আস্সালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ
হ্যালো প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ বাসি,আমি @joniprins আজকে আমি আপনাদের সাথে হাজির হয়েছি নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আমার আজকের ব্লগ হলো ভ্রমন সম্পর্কে। প্রবাদ আছে,যত ভ্রমন করবেন,তত বেশি শিখবেন। তবে যেকোন জাগায় রিক্স নিয়ে না যাওয়াই ভাল। কারণ কখন কি দূর্ঘটনা ঘটে সেটা কেউ জানে না। তাই সবসময় সাবধান থাকতে হবে।
গত কয়েক সাপ্তাহ ধরে আমি হযরত শাহ জালাল (রহঃ) এর মাজার জিয়ারতের তিনটি পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। আজকে তার চতুর্থ ও শেষ পর্ব শেয়ার করবো। গত পর্বে আমি মাজারের মূল দর্শনীয় স্থান গুলো শেয়ার করেছিলাম। আজকেও কিছু স্থান শেয়ার করবো। আমি জানি বাংলাদেশের মানুষ অনেক চালাক। আবার অন্য দিক দিয়ে চিন্তা করলে খুবই বোকা মনে হয়। সবাই কিন্তুু এক না। আমি ৩০% মানুষের কথা বলতেছি।
কিছু কিছু মানুষ আছে যারা বাবা-মা কে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে বা আত্নীয় স্বজন পাড়া প্রতিবেশির দুঃখ কষ্ট না দেখে নামের জন্য বিভিন্ন জাগায় দান করে বেড়ায়। তারা খুবই বোকা মানুষ। আবার কিছৃ বোকা মানুষ আছে তারা জাগায় বেজাগায় টাকা পয়সা ফেলে আসে। যায়হোক বেশি কিছু বললে আবার অনধিকার চর্চা হয়ে যাবে। তাই মূল আলোচনায় চলে যায়। যারা বুদ্ধিমান তারা ঠিকই বুঝবে। আমি যে খুব চালাক মানুষ তা কিন্তুু না। আমিও মাঝে মাঝে অনেক বড় বোকার কাজ করে ফেলি,তবে পরে সেটা বুঝতে পারি। আর তখন ভবিষ্যতে যেন আমার দ্বারা এমন বোকার কাজ না হয় সেদিকে নজর রাখার চেষ্টা করি।
এটি হজরত শাহ জালাল রহঃ এর ব্যবহৃত কুয়ার পানি। হজরত শাহ জালাল রহঃ এর মূল মাজারের পশ্চিম পাশে এটির অবস্থান। তিনি জীবিত অবস্থায় এই কুয়ার পানি দিয়ে গোসল করতেন ও জাবতীয় কাজে ব্যবহার করতেন। এই জায়গাটি দেখার জন্যও মানুষ ভিড় জমায়। এই কুয়াতে গজার মাছও আছে। তবে আমরা কোন মাছ দেখতে পায়নি। হয়তো অনেক্ষন দাড়িয়ে থাকলে মাছ গুলো উপরে উঠে আসে।
কুয়ার পানি দেখতে যাওয়ার সময় কাউকে জুতা নিয়ে ভিতরে যেতে দেয় না। কুয়াটা বাউন্ডারি দিয়ে গেইটের মধ্যে এই ছেলেটিকে বসিয়ে রাখা হয়েছে। সে টাকার বিনিময়ে জুতা জোড়া পাহারা দেয়। প্রতি জুতা জোড়ার জন্য তাকে পাচঁ টাকা দিতে হয়। আমি তার গ্রামের বাড়ি কোথায় সেটা জিঙ্গেস করেছিলাম। সে বলেছিল তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলায়।প্রতিদিন একশত টাকার বিনিময়ে সে এখানে একজনের আন্ডারে জুতা জোড়া পাহারা দেওয়ার কাজ করে।
কুয়ার পাশেই রয়েছে হযরত মজু শাহ রহঃ এর মাজার। কয়েক জনকে জিঙ্গেস করে জানতে পারলাম তিনি নাকি হযরত শাহ জালাল রহঃ এর আস্তাভাজন লোক ছিলেন। সব সময় তিনি কাছে কাছে থাকতেন। হযরত শাহ জালাল রহঃ এর সেবা যত্ন করতেন। তাই মূল কবরস্থানের এক কোণায় তিনির মাজার স্থাপন করা হয়েছে। সেখানেও অনেক মানুষ জিয়ারত করতে যায়।
মাজারের উপরে একটি বিড়াল বসে আছে, আর নিচে হযরত মজু শাহ রহঃ এর মাজারে মানুষ টাকা পয়সা দিচ্ছে। এই টাকা গুলো কে নেয়,নিয়ে কি করে সেটা আমার অজানা। এখন কম টাকা দেখা যাচ্ছে তবে উরসের সময় প্রচুর টাকা পয়সা দিয়ে থাকে। টাকা কেন দেওয়ার হয় সেই প্রশ্ন আমার ভিতরে সব সময় রয়েছে। তবে সেই উত্তর এখনো পায়নি।
মাজার জিয়ারত শেষ করে আমরা রেস্টুরেন্ট গিয়ে ফুচকা খেলাম,আইসক্রিম খেলাম। তারপর সুরমা নদীর উপরে দিয়ে রেল স্টেশনে এসে পৌছালাম। আমরা যখন রেল স্টেশনে আসি তখন সাতটা বাজে। আমাদের ট্রেন ছিল উদয়ন এক্সপ্রেস রাত আটটার সময়। আমাদের ট্রেনের টিকেট অগ্রিম সংগ্রহ করা ছিল। যার জন্য সিট পেতে তেমন কোন সমস্যা হয়নি। খুবই আনন্দায়ক একটি ভ্রমন ছিল। এই ভ্রমনে অনেক কিছু দেখেছি,অনেক কিছু শিখেছি।
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আর বাড়ালাম না। এখান থেকেই বিদায় নিলাম। আবার দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। ততদিন পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবাইকে ধন্যবাদ ।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
বিষয় | হযরত শাহ জালাল (রহঃ) এর মাজার জিয়ারতের চতুর্থ ও শেষ পর্ব। |
স্থান | সিলেট |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
তারিখ | ০৯-০৫-২০২৩ |
সময় | সন্ধা .৭.00 টা |
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হযরত শাহ জালাল (রহঃ) এর মাজার জিয়ারতের চতুর্থ ও শেষ পর্ব পড়ে খুব ভালো লাগলো। আমি এখনো সেখানে ঘুরতে যাইনি তবে যদি সময় সুযোগ হয় তাহলে যাওয়ার ইচ্ছে আছে। আমিও শুনেছি সেই পুকুরে এখনো নাকি গজার মাছ দেখা যায়।আমার মনেও মাঝে মাঝে প্রশ্ন জাগে সেখানে টাকা দান করলে কোথায় যায়। মানুষ টাকার জন্য কত কিছুই না করে। যাই হোক আপনার পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী আপু আমি ভেবে পায়না,টাকা গুলো কার পেটে যায়। ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হযরত শাহ জালাল (রহঃ)এর মাজার যিয়ারতের আগের পর্বগুলো পড়া হয়নি। তবে এই পর্বটা পড়ে অনেক ভালো লাগলো।সত্যি ভাইয়া ছেলেটার জুতা পাহারে দেওয়া দেখে অনেক ভালো লাগল। সত্যি বলেছেন ভাইয়া টাকা গুলো আসলে কে নেই, প্রশ্ন থেকে গেল? ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু এগুলোই ছাড়াও আমার মনে আরো অনেক প্রশ্ন রয়েছে।শেগুলো মনেই রয়ে গেলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পূর্বের পোস্টগুলাও দেখেছি খুব সুন্দর করে আপনি সাজিয়ে গুছিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এই সুন্দরী স্থান ভ্রমণ করতে গিয়ে। খুবই ভালো লেগেছিল আপনার পূর্বের পোস্টগুলো। আজকেরটা অনেক ভালো লেগেছে সুন্দরভাবে আপনি ফটোগ্রাফির পাশাপাশি বর্ণনার সাথে তুলে ধরেছেন দেখে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী ভাইয়া সেখানে গিয়ে অনেক প্রকারের অভিজ্ঞতা হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক সুন্দর একটি ভ্রমণের পোস্ট করেছেন আপনি।হযরত শাহ জালাল (রহঃ) এর মাজার জিয়ারতের শেষ পর্বটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আসলে ভাইয়া আমাদের সমাজে এরকম হাজারো মানুষ আছে যারা আপন পিতা-মাতার কোন খোঁজ খবর রাখেন না। অথচ মাজারে মাজারে টাকা পয়সা সহ বিভিন্ন খাবার দান করে বেড়ায়। আসলে এগুলো লোক দেখানো আর বোকামি ছাড়া আর কিছুই না।হযরত শাহ জালাল (রহঃ) এর পানির কুয়োটি দেখতে খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে। চমৎকার একটি ভ্রমণের পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী ভাইয়া আমিও আপনার সাথে সহমত পোষন করছি। ধন্যবাদ ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit