হ্যালো বন্ধুরা, কি অবস্থা সবার.....
আশা করছি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করছি ব্লগটি মনযোগ সহকারে পড়লে খুবই উপকার পাবেন। চলুন শুরু করছি।
আমি কিছুদিন আগে আমার এক ভাগিনাকে নিয়ে ম্যালিয়াস হসপিটালে গিয়েছিলাম। এই বিষয়ে বিস্তারিত একটি ব্লগ আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম। আমরা সকাল আটটার সময় সিরিয়াল দিয়ে গুলিস্তান সুন্দরবনস্কুয়ার মার্কেটে গিয়েছিলাম। আমার ভাগিনার দোকানের জন্য কিছু মোবাইল এক্সেসরিজের মালামাল কেনার জন্য। গত মাসে সর্বমোট দুই বার দুইটি মাকের্টে আমরা কেনাকাটা করেছি। আজকে দ্বিতীয়বার যে মার্কেটে গিয়েছিলাম সেটা শেয়ার করছি। আরেকবার প্রথমবার যে মার্কেটে গিয়েছিলাম সেটা শেয়ার করবো। আমার এসব মার্কেটে ঘুরে ব্যবসার প্রতি মনযোগ চলে যাচ্ছে।
আপনরা যদি মনযোগ সহকারে ব্লগটি পড়েন তাহলে হয়তো আপনাদেরও ব্যবসার প্রতি আর্কষন আসবে। যায়হোক আমরা সকাল বেলা শান্তিনগর হস্পিটাল থেকে রিকশা নিয়ে সোজা গুলিস্তান চলে আসি। ঐদিন থেমে থেমে সারাদিন বৃষ্টি হয়েছিল। যার কারনে সকাল বেলা মানুষের সমাগম একটু কম ছিল। আমি রাস্তার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করছি তাহলে শহরের মূল চিত্রটা বুঝতে পারবেন।
আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এগুলো সকাল ৯টার সময়ের ফটোগ্রাফি। আমরা একটি রেস্টুরেন্ট থেকে হালকা নাস্তা করে বের হয়ে ফটোগ্রাফি গুলো নিয়েছিলাম। ট্রাফিক পুলিশ ভাইয়েরাও রাস্তার পাশে দাড়িয়ে আছে। কারন রাস্তায় গাড়ি চলাচল খুবই কম। তাই জ্যামজট লাগার কোন সম্ভাবনা নেই। এই সময় সবাই ঘুমের মধ্যে মগ্ন। দরকার ছাড়া কেউ বাসা থেকে বের হচ্ছে না। যায়হোক আমরা নাস্তা শেষ করে ধীরে ধীরে সুন্দরবন স্কুয়ার মার্কেটে প্রবেশ করলাম।
আমরা প্রথমে একটি মেশিনের খুঁজ করতে লাগলাম। সেটা হলো মোবাইলের সামনে এবং পিছনে স্টিকার লাগানোর মেশিন। নিজের ছবি সহ যে কোন মানুষের ছবি,যে কোন প্রাকৃতিক দৃশ্যের ছবি, প্রিয় কোন প্রাণীর ছবি সহ যেটা ইচ্ছা লাগানো যাবে। মোবাইলের মডেল লিখে সার্চ দিলে অটো ঐ মডেলের স্টিকার কেটে বের হয়ে যাবে। খুবই সিম্পল তবে দারুন একটি মেশিন। প্রথম যে দোকানে গেছি সেখানে দাম চেয়েছে ৩৮ হাজার টাকা। পরের কয়েকটি দোকানে গেলাম ৪৮,৫০ হাজার টাকা দাম চায়। যার ফলে এত দাম দিয়ে মেশিনটি আমরা কিনি নাই।
তারপর গেলাম ইলেকট্রনিক দোকানে। মার্কেটটির নিচ তলায় হলো ইলেকট্রনিক জিনিষ পত্রের দোকান। একটি দোকানে একটি ঘরে যাবতীয় যা লাগে সব ধরনের পার্টসপাতি আছে, দামও খুবই সীমিত। সেখান থেকে জিনিষ পত্র কিনে এনে ব্যবসা করতে পারলে অনেক লাভ হবেন। আমরা বিশ হাজার টাকার মত ইলেকট্রনিক জিনিস পত্র কিনেছি। ব্যসায়ী নীতির কারনে এখানে পাটর্স গুলোর মূল্য বলতে পারছি না।
তারপর গেলাম দ্বিতীয় তলাতে। সেখানে মোবাইলের এক্সেসরিজের দোকান। সেখানে গিয়ে আমার মাথ নষ্ট হয়ে গেছে। কি নেই সেখানে। মোবাইলের যত পার্টস আছে সবই সেখানে রয়েছে। আর পাইকারি দামও খুব কম। মোবাইলের কাভার,গ্লাস পেপার,ব্যাটারি,চার্জার,ইয়ার ফোন,ব্লুটুথ,পাওয়ার ব্যাংক,প্রেন্ড্রাইব,সাউন্ড বক্স,মোবাইল স্টন্ড সহ যাবতীয় সব কিছু রয়েছে সেখানে। আর সব কিছু খুবই সস্তা।
তারপরে গেলাম তৃতীয় তলায় সেখানে রয়েছে পাইকারি মোবাইল মার্কেট। অনলাইনে মোবাইলের যে প্রাইজ দেওয়া থাকে সেখান থেকে এক বা দুইশো টাকা কম থাকে। মোবাইলের প্রাইজটা তেমন কোন প্রার্থক্য নেই। তারপরও মানুষ জেলা,উপজেলা,ইউনিয়ন পর্যায়ে নিয়ে বিক্রয় করার জন্য মোবাইল কিনতেছে। আমরা কয়েকটা ব্রেন্ড মিলিয়ে ১২ টা মোবাইল কিনেছি। দামও খুবই সীমিত। সব কিছু কিনতে কিনতে প্রায় পাঁচটা বেজে গেছিলো। মাঝখানে হোটেল থেকে গিয়ে লাঞ্চ করে এসেছিলাম। তারপর সব কিছু দুইটি কার্টনে ভরে প্যাকিং করে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের লোকের কাছে অর্পন করে দিলাম।
বন্ধুরা এই হলো আমার আজকের আয়োজন। ব্লগটির মধ্যে অনেক তথ্য শেয়ার করেছি। কিছু তথ্য শেয়ার করতে পারি নাই। আপনারা যদি কেউ এই জিনিষ পত্র গুলো নিয়ে ব্যবসা করতে চান তাহলে অবশ্যই গুলিস্তান সুন্দরর্বন স্কুয়ার মার্কেটে চলে আসবেন। এখানে খুবই কম দামে সব কিছু পাবেন। আপনারা বুঝে শুনে ব্যবসা করতে পারলে অনেক লাভমান হবেন। সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-১০ |
শিরোনাম | অল্প পুঁজিতে “মোবাইল এক্সেসরিজের” ব্যবসা করতে হলে সুন্দরবন স্কুয়ার মার্কেট চলে যান। |
স্থান | সুন্দরবন স্কুয়ার মার্কেট, গুলিস্তান, ঢাকা। |
তারিখ | ০৭-০৮-২০২৩ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit