আমাদের ভালোবাসার কমিউনিটি-
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই, আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে ফেমিলি সহ রেস্টুরেন্টে গিয়ে কিছু খাওয়া দাওয়া করার অনুভূতি শেয়ার করবো।
যেহেতো আমি একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে জব করি, তাই শুক্রবার ছাড়া অফিস থেকে তেমন ছুটি পাওয়া যায় না। ছয়দিন কাজ করার পরে একদিন ছুটি পায়। সেই একদিন কিভাবে যেন কেটে যায় বুঝতেই পারি না। সাপ্তাহে ছয়দিন নিয়ম মেনে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে হয়। কিন্তুু বৃহস্পতিবারে রাতে মোবাইলে এলার্ম দেয় না। কারন শুক্রবারে নিয়ম মেনে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠার চিন্তা থাকে না। আর সেখানেই বিপত্তি ঘটে। কারন শুক্রবারে এলার্ম না দেওয়ার কারনে ঘুম থেকে উঠতে উঠতে এগারোটার উপরে বেজে যায়। তখন ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে একটু বসতে না বসতেই জুম্মার নামাজের আজান হয়ে যায়। তারাতারি করে গোসল করে নামাজে যায়। নামাজ পরে এসে লাঞ্চ করে বিছানাতে একটু শুইতেই বহুল আকাঙ্ক্ষিত শুক্রবার দিন শেষ হয়ে যায়।
আর সারাদিন বাসায় থেকে সন্ধার পরে কেমন যেন লাগে। তাই প্রতি শুক্রবারেই সন্ধার পরে বের হয়। গত শুক্রবারেও ফেমিলি নিয়ে বের হয়েছিলাম। আমাদের বাসার পাশেই একটি রেস্টুরেন্ট আছে, যার নাম “সুমাইয়া বিরিয়ানী হাউস”। শীত তাপ নিয়ন্ত্রিত খুবই সুন্দর সাজানো গুছানো রেস্টুরেন্ট। তো সেখানে গিয়েছিলাম মূলত আমার ফেবারিট ডাবল ডিমের মোগলাই খাওয়ার জন্য। তাদের ডাবল ডিমের মোগলাইটা আমি অনেক বার খেয়েছি। অন্যরকম একটা স্বাদ লাগে। তো রেস্টুরেন্টে গিয়ে জানতে পারলাম ডাবল ডিমের মোগলাই শেষ। সিংগেল ডিমের মোগলাই হবে, তবে খুবই সীমিত। যাল ফলে ভাগ্নিকে জিঙ্গেস করলাম সে কিভাবে, সে তখন বললো চিকেন খাবে আর সাথে নান। হোম মিষ্টার বললো যে কাচ্চি খাবে। আর আমি একটা সিংগেল মোগলাই অর্ডার দিলাম।
খাবার অর্ডার দিয়ে কিছুক্ষন বসার পরেই ধীরে ধীরে খাবার আসতে লাগলো। এই রেস্টুরেন্টে আবার খাবার রেডি করতে বেশি লেইট করে না। অনেক কর্মচারী রয়েছে তাদের। তাছাড়া এই রেস্টুরেন্টে তারাতারি খাবার সরবাহ করার সুনাম রয়েছে। আবার অন্য দিকে রাত বারোটার মধ্যেই রেস্টুরেন্ট বন্ধ হয়ে যায়। মানে রেস্টুরেন্টের মালিক কর্মচারীদের তেমন চাপ দেয় না। তাদেরকে যথা সম্ভব টেনশন ফ্রী রাখে। যায়হোক প্রথমেই ভাগ্নির খাবার আসলো, লেগপিস আর নান। খাবারের প্রতি প্রথম নজর দিয়ে ভালোই মনে হলো।
তারপরে আসলো আমাদের খাবার। কাচ্চি ও মোগলাই। কয়েকটি ফটোগ্রাফি করে আমি তাদের বানানো সস দিয়ে মুগলাই খেতে লাগলাম। অন্যকেম একটি টেষ্ট। তবে প্রথম দর্শনে আমার বউয়ের কাচ্চি পছন্দ হলো না। কিন্তুু যেহেতো অর্ডার দিয়েছি, আর খাবারও দিয়ে ফেলেছে, সে জন্য খেতে তো হবেই। তাছাড়া রেস্টুরেন্টে এই তিন আইটেম ছাড়া আর কিছু ছিল না। সব শেষ হয়ে গেছে। আমি অর্ধেক মোগলাই খাওয়ার পরে বউ জানালো সে অর্ধেক কাচ্চি খেয়েছে, আর খাবে না। আমি বললাম না খেলে তো আর কিছু করার নাই। কাচ্চির টাকা জলে গেলো।
ভাগ্নিও অর্ধেক চিকেন ও অর্ধেক নান খেলো, আর খাবে না। শুধু আমিই আমার মোগলাই শেষ করলাম। আর বাকি দুইজন তাদের খাবার অর্ধেক করে খেয়েছে। মানে অর্ধেক করে খাবার নষ্ট হলো। যদিও আমি খাবার নষ্ট করার পক্ষে নেই, তবে এখন পরিস্থিতির শিকার হয়ে খাবার নস্ট হয়েছে। আমি বাবুকে কোলে নিয়েই খাবার খেলাম। সবাই হাত ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে বাবুকে কোলে নিলে আমি হাত ধুয়ে নিলাম। তারপর বিল দিতে বললাম। বিল দিয়ে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে চলে আসলাম।
এখানের কাচ্চি আর সুলতাইন ডাইন বা কাচ্চি ভাইয়ের কাচ্চির মধ্যে আকাশ পাতাল ব্যবধান। আমার বউ আগে ঐসব রেস্টুরেন্টের কাচ্ছি খেয়েছে তো, এখন ভেবেছে এখানেও সেই স্বাদের কাচ্ছি খাবে। সেই ধারনা করেই কাচ্চি অর্ডার দিয়েছিল। তবে তাদের কাচ্চিটা মনের মত হয়নি। যায়হোক মোটামুটি ভালো হয়েছে। রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে অটো নিয়ে সোজা বাসায় চলে আসলাম। সময়টা মোটামুটি ভালোই কেটেছে।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
নাম | শুক্রবারে ফেমিলি সহ রেস্টুরেন্টে গিয়ে কিছু খাওয়া দাওয়া।। |
স্থান | নারায়নগঞ্জ, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
তারিখ | ২০/১০/২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
আমার তো শুক্রবার আসলে ঘরের বাহিরে বের হতেই মনে চায় না। আপনি তো তবুও সন্ধ্যার পর বের হন। যাই হোক আগামী শুক্রবার বের হওয়ার আগে আমায় একটু ডাকিয়েন। তাহলে এমন খাবার আমার আর মিস হবে না। বেশ দারুন করে শুক্রবারের সন্ধ্যা কে আমাদের জন্য উপস্থাপন করেছন ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অকে আপু সন্ধার পরে বের হয়ে চলে আসবেন। দেখা হবে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে....😋
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, পুরো সপ্তাহ কাজ করার পর শুক্রবার একটু সময় পেলে বেশ ভালোই লাগে। ভালোই করেছেন পরিবারকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়ে। তবে আপনারা দেখছি যেটা খেতে গেলেন সেটাই পেলেন না। তবে এমনিতে ছবিতে কাচ্চি গুলো দেখতে তো বেশ ভালই দেখাচ্ছে। কিন্তু পুরোটা তো শেষ করতে পারল না। আসলে খাবার নষ্ট করাটা আমারও ভালো লাগেনা। রেস্টুরেন্টে গেলে খাবারটা পুরোটা শেষ করার ট্রাই করি। তবে এটা ঠিক বড় বড় কাচ্চি দোকানের কাচ্চি গুলো বেশি ভালো লাগে খেতে। বেশ ভালো লাগলো আপনাদের মুহুর্ত।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী আপু এখন কাচ্চি ভাই বা সুলতান ডাইনেই যেতে হবে। খাবার নষ্ট করা খুবই খারাপ অভ্যাস। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এটা অবশ্য ঠিক বলেছেন ভাই শুক্রবারে সারাদিন বাসায় থাকতে একদম ভালো লাগে না। আপনি পরিবার নিয়ে বাহিরে গিয়েছিলেন আর মজার মজার সব খাবারগুলো খেয়েছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। খাবার গুলো অনেক লোভনীয় মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই চমৎকার কিছু মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী ভাইয়া মাঝে মাঝে পরিবার নিয়ে রেস্টুরেন্টে যাওয়া হয়। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সারাদিন কর্ম ব্যস্ততার মাঝে একটু সময় পেলে মন চাই একটু এদিক এদিক ঘুরতে যেতে। পরিবারের সাথে রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। সেখানে গিয়ে অনেক খাবারের অর্ডার দিয়েছেন দেখছি। ধন্যবাদ ভাই অনেক সুন্দর মূহুর্ত শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
শুক্রবারে পরিবারের সাথে সুন্দর কিছু সময় কাটিয়েছেন। প্রত্যেকটা খাবার দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে। খাবারের মান নিশ্চয়ই ভালো ছিল। সুলতাইন ডাইন বা কাচ্চি ভাইয়ের কাচ্চি আসলে অন্যরকম। এরকম স্বাদের কাচ্চি শুধুমাত্র সেখানেই পাওয়া যাবে। আপনাদের অনেকগুলো খাবার নষ্ট হলো তাহলে। রেস্টুরেন্টের এই মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
শুক্রবারে পরিবার নিয়ে রেস্টুরেন্ট খেতে গিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন। তবে ভাবী কাচ্চি সম্পুর্ন খেতে পারলো না মজা লাগেনি বলে। আসলে একেক দোকানের একেক খাবার ভালো। যেমন ওই দোকানের ডাবল ডিমের মোগলাই আপনার ভালো লাগে। আর ভাবীর কাছে ভালো লাগে কাচ্চি ভাই আর সুলতান ডাইন এর কাচ্চি। সেই স্বাদ কি আর অন্য দোকানের কাচ্চিতে পাওয়া যাবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit