আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই, আশা করি পরিবারের সবাইকে নিয়ে খুব সুন্দর ভাবেই পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপন করেছেন। পরিবারের সবাইকে নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকেন সেই কামনাই করি। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি।
একসময় চারপাশের আর দশটা গ্রামের মধ্যে প্রসিদ্ধ হাট ছিল আমাদের গ্রামের হাট। আমাদের গ্রামের হাট সাপ্তাহে দুইবার বসে। একদিন হলো শুক্রবার আরেকদিন হলো মঙ্গলবার। এই গ্রাম্য হাটকে নিয়ে আমার জীবনে অনেক স্মৃতি রয়েছে। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন আমার দাদা এ হাটের মধ্যে ব্যবসা করতেন। আমি সব সময় দাদার সাথে সাথে থাকতাম। ছোট সময় আমি বুঝতে পারি নাই, যদি যদি বুঝতাম তাহলে দাদার ব্যবসাটা আমি ধরে রাখতাম।
দাদা কখনো আম বিক্রি করতো আবার কখনো কাঁঠাল বিক্রি করতো আবার কখনো লেবু, ধনিয়া পাতা, কাঁচামরিচ ও বিভিন্ন সবজি বিক্রি করতেন। আমার এখনো মনে পড়ে সন্ধ্যার সময় আমি আর দাদা অবশিষ্ট মালামাল নিয়ে বাড়ি ফিরতাম। দাদার থেকে টাকা নিয়ে কত কিছু খেতাম। সব থেকে বেশি যেই ফলটা খেয়েছি সেটা হলো কাঁঠাল। দাদার ব্যবসার সুবাদে প্রতিদিন একটি করে কাঁঠাল খাওয়া হতো। আর রমজানে প্রতিদিন দাদা ইফতারি কিনে খাওয়াতো।
ছোট সময় আমি দাদার সাথে উজান এলাকায় কাঁঠাল আনতে যেতাম। সকালবেলা গিয়ে কাঁঠাল নিয়ে আসতে আসতে দুপুর একটা বেজে যেতো। তখন বিকালবেলা কাঁঠাল নিয়ে আমরা গ্রাম্য হাটে যেতাম। সেই মধুর স্মৃতি খুবই মনে পড়ে।
গত শুক্রবারে আমাদের গ্রামের সাপ্তাহিক হাটের দিন ছিল। অনেকদিন পরে আমি আমাদের গ্রামের হাটে গিয়েছিলাম। আমি যখন হাটে গিয়েছিলাম তখন সাড়ে তিনটা অথবা চারটা বাজবে কিন্তু আকাশের অবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে মানুষজন তাড়াতাড়ি হাট থেকে চলে গিয়েছিল। তখন হাট প্রায় মানুষ শূন্য হয়ে পড়েছিল।
বাজারের এক কর্ণারে এক চাচাকে দেখলাম পাকা নারিকেল বিক্রি করতেছে। বর্তমানে নারিকেলের অনেক চাহিদা। চাচা প্রতি জোড়া নারিকেলের দাম দুইশত টাকা চাচ্ছিলো। আমাদের দেশে সবাই নারিকেল গাছ কাটে কিন্তু লাগাতে খুব কষ্ট পাই। যার জন্য নারিকেল পাওয়া খুব দুষ্কর।
আপনারা দেখতে পাচ্ছেন অল্প কিছু মানুষ ফলের দোকানে দাঁড়িয়ে আছ। চারপাশের অবস্থা এমন দেখা যাচ্ছে যে কিছুক্ষণের মধ্যেই আকাশ থেকে বৃষ্টি পড়বে। যার ফলে সব ব্যবসায়ীরা যার যার সামানাপত্র গুছিয়ে ফেলতেছে।
তারপর আমি বাজারের দক্ষিণ পাশে গিয়েছিলাম। সেখানে একসময় দুধ, চাউল আর মসলার বাজার বসতো। কিন্তু কালের বিবর্তনে এসব কিছু এখন বিলুপ্ত হয়ে গেছে। গ্রামের চতুর্পাশে অনেক বড় বড় মার্কেট হওয়ার ফলে গ্রাম্য বাজারের গুরুত্ব কমে গেছে।
বাজারের উত্তর পাশের এই অংশটাতে মাছ আর শুটকি পাওয়া যেত। কিন্তু খুব দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে যে গত শুক্রবারে এই অংশটাতে কোন মানুষই ছিল না। আমাদের গ্রামের বাজারটা দিনে দিনে কেমন যেন গুরুত্বহীন হয়ে পড়ছে। যে বাজারটা একসময় লোকে লোকারণ্য ছিল সে বাজারে এখন মানুষই চোখে পড়ে না। শুনেছি বাজারে নাকি আসরের পরে গেলে কোন লোকাল পণ্যই পাওয়া যায় না।
বন্ধুরা আজ এখানেই দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে ব্লগ টি সমাপ্ত ঘোষণা করছি। আপনাদের সাথে আবার দেখা হবে নতুন কোন দিনে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। আজকে এক জায়গায় ঘুরতে যাবো, যদি বৃষ্টি না আসে তাহলে আগামীকাল সেটার আপডেট পাবেন। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। সবাইকে ধন্যবাদ।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
শিরোনাম | দীর্ঘদিন পরে হঠাৎ করে একদিন গ্রাম্য হাটে ঘোরাঘুরি। |
স্থান | সৈয়দাবাদ,কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেকদিন পরে গ্রাম ওহাটে গিয়ে তাহলে আপনার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গিয়েছে। ছোটবেলায় যাদের দাদা বেঁচে ছিল তারা সকলেই হয়তো এরকম ভাবেই ঘুরাঘুরি করত দাদার সঙ্গে আপনার সেই সময়ের কথা যখন পড়ছিলাম নিজের কাছে খুবই ভালো লাগছিল। একটা সময় পার হবার পরে অনেক বড় বড় বাজারগুলো হঠাৎ করেই হারিয়ে যায় আমাদের এদিকে ও ঠিক এমনি একটা বাজার ছিল এখন আর তেমন একটা বাজার দেখা যায় না মাঝে মাঝে এটা ভেবে আমারও খুবই খারাপ লাগে। ্ ধন্যবাদ আপনার এই সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি ভাইয়া চারপাশে অনেক বড় বড় মার্কেট হয়ে গেছে, যার জন্য আমাদের এই হাটে তেমন বেশি মানুষ আসে না। ধন্যবাদ ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার এলাকার হাট নিয়ে অনেক কিছুই জানলাম।আর ফটোগ্রাফিতে আকাশের অবস্থা খুব খারাপ লাগছে।আপনি আপনার দাদার সাথে হাটে যেতেন।সেই অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো। আজ তা সব স্মৃতি।ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী আপু সেই স্মৃতিগুলো মনে পড়লে , মনটা কেমন যেন করে। ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী আপু, আমার দাদার সাথে এই গ্রাম্য হাট নিয়ে অনেক স্মৃতি রয়েছে। ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবকিছুই পরিবর্তন হচ্ছে তাই গ্রাম্য হাট গুলো তাদের আগের সেই সৌন্দর্যতা হারিয়ে ফেলছে। কিছুই করার নেই এভাবেই চলতে হবে । তবে আপনার হাটের ঘোরাঘুরির অনুভূতিটা পড়ে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
যে আপু আপনি ঠিক বলেছেন, সময়ের সাথে সাথে গ্রাম্য হাট গুলোর গুরুত্ব কমে যাচ্ছে এবং সৌন্দর্য ও হারিয়ে যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী আপু সময়ের পরিবর্তনে পাড়ায় মহল্লায় বিভিন্ন দোকানপাট হওয়ার কারনে গ্রাম্য হাট গুলো তার গুরুত্ব হারাচ্ছে।ধন্যবাদ আপু।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit