মাতৃভাষা বাংলার এক মাত্র কমিউনিটি-
হ্যালো বন্ধুরা,
আমি জনি প্রিন্স, সবার সুন্দর ভবিষ্যৎ ও সুস্থতা কামনা করে আজকে নতুন একটি ব্লগ শুরু করতে যাচ্ছি। আজকের ব্লগ বাবার জন্য চার্জার ফ্যান কেনার অনুভূতি ও রিভিউ।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর থেকেই আমাদের দেশে গরম পড়তে শুরু করেছে। আর বৈশাখ মাসের দ্বিতীয় দিন থেকে সেই গরম প্রচন্ড আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত কাল নিউস পেপারে দেখলাম বন্দর নগরী চট্রগ্রামের তাপমাত্রা ছিল ৪৪ ডিগ্রি। এত পরিমান গরম বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম। এর আগে বাংলাদেশের মানুষ এত গরম সহ্য করেনি। আসলে এই গরমটা সরকারের পক্ষেও কমানো সম্ভব নয়। সরকার চাইলেই গরম কমাতে পারবে না। সুতরাং এই গরমের জন্য একক ভাবে কাউকে দুষ দেওয়া যায় না। প্রকৃতি নষ্ট করার ফল ভোগ করতেছি। যাদের বাসায় এসি আছে তারা গরমটা একটু কমই অনুভূব করছে। যাদের ঘরের উপরে টিনের চালা, তারা দিনের বেলা এখানে সেখানে গাছের নিচে বসে সময়টা কাটালেও রাতের বেলা একটু শান্তিতে ঘুমাতে পারে। তবে যাদের বেল্ডিং ঘর তাদের ক্ষেত্রে রাতের বেলা অসহ্য গরম সহ্য করতে হয়।
আমাদের গ্রামের বাসা তিন তলা ফাউন্ডেশন করা থাকলেও মাত্র এক তলা কম্পিলিট করা হয়েছে। যার ফলে সন্ধার পরে ঘরে থাকা কঠিন হয়ে দাড়ায়। প্রত্যেকটা রুমে দুইটা করে জানালা আছে আবার বারান্দাও আছে। তারপরও গরমে রুমের ভিতরে ঘুমাতে পারে না। আর আমি চাকরি করার সুবাদে বর্তমানে নারায়নগঞ্জে অবস্থান করতেছি। আমি এখানে যে বাসাতে ভাড়া থাকি সেটা ছয়তলা ফাউন্ডেশন নিয়ে তিনতলা কম্পিলিট করা হয়েছে। আমি তিন তলাতেই থাকি। সারাদিন প্রচন্ড রোদে ছাদ গরম হয়ে সন্ধার পরে ছাদের গরম রুমের ভিতর প্রবেশ করে। আর সারাদিন তো গরম বাতাস থাকেই। সন্ধার পরে মন চাই বাসা ছেড়ে মাঠে ময়দানে চলে যায়।
বড় মানুষরা কষ্ট করে গরমটা সহ্য করলেও ছোট বাচ্ছারা গরমে চিৎকার শুরু করে। যদিও আমাদের দিকে লোডশেডিং কম। এপ্রিল মাসে মাত্র একদিন সন্ধার পরে লোডশেডিং দিয়ে ছিল। আমি যখন বাসায় থাকি সবসময় বিদ্যুৎ থাকে। তবে ছাদের গরমের কারনে ফ্যানের বাতাসও গরম লাগে। এখন এই গরমটা আমরা মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি তবে বাচ্ছারা সহ্য করতে পারছে না। যার ফলে একটি টেবিল ফ্যান কেনা জরুরী হয়ে পড়েছে। কারন এসি কেনার ক্ষমতা এখনো সৃষ্টিকর্তা দেয়নি। এখন টেবিল ফ্যানের বাতাসেই সন্তুষ্ঠ থাকতে হবে। যায় ফলে বেশ কয়েকদিন যাবৎ অনলাইনে চার্জার ফ্যানের প্রাইস দেখতেছি। চার্জার ফ্যান কেনার কারন হলো বিদ্যুৎ না থাকলেও যেন কিছুক্ষন বাতাস নেওয়া যায়।
আমার বাজেটে যে ফ্যান দেখি সেটা আবার পছন্দ হয় না। একবার ভেবেছিলাম ১৫০০/২০০০ টাকার মধ্যে একটি ছোট ফ্যান কিনে নিবো। তবে সে গুলো তেমন বাতাস দেয় না। পাখার স্পিডও খুবই কম। যার ফলে কয়েকটি শোরুমে গেলাম ফ্যান দেখতে। গরমের কারনে ফ্যানের দাম এত বেড়েছে যে, দোকানের কর্মচারীদের সাথে কথাই বলা যায় না। ফ্যান ধরলেই বলে ৬০০০/৮০০০ টাকা। পরিস্থিতি দেখে আমার বাজেট কিছুটা বাড়াতে বাধ্য হলাম। একটি ভালো কোয়ালিটির ফ্যান কিনতে কয়েকটি দোকানে গেলাম,যাচাই করলাম। আমি যে দোকানে যায় সেখানেই গিয়ে দেখি প্রচুর মানুষ। সবাই সাধ্যের ভিতরে একটি টেবিল ফ্যান কেনার চেষ্টা করছে। কারন সবার বাড়িতেই ছোট বাচ্ছা রয়েছে। বাচ্ছাদের কান্নাকাটি সহ্য করার মত না। তাই সবাই ফ্যানের দোকানে ভিড় করেছে।
অনেক যাচাই বাছাই করে অবশেষে লোকাল ফ্যান্ডের একটি ফ্যান চয়েজ করলাম। এই ফ্যানটার ডাবল ব্যাটারি খুব স্পিডে ঘুরে। ছোট ফ্যান গুলোর বাতাস কম, ব্যাটারি দূর্বল, আবার বেশি দিন টেকসই হয় না। যার ফলে বাজেট একটু বাড়িয়ে চার হাজার টাকা দিয়ে ছাব্বির নামের একটি ফ্যান কিনলাম। এই ফ্যানটি বারো ইন্চি,বাতাসের স্পিড অনেক। বাসায় নিয়ে বারো ঘন্টা চার্জ দিতে বললো। গত পরশুদিন সন্ধার সময় নিয়ে সারারাত চার্জ দিলাম। সন্ধার পরে দুই ঘন্টার মত ফুল স্পিডে বাতাস দিয়েছে। তারপর পাঁখার স্পিড স্লো হয়ে গেছে। দোকানের কর্মচারী বলে ছিল পাঁচ ছয় ঘন্টা চলবে। অথচ দুই ঘন্টা চলার পরেই পাঁখা কেমন স্লো হয়ে গেলো। যারা এই ফ্যান গুলো কিনবেন তারা একটু দেখে শুনে যাছাই বাছাই করেই কিনবেন। এই ফ্যানের প্রথম দিনের সার্ভিসে আমি সন্তুষ্ঠ না।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
শিরোনাম | বাবুর জন্য চার্জার ফ্যান কেনার অনুভূতি।। |
স্থান | শিবু মার্কেট, নারায়নগঞ্জ, বাংলাদেশ। |
তারিখ | ২২ /০৪ /২০২৪ |
সময় | সন্ধা ৭.৩০ মিনিট |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
চার্জার ফ্যানগুলা ভালো ব্রান্ড হোক কিংবা যত দামি হোক না কেন এগুলো বেশিদিন ভালো সার্ভিস দিতে পারে না। আর বর্তমানে তো চার্জার ফ্যানগুলোর দাম আকাশ ছোঁয়া। বিল্ডিং ঘরে রাতের বেলায় সত্যিই প্রচুর গরম। আর সেটি যদি হয় টপ ফ্লোরে তাহলে তো কথাই নেই। যাইহোক ছোট বাবুর কথা মাথায় রেখে ফ্যান কিনেছেন। আর সেটার অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী আপু ঠিক বলেছেন। চার্জার ফ্যান গুলো তেমন বেশি ভালো না। কয়েখ মাস চলে তারপর নষ্ট হয়ে যায়। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বর্তমান প্রচন্ড গরমে সবাই অস্বস্তির মধ্যে জীবন যাপন করছে। বিশেষ করে ছোট্ট বাচ্চাদের নিয়ে বেশি ঝামেলা হচ্ছে। যাইহোক, আপনি আজকে আপনার বাবুর বাতাস খাওয়ানোর জন্য চার্জার ফ্যান কিনেছেন। যেটা কিছুটা হলেও স্বস্তি দিবে। আমাদের সাথে সেই চার্জার ফ্যান কেনার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী ভাইয়া বাচ্ছাদের কথা চিন্তা করেই ফ্যানটা নিলাম। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন বাবুর জন্য চার্জার ফ্যান কেনার অনুভূতি। আসলে অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে বিদ্যুৎ তেমন গ্রামাঞ্চলে থাকতেছে না। তাই আমিও বেশ কয়েকদিন আগে একটি চার্জার ফ্যান কিনে এনেছি। আসলে ফ্যান কেনার জন্য আপনার বাজেট ছিল অল্প কিন্তু ফ্যানের দাম অতিরিক্ত গরমের কারণে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে তাই আপনি নিজের বাজেট বাড়াতে বাধ্য হয়েছিলেন। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী ভাইয়া ফ্যানের দামের কারনে বাজেট বাড়াতে হয়েছে। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে বর্তমানে খুবই বেশি গরম পড়ছে। মাঝে মাঝে এই গরম সহ্য করতে আমরা বড় রাই হিমশিম খাচ্ছি আর সেখানে বাচ্চাদের তো কষ্ট হবেই। তো আপনার বাচ্চার যেন কষ্ট না হয় তার জন্য একটি টেবিল ফ্যান কিনলেন জেনে ভালো লাগলো। তবে অনেক যাচাই বাছাই করে কিনার পরও ফ্যান দুই ঘন্টা চালিয়ে পাখা স্লো হয়ে গিয়েছিল জেনে খারাপ লাগলো। আসলে এই ধরনের ফ্যানগুলোতে অনেক সময় দেখা যায় ডবল ব্যাটারি বললেও ভিতরে একটা ব্যাটারি দিয়ে দেয়। আবার অনেকদিন রাখা থাকলেও ব্যাটারিটা একটু দুর্বল হয়ে যেতে পারে। তবে যদি পরে আলাদা করে নিজে বাড়িতে খরচ করে দুই একটা ব্যাটারি লাগানো যায় তাহলে ভালো ব্যাকআপ পাওয়া যায়। যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে এই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী ভাইয়া তারা বলেছিল পাঁচ/ছয় ঘন্টা চার্জ থাকবে। কিন্তুু ফলাফল তেমন ভালো পাচ্ছি না। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমি কয়েকদিন থেকে ভাবছি একটা মেয়ের জন্য চার্জার ফ্যান নিবো। আপনার কাছে থেকে রিভিউ পেয়ে ভালো লাগলো। এধরনের ফ্যান গুলোর দাম প্রচুর পরিমাণে বেড়েছে। ফ্যান ব্যবহার করে আপনি প্রথম দিনের সার্ভিসে পেয়ে সন্তুষ্ঠ হননি জেনে খারাপ লাগলো এধরনের ফ্যান গুলো আসলে এমনি। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী ভাইয়া চেষ্টা করবেন ভালো ব্রেন্ডের কোন ফ্যান নিতে। লোকাল ফ্যান গুলো তেমন ভালো না। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি তো ফ্যান কিনে টকে গেলেন। এই ফ্যান গুলো দেখে শুনে কিনতে হয়। তবে আমরা যে ব্রান্ডের চার্জার ফ্যান গুলো চালিয়েছি পুরো ৪ ঘন্টা পর্যন্ত সার্ভিস দিত। একটানা ৪ ঘন্টা পরেই কিছুটা স্লো হয়ে যেত। বাচ্চাদের জন্য এই ফ্যান গুলো খুবই কার্যকরী। যেহেতু আপনার ফ্যান টি ভালো সার্ভিস দিচ্ছে না তাহলে আপনি দোকানে নিয়ে যেতে পারেন আবারও। চারদিকে যেহেতু এত গরম বাচ্চাদের প্রতি খেয়াল রাখা দরকার। অনেক ভালো লাগলো আপনার ব্লগ পড়ে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী আপু গতকাল ফ্যান দোকানে দিয়ে এসেছি। আজকে আনতে যাবো। দেখি কি বলে..। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাবুর জন্য চার্জার ফ্যান কিনেছেন এটা জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। আসলে যেভাবে গরম পড়ছে ছোটরা তো আর কথা বলতে পারে না তাই তারা কান্না করে। আর এই গরমে ছোটদেরকে একটু ভালো পরিবেশে রাখা অত্যন্ত জরুরি না হলে সে অসুস্থ হয়ে যাবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী ভাইয়া সে জন্যই একটি চার্জার ফ্যান নিলাম। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বর্তমান সময়ে যে হারে গরম পড়েছে, তাতে একজন ছোট বাচ্চার জন্য খুবই কষ্টকর। আসলে বর্তমান ছোট বাচ্চা গুলো নিয়ে বাবা মায়েরা অনেক দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে। আগে বৈশাখ মাস জুড়ে বৃষ্টি হতো, কিন্তু এবছর বৃষ্টির কোন দেখা নেই।এতো গরমের মধ্যে একজন স্বাভাবিক মানুষের ও অনেক কষ্ট হয়ে পড়ছে। আপনি আপনার বাবুর জন্য একটি চার্জার ফ্যান কিনেছেন, দেখে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগলো।এখন আপনার বাচ্চা কিছুটা হলেও শান্তিতে থাকবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী ভাইয়া যে হারে গরম পড়েছে,আমাদেরই নাজেহাল অবস্থা হয়ে গেছে। আর বাচ্ছাদের কি অবস্থা হবে। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit