প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাইবোন বন্ধুরা,
যাইহোক আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলেছি শপিং করতে বাজারে যাওয়ার মুহূর্ত নিয়ে। গত কয়েকদিন আগেই বন্ধু হিরা বলে রেখেছিল বুধবারে শপিংয়ে যাবে। আমিও বলেছিলাম সবাই গেলে আমিও যাব সমস্যা নাই। তো যেতে চাইছিলাম বেশ কয়েকজনকে নিয়ে কিন্তু সবাই বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে যেতে পারিনি।
তার জন্য আমি হীরা এবং পলক তিনজনে মিলে যাওয়ার কথা ছিল। পলক আগে থেকেই বাজারে ছিল।
তাই আমি এবং হিরা একসাথে বাজারে গিয়ে পলকের সাথে মিলিত হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কিছু কারণবশত আমার যেতে দেরি হয়ে যায়। তাই ওরা প্রথমেই বাজারে গিয়ে আমার জন্য অপেক্ষা করছিল।
ওদেরকে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করানোর পর আমি গিয়েছিলাম। আমি গিয়ে দেখি ওদের সাথে আমাদের পাড়ার একটা ছোট ভাই গালিব সহ সাথে আছে। তখন ভাবলাম চারজনে মিলে হয়তো বা শপিং করতে যাব। তবে আমি যাওয়ার সাথে সাথেই দেখি পলক চলে গেল তার কাজে। তখন খারাপ লাগছিল কারণ এতক্ষন ওয়েট করলো কিন্তু যেই আমি আসলাম তখনই ও চলে গেল। যাই হোক তারপরে ওকে ফোন দিয়ে ডাকার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু ও আর এসেছিলো না। পরে আমরা তিনজনই কেনাকাটা করতে যাওয়া সিদ্ধান্ত নিলাম। আমার উদ্দেশ্য ছিল মূলত হীরা ওর নিজের জন্য প্যান্ট, শার্ট বা স্যান্ডেল পছন্দ করবে তখন যদি আমার পছন্দ হয়ে যায় তাহলে নিয়ে নেব।
তো সেই মোতাবেক কোনো একটা দোকানে যেতে চাইলে তখন হীরা বলল। আমাদের বাজারে নাকি জেমস সিটি নামে নতুন একটি দোকান খুলেছে তাই ও সেখানে যাবে। তাই ওর কথামতো আমরা সেখানে গেলাম। গিয়ে দেখলাম পরিবেশটা বেশ সুন্দর করে সাজানোর চেষ্টা করেছে তারা। দেখে বেশ ভালই লাগলো। তো হীরা একের পর এক প্যান্ট জামা পছন্দ করার চেষ্টা করল। দেখলাম অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই ও ওর জন্য একটা প্যান্ট এবং শার্ট পছন্দ করে ফেলল। আমিও চেষ্টা করলাম পছন্দ করার কিন্তু কোনো কিছুই মনে ধরল না,তাই আর কিছুই কেনা হলো না।
তাই হিরার পছন্দ করা জিনিসগুলো বিল মিটিয়ে আমরা সেখান থেকে চলে আসলাম। দোকানটার ভিতরে এসি তাই খুব একটা গরম লাগছিল না। কিন্তু বাইরে আসার সাথে সাথেই গরম লাগলো তাই সবাই মিলে চলে গিয়েছিলাম ঠান্ডা ঠান্ডা লেবুর শরবত খাওয়ার জন্য। গিয়ে লেবুর শরবত অর্ডার দিলাম কিছুক্ষণের মধ্যেই শরবত ওয়ালা আমাদেরকে লেবু শরবত বানিয়ে দিলেন। এরপর শরবত হাতে নিয়ে একটা চুমুক দিলাম, খেতে বেশ ভালই লাগলো।
তো এরপর অন্য দোকানগুলোতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। প্রথমে শার্ট প্যান্টের দোকানে দিকে তাকিয়ে দেখলাম বেশ কয়েকটা দোকান বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আর আমারও কেন জানি সেই সময় কিছু কিনতে যেতে ইচ্ছে করলো না। তাই ওদের কে নিয়ে স্যান্ডেল এর দোকানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। সেখানে গিয়ে প্রথমে একটা স্যান্ডেল পছন্দ হয়ে গেল। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো স্যান্ডেলটা আমার পায়ে হলোনা। আর তাদের কাছে ওই স্যান্ডেলটার বড় সাইজ ছিল না। তবে আমি না নিতে পারলেও পরে সেই স্যান্ডেলটা হীরা নিয়ে নিয়েছিল।
যাইহোক এবারে পছন্দ করতে থাকলাম অন্য কোনো স্যান্ডেল। বেশ কিছুক্ষণ ধরে পছন্দ করার চেষ্টা করলাম কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো কোনো কিছুই পছন্দ হলো না। আর আমার পায়েও কোনো স্যান্ডেল ভালোমতো ফিট হচ্ছিল না। শেষে একটা সেন্ডেল পছন্দ হয়েছিল,তবে সেটা বেশ কমন একটা স্যান্ডেল। আর কমন স্যান্ডেল গুলো কিনতেও ভালো লাগে না কারণ চেঞ্জ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম ঐ মুহূর্তে সেটা না নেওয়ার পরবর্তীতে যদি কোনো স্যান্ডেলা না পাই তাহলে ওটা নিব। তো শেষে যেহেতু কিছুই পেলাম না তাই সেই দোকান থেকে চলে আসলাম। অনেক রাত হয়ে গিয়েছিল তাই আর অন্য দোকানে যাওয়া হয়নি।
তাই বেরিয়ে আসলাম মার্কেট থেকে। এরপর সবাই কিছু খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। অপশন খুবই কম ছিল। তাই শেষ দিকে ঝালমুড়ি খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। কিন্তু আমরা যার কাছ থেকে ঝাল মুড়ি খাব সে সেখানে ছিল কিন্তু ঝাল মুড়ি বানানো বন্ধ করে দিয়েছিল। তাই শেষে আবারো লেবুর রস খাওয়া সিদ্ধান্ত নিল ওরা। আমাকে বলছিল খেতে কিন্তু আমার আর ভালো লাগছিল না তাই আর খাওয়া হয়নি। তবে ওরা দুই গ্লাস করে খেয়েছিল। যাইহোক পরবর্তীতে দেখলাম অন্য একটি ঝাল মুড়ির দোকান খোলা আছে। তাই সেখানে গিয়ে ঝাল মুড়ি অর্ডার দিলাম। কিছুক্ষণের মধ্যেই আমাদেরকে ঝাল মুড়ি বানিয়ে দিলো। ঝাল মুড়িগুলো তিনজনে খাওয়ার কথা ছিল কিন্তু ওরা কিছুটা খেয়ে আর খেতে চাইল না। তাই আমি সেখান থেকে হালকা ঝাল মুড়ি খেয়ে বাকিটা প্যাক করে নিয়ে তিনজনে বাড়ির দিকে রওনা দিয়েছিলাম।
তো প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির ভাই বোন বন্ধুরা, এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। সেদিন শপিং করতে গিয়ে কিছুই কিনতে পারিনি তবে আগামী কালকেও যাওয়ার ইচ্ছা আছে। ইনশা-আল্লাহ চেষ্টা করবো এবার কিছু কিনেই বাড়ি ফেরার। তো আজকের মত এটুকুই।আবারো খুব শীঘ্রই নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে ইনশা-আল্লাহ। ততক্ষণ সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন।
https://twitter.com/MdJohir65/status/1801666936063013048?t=FPSaXqXFgbaeRveZTy8Ovw&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
খুব সুন্দর একটি পোস্ট আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইজান। অনেক অনেক ভালো লাগলো ঈদ উপলক্ষে সুন্দর এই বন্ধুদের সাথে ঘোরাফেরার মুহূর্ত কেনাকাটা আর খাওয়া দাওয়া দেখে। তবে লেবুর ফটোগ্রাফিটা অসাধারণ হয়েছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইজান প্রতিনিয়তই আমার পোস্টগুলোতে মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হীরা পালক এবং আপনাদের ছোট ভাই গালিব সবাই মিলে বেশ ভালোভাবেই শপিং করলেন। আসলে ঈদের শপিং মানে একটি আনন্দ । ছোটবেলায় ঈদের শপিং এর জন্য অনেক কান্নাকাটি করতাম তবে এখন জানি না মনে হয় যে বাড়ির লোক যদি খুশি থাকে তাহলে আমার নিজের খুশি। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার শপিং করার মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কেনাকাটা করতে গেলে আমার সাথেও একই ঘটনা ঘটে, আসলে কোনটা পছন্দ করে সিলেক্ট করে নিব সেটা সহজে বুঝতে পারি না তবে ঠিকই কেনাকাটা করি বা না করি শেষে খাওয়া-দাওয়া চলবেই। সবাই একসাথে গিয়ে কেনাকাটার মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
তিন বন্ধু মিলে কেনাকাটা করতে গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। যেহেতু আপনার বন্ধু হিরা অনেক আগে থেকেই শপিং করতে যাওয়ার কথা বলে রেখেছিল তাই মনে হচ্ছে আগে থেকে সবাই প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। শরবত আর ঝাল মুড়ি খেয়েছেন দেখে ভালো লাগলো ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit