঘুরি করত। যেহেতু আমরা তখন ছোট ছিলাম এগুলো শুনে আমরা অনেক ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।

এরপর আবারও নানী বলছে যে একদিন রাতে আমি বাইরে এসেছিলাম। তখন দেখি আমার সামনে সাদা জামা পড়া একজন। তখন নানি আরো বললো এটা শুধু তিনি নয় আমার বন্ধু আকাশও দেখেছে। আমরা আকাশকে জিজ্ঞেস করলাম সত্যি কি দেখেছিস তখন বলল হ্যাঁ আমিও দেখেছি। আসলে আপনারা বলতে পারেন যে এখানে আকাশ কিভাবে দেখবে। কারণ ওটা তো নয়নের নানি। আসলে নয়ন এবং আকাশ দুজনে খালাতো ভাই। নানি মূলত ওই সময় আকাশ দের বাড়িতে থাকতো। তাই উনি ওই সাদা জিনিসটাকে দেখে সঙ্গে সঙ্গে আকাশকে ডেকেছিল এবং নানির সাথে সাথে আকাশও দেখেছিল। আর হ্যাঁ, আকাশ এবং নয়নের বাড়ি কিন্তু একদম পাশাপাশি। যাইহোক নানি এরপর বলছিল যে আমার কানের কাছে এখনো একটা আওয়াজ হয়।

এইসব শুনে আমরা অনেকটাই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। যেহেতু সন্ধ্যা সময় আমরা গল্প করতে বসেছিলাম এখন মোটামুটি অন্ধকার হয়ে গিয়েছে। চিন্তার বিষয় ছিল বাড়ি যাব কিভাবে। তখন তো আমার কাছে ফোনও ছিল না। তবে হ্যাঁ নয়ন এবং আকাশ ও আমাদের সাথে গিয়েছিল কারণ নয়নদের বাড়িতে কয়েল লাগতো। আর দোকান যেহেতু রাস্তায় তাই ওরা আমাদের সাথে রাস্তা পর্যন্ত গিয়েছিল। আর হ্যাঁ নয়নের কাছে ওর আম্মুর মোবাইলটা ছিল। আসলে আমাদের কাছে লাইট ছিল না তাই মোবাইলটা নিয়ে এসেছিল লাইট হিসেবে ব্যবহার করার জন্য। যাই হোক যেহেতু আমরা চার পাঁচ জন ছিলাম তাই সবাই মিলে একসাথে কোন রকমে রাস্তা পর্যন্ত যায়। কিন্তু রাস্তা পর্যন্ত যাওয়ার সময় আমার একটা বন্ধু এতটাই ভয় পেয়েছিল যে ও কান্না করতে শুরু করে দিয়েছিলো। কিন্তু একটা বিষয় ভাল ছিল যে ওর বাড়ি কাছে ছিল তাই আমরা সবাই মিলে ওকে ওর বাড়ি পৌঁছে দিয়েছিলাম। কিন্তু এখানে সমস্যা হচ্ছে একটাই সব থেকে আমার বাড়ি দূরে। ওরা না হয় আমাকে রাস্তা বন্ধ এগিয়ে দিয়ে আসবে কিন্তু আমাকে বাড়ি যেতে হলে তো রাস্তা থেকে আরো অনেক দূর যেতে হবে। আমাকে কে পৌঁছে দিবে।

তারপর আমার নয়নের কাছে যে ফোনটা আছে ওইদিকে নজর গেল। আর আমার আম্মুর নাম্বারও আমার মনে ছিল তাই তখন ভাবলাম আম্মুর কাছে ফোন দিয়ে রাস্তায় আসতে বলব। তো যেই কথা সেই কাজ আমি তখনই নয়নকে বললাম যে তোর ফোনটা দে একটু আমি আম্মুকে ফোন দিয়ে রাস্তায় আসতে বলি। যাহোক তারপর কথামতো আমি আম্মুকে ফোন দিয়ে রাস্তায় আসতে বললাম। তারপর আম্মু গিয়ে আমাকে বাড়ি নিয়ে আসলো।

তো প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাই বোন বন্ধুরা, এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। আজকের পোস্টটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। এই গল্পটা কিন্তু পুরো সত্যি। তবে যে নানির কাছ থেকে আমরা গল্প শুনেছিলাম উনি এখন আর বেঁচে নেই আপনারা সবাই উনার জন্য দোয়া করবেন। আজকের মত এটুকুই। আবারো খুব শীঘ্রই নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে ইনশা-আল্লাহ। ততক্ষণ সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন।

আল্লাহ হাফেজ
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.