প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাইবোন বন্ধুরা,
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমি আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।
সোর্স
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব আমার স্কুল জীবনের একটা ছোট তিক্ত অনুভূতি। আসলে আমি শুধুমাত্র ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্তই নিয়মিত স্কুল গিয়েছি। তারপর থেকে আর মনে হয় তেমন নিয়মিত স্কুল যাওয়া হয়নি আমার বেশিরভাগই স্কুল ফাঁকি দিয়েছি। তাই আমার স্কুল জীবনের অতটা তিক্ত অভিজ্ঞতা নেই। তবে যেটা আছে সেটাই শেয়ার করার চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে।
আর যেহেতু স্কুল ফাঁকি দিতাম তাই হয়তো আপনারা বুঝতেই পারছেন যে আমি অতটা ভালো ছাত্র ছিলাম না। তবে আমি পড়াশুনা ঠিকমতো না করলেও আমি কোন বেয়াদবি করতাম না সবসময় চুপচাপ থাকতেই আমার বেশি ভালো লাগতো। তো যাই হোক এবার চলে আসি আমার মূল কথায়।
প্রথমেই বলেছি আমি ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্তই ঠিক মত স্কুল যেতাম। তো এর মধ্যে আমি আপনাদের একটা তিক্ত অভিজ্ঞতা শোনাবো। আমি যখন ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ি বেশিরভাগই প্রায় পড়া হইতো না বা আমি পড়া করতাম না। না পড়ার কারণে শাস্তি পাওয়াটা আমার জন্য অভ্যেস হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এটা আমার কাছে তেমন কিছু মনে হত না।
সোর্স
কিন্তু একদিন যা ঘটলো ঐদিন একটা শিক্ষিকা আমাদের বাংলা ক্লাস নিচ্ছিলেন। তো সবাইকে উনি একে একে পড়া ধরছিলেন। নিয়মটা ছিল এমন যে একটা প্রশ্ন ধরা হবে যতক্ষণ না পর্যন্ত কেউ না পারবে ওই প্রশ্নটাই ততক্ষণ চলবে। তো আমার আগে ৩-৪ জনকে প্রশ্নটা ধরল কিন্তু তারা পারেনি।
তারপর তিনি আমাকে প্রশ্নটা করলেন আমি ওই প্রশ্নটাও মনে হয় পড়েছিলাম একটু তার জন্য আমি উত্তরটা জানতাম তাই আমি উত্তরটা দিতে পেরেছিলাম। এখন পর্যন্ত তো সব ঠিক ছিল তবে শিক্ষিকারা মূলত পড়া হলে তাকে বসতে বলে। আর যদি ম্যাডাম না বলতে বসে পড়ি তাহলেও প্রশ্ন করে অনেকগুলো কেন বসলে এরকম আবার শাস্তিও দেয়।
তো ওই দিন আমাকে শিক্ষিকা মূলত বসতে বলতে মনে ছিল না। যে যেহেতু অনেকজনেরই পড়া হয় নাই তাই সবাইকে একে একে শাস্তি দিচ্ছিল। আমার তো পড়া হয়েছে আমার তেমন ভয় ছিল না। কিন্তু হুট করে এসে তিনি আমাকেও একটা বেতের বাড়ি দিয়ে দিলেন। প্রথমে বাড়িটা খাওয়ার পর আমার তেমন কিছু মনে হলো না যেহেতু আমার অভ্যেস ছিল। তারপর ফ্রেন্ডরা বলছিল ম্যাডাম ওর তো পড়া হয়েছে। তারপর ম্যাডামের মনে পড়ে গেল যে এর তো পড়া হয়েছিল ম্যাডাম তখন আমার কাছে এসে দুঃখ প্রকাশ করলেন।
তখন আমার কি যেন হল আমি পুরাই কেঁদে দিলাম। কারণ এতদিন তো মাইর খেয়ে খেয়ে অভ্যাস আজ পড়া হয়েও মার খেলাম তার জন্য হয়তো সেদিন কাঁদছিলাম।
সোর্স
এই ছিল মূলত আমার স্কুল জীবনের ছোট একটা তিক্ত অভিজ্ঞতা জানি এটা খুব সামান্য তারপরও শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে এরকম একটা প্রতিযোগিতা আয়োজন করার জন্য। আবারো খুব শীঘ্রই নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবে আপনাদের মাঝে ইনশাআল্লাহ। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন
আপনার তিক্ত অভিজ্ঞতার অনুভূতি পড়ে জানতে পারলাম আপনি ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। আপনি যে অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন সেটা আমার সাথেও ঘটেছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে আমার পোস্টে মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit