বাংলা ভাষায় মনের আনন্দে ব্লগ লেখো-
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আবার আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আপনাদের সাথে বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ওডিআই ম্যাচের রিভিউ শেয়ার করবো।
বন্ধুরা আপনারা হয়তো অনেকেই গতকাল বাংলাদেশের ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম বাংলাদেশের প্রথম ওডিআই খেলাটি লাইভ দেখেছেন। আমিও খেলাটি দেখে অনেকটা মজা পেয়েছি। তবে দুঃখের বিষয় হলো এত রান করার পরেও বাংলাদেশ খেলাটি জিততে পারে নাই। তার কারণ হলো বাংলাদেশের বোলিং এবং ফিল্ডিং এর মধ্যে অনেক দুর্বলতা লক্ষ্য করা গেছে। আপনারা হয়তো লক্ষ্য করেছেন বেশ কিছু বাউন্ডারি ইচ্ছা করলে আটকানো সম্ভব হতো। তবে আমাদের দেশের খেলোয়াড়রা কেমন যেন গা ছেড়ে দিয়েছিল। হয়তো তারা ভেবেছিল এত রান ওয়েস্ট ইন্ডিজ করতে পারবে না। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাংলাদেশকে দেখিয়ে দিয়েছে, তারা আরো বড় স্কোর ক্রস করেও জিততে সম্ভব।
অন্যদিকে মেহেদী হাসান মিরাজ অনেকগুলি বল মোকাবেলা করেছে। সে অনুযায়ী মেরাজ রান খুবই কম করেছে। আপনারা হয়তো দেখেছেন মেহেদী হাসান মিরাজের স্টাইক রেট ছিল মাত্র ৭৩.২৭। এখানে মেরাজ যদি আরো কিছু রান করতে পারতো। তাহলে হয়তো খেলার ফলাফল ভিন্ন হতো। যাই হোক চলুন তাহলে সংক্ষিপ্ত রিভিউটি দেখে নেওয়া যাক।
গতকাল স্থানীয় সময় সকাল ৯ঃ৩০ টার সময় বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ওডিআই খেলাটি শুরু হয়েছিল। বাংলাদেশের ক্যাপ্টেন টস দিতে প্রথমেই ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। বাংলাদেশের পক্ষে ওপেনিং করেছিল তানজিদ হাসান ও সৌম্য সরকার। প্রথম দিকে খেলাটি মোটামুটি ভালোই শুরু করেছিল টাইগার বাহিনী। সৌম্য সরকার ১৮ বল খেলে ১৯ রান করে ফিরে গেলেও তানজিদ হাসান ৬০ বল মোকাবেলা করে ৬০ রান সংগ্রহ করেছিল। তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে লিটন দাস এসে তেমন একটা সুবিধা করতে পারিনি। ৭ বল মোকাবেলা করে মাত্র ২ রান করে আউট হয়ে যাই।
তারপরে দলের হাল ধরে বাংলাদেশ ক্যাপ্টেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সে ধীরে ধীরে খেলতে শুরু করে। তাকে সঙ্গ দিয়েছিল আফিফ হোসেন। সে ২৯ টি বল মোকাবেলা করে ২৮ রান করেছিল। তারপর বাংলাদেশের খুবই পুরাতন খেলোয়াড় মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এসে মোটামুটি ভালই কিছু রান করেছিল। সে ৪৪ বল মোকাবেলা করে ফিফটি তুলে নিয়েছিল। তারপর উইকেট কিপার জাকের আলী এসে শেষের দিকে মোটামুটি সবার মাঝে আশার আলো জাগিয়েছিল। যদিও বাংলাদেশ ৩০০ প্লাস রান করতে পারেনি, তবে কাছাকাছি গিয়েছিল। বাংলাদেশ টিম ৫০ ওভার মোকাবেলা করে সব কয়টি উইকেট হারিয়ে ২৯৪ রান করতে সক্ষম হয়েছিল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে ওপেনিং করেছে ব্যান্ডন কিং ও ইভেন লুইস। তাদের ওপেনিং জুটিটা তেমন ভালো হয়নি। ব্যান্ডন কিং ১৭ বলে ৯ রান ও ইভেন লুইস ৩১ বলে ১৬ রান করে আউট হয়ে যাই। তারপরে আসে কেসি কার্টি ও সাই হোপ। এই দুইজন রানের চাকা কিছুটা সচল করতে পারলেও কেসি কার্টি বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেনি। সে ৩৭ বলে ২১ রান করে আউট হয়ে যায়। তারপরে যে জুটিটা আসে সেটাই বাংলাদেশকে হারিয়ে দেই। সাই হোপ ও শেরফেন রাদারফোর্ড এই দুজন দারুন একটি জুটি দাঁড় করায়। সাই হোপ ৮৮ বল মোকাবেলা করে ৮৬ রান করে। অপর পাশে শেরফেন রাদারফোর্ড ৮০ বলে ১১৩ রান করে। সে একাই সাতটি চার ও আটটি ছয় বাউন্ডারি মারে। তারপর জাস্টিন গ্রিভস এসে খুব সুন্দর ভাবে খেলার ফিনিশিং করে। সে একত্রিশ বলে ৪১ রান করে দলকে জয়ের বন্ধরে পৌঁছে দেয়। ফলাফল বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ এর কাছে ৫ উইকেটে হেরে যাই।
আমরা যদি বাংলাদেশের বোলিং সাইট বিবেচনা করি, তাহলে দেখতে পাই, কারো বল তেমন ভালো হয়নি। তবে তাসকিন ছাড়া সবাই একটি করে উইকেট পেয়েছে। দু একজনের বল যদি ভালো হইতো, তাহলে ফলাফল ভিন্ন হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। অপরদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে রোমারিও শেফার্ড খুব ভালো বল করেছে। সে ১০ ওভারে ৫১ রান দিয়ে তিন তিনটি তাজা উইকেট তুলে নিয়েছিল।
যাইহোক তবে খেলাটি অনেক সুন্দর হয়েছে। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত প্রত্যেকটা দর্শক আনন্দ পেয়েছে। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত খেলার টানটান উত্তেজনা ছিল। আমরা চাই বাংলাদেশ টিম যেন দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ায়। বাংলাদেশের ভুল গুলি সঠিকভাবে সিলেক্ট করে সেগুলো সমাধান করে দ্বিতীয় ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি লাভ করে।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
৮
ক্রিকেট খেলা তো ঐভাবে দেখা হয় না অনেকদিন। তবে ম্যাচের পরে স্কোর দেখেছিলাম। প্রায় ১৩ ম্যাচ পর বাংলাদেশের সাথে ওয়ানডে জিতলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আপনার পোস্ট টা পড়ে যা বুঝলাম বাংলাদেশ সামগ্রিক ভাবে বেশ ভালো খেলেছে। হয়তো আরেকটু ভালো করতে পারলে ম্যাচটা জিততে পারত।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী ভাই আরেকটু ভালো করলে, ম্যাচটা জিততে পারতো। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Task Done
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit