গত ঈদুল আযহার দিন।

in hive-129948 •  last year 
আস-সালামু আলাইকুম

প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাইবোন বন্ধুরা,

আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমি আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে নিয়ে চলে আসলাম আরও একটি নতুন পোস্ট। তো আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব মূলত আমার গত ঈদুল আযহা তে কাটানোর কিছু মুহূর্ত। আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে চলুন আর বেশি দেরি না করে মূল বিষয়ে আসা যাক।

IMG_20230629_074056-01.jpeg

আসলে প্রতি ঈদের মতো এই ঈদেও আমার ঘুম অনেক সকাল সকালই ভেঙ্গে গেছিল। আসলে রাতে যত দেরি করে ঘুমায় না কেন ঈদের দিন এমনিতেই সকাল সকাল উঠা হয়ে যায়। তো যথারীতি আমি সকালবেলা করে গোসল করে পাঞ্জাবি পড়ে রওনা দিলাম ঈদগাহের দিকে ঈদের নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে। তো আমি ঈদগাহে পৌঁছাতে পৌঁছাতে আমার আগে অনেকেই ঈদগাহে পৌঁছে গেছে। তো আমার কোন বন্ধুকে খুঁজে না পেয়ে আমি একা একাই একটা জায়গায় বসে পড়লাম। এরপর চারিপাশের কয়েকটা ফটোগ্রাফি করে নিলাম। আসলে ঈদের দিন ছাড়া এরকম দৃশ্য আর কোন সময় দেখা যায় না।

IMG_20230629_074101-01.jpeg

IMG_20230629_081515-01.jpeg

যাইহোক এরপর আমি সুন্দর মতো ঈদের সালাতটা শেষ করি। তারপর বাইরে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে সব বন্ধুদেরকে মেসেজ দিতে থাকলাম। তো মেসেজ দিয়ে কাউকেই পাচ্ছিনা শেষে দেখি ওরা সবাই বাইরের দিকে চলে এসেছে। যাইহোক তারপর কিছুক্ষণের মধ্যেই ঈদগাটা অনেকটাই ফাঁকা হয়ে গেল এরপর বন্ধুরা মিলে কয়েকটা সেলফি তুলে নিলাম। কিন্তু তখন থেকেই হালকা হালকা বৃষ্টি হচ্ছিল। ভেবেছিলাম হয়তোবা আজকে সারাদিন বৃষ্টি হবে। কিন্তু পরে আর সেটা হয়নি।

তো যেহেতু এটা কোরবানির ঈদ ছিল তাই এই ঈদে সবার কাজ ছিল অন্য রকম। কিন্তু যেহেতু এই বছরে আমাদের কোন কোরবানই ছিল না তাই মূলত আমার হাতে কোন কাজ নেই। যদিও ভাই এবার কোরবানি দেয়ার আমার খুব ইচ্ছা ছিল কিন্তু একটা অসুবিধার কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। যাইহোক যেহেতু কাজ ছিল না তাই আমি সোজা বাসায় চলে আসলাম এবং কিছু খাওয়া দাওয়া করে নিলাম। এরপর একটু পরেই ঈদগা হয়ে ঘুরতে গেছিলাম।

তো ঘুরে এসে আবারো বাসায় এসে খেতে বসব তখনই বাড়িতে একটা ঝামেলা বেধে যায়। যাইহোক কোনরকম ঝামেলাটাকে মিটমাট করে খেতে বসে পড়লাম। তারপর বিকালে আবারো ঘুরতে গিয়েছিলাম কিন্তু আমার ছোট খালামণি আগে থেকেই বাসায় আসার জন্য বলেছিল তাই সন্ধ্যার দিকে বেরিয়ে পড়লাম খালার বাসার উদ্দেশ্য। তো খালামনির বাসাতে আমি শুধু একা যায়নি মূলত আমার যত খালাতো মামাতো ভাই আছে প্রায় সবাই গিয়েছিলাম এবং সময় গুলো দারুন কাটিয়েছিলাম। যাহোক এরপর আমি আর বাড়ি না এসে আমি সেদিন খালার বাসা থেকে সোজা নানির বাসায় গিয়ে ছিলাম এবং সেখানেই থেকে গেছিলাম।

তো প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাই বোন বন্ধুরা, এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। আমার আজকে শেয়ার করার রেসিপিটা আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। তো আজকের মত এটুকুই। আবারো খুব শীঘ্রই নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে ইনশা-আল্লাহ। ততক্ষণ সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন।

আল্লাহ হাফেজ
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

image.png

ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে অনেক দিন আগে তোলা ছবি শেয়ার করেছেন।আসলে ঈদুল আযহার দিন উপলক্ষে বেশ দারুন একটি পোস্ট তৈরি করেছেন। আসলে এই দিনে আমরা ঈদগাহ ময়দানে গিয়ে নামাজ আদায় করে একে অপরের সাথে কোলাকুলি করি সত্যি বেশ দারুন লাগে। আপনি খালামনির বাসাতে গিয়েছিলেন সেই দিন তাও জানতে পারলাম আপনার পোষ্টের মাধ্যমে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর ভাবে গুছিয়ে মন্তব্যটি করার জন্য।

মুসলমানদের সবথেকে বড় দুটি উৎসবের মধ্যে ঈদুল আযহা একটি। এই দিনটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। উৎসবের পাশাপাশি আমরা আমাদের ধর্মীয় কিছু নিয়মকানুন মেনে চলি। আপনার শেয়ার করার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। ঈদের দিন ঈদগায়ে যাওয়ার পর নামাজ শেষ করে একে অপরের সাথে কোলাকুলি করার মজাটাই আলাদা।

ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর ভাবে গুছিয়ে মন্তব্যটি করার জন্য।

সু স্বাগতম ভাই ভালো লাগে সব সময়।