আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ,
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আমার আজকের ব্লগটি ভ্রমন সম্পর্কে। ভ্রমন মানে নতুন কিছু দেখা,নতুন কিছু নতুন কিছু শিখা। যত ভ্রমন করা যায় ততই জ্ঞান বৃদ্ধি পায়।
আমি আজকে আপনাদের সাথে হযরত শাহ জালাল (রহঃ) এর মাজার জিয়ারতের তৃতীয় পর্ব শেয়ার করবো। এর আগে আমি আপনাদের সাথে দুইটি পর্বের মাধ্যেমে বেশ কিছু ছবি শেয়ার করেছি। আমাদের কমিউনিটির মাঝে অনেক মেম্বার রয়েছে যারা হয়তো এখনো হযরত শাহ জালাল রহঃ এর মাজার দেখেন নি। অনেকে হয়তো আবার দেখেছেন। আমি আপনাদের সাথে নতুন ভাবে বর্ণনা উপস্থাপন করতে যাচ্ছি।
আমার আজকের পর্বের মধ্যে রয়েছে হযরত শাহ জালাল রহঃ এর মাজারের আকর্ষনীয় একটি বিষয়। আর সেটি হলো গজার মাছ। হযরত শাহ জালাল রহঃ এর মাজারের উত্তর পাশে একটি ছোট পুকুর রয়েছে। আর ঐ পুকুরে রয়েছে শত শত গজার মাছ। এসব মাছকে দেখার জন্য দর্শনার্থীরা ছোট ছোট মাছ কিনে খেতে দেয়। পুকুরের পশ্চিম কোণে ছোট মাছ বিক্রির ব্যবস্থা রয়েছে । পুকুরে ওজু করা যায় তবে গোসল বা কাপড় ধৌত করা যায় না।
২০০৩ সালের ৪ ডিসেম্বর অজ্ঞাত কেউ বিষ প্রয়োগে প্রায় সাতশোর ও বেশি গজার মাছ শহীদ করে ফেলে। যার ফলে পুকুরটি হঠাৎ প্রায় মাছ শুন্য হয়ে পড়ে। সে জন্য হযরত শাহজালাল রহঃ এর অপর এক সফর সঙ্গি হযরত মোস্তফা রহঃ এর মাজার থেকে ২৪টি গজার মাছ এনে সেই পুকুরে ছাড়া হয়। তারপর থেকে ধীরে ধীরে মাছের সংখ্যা বাড়তে থাকে। বর্তমানে সেই পুকুরটিতে দুই থেকে আড়াইশো মাছ রয়েছে। মৃত মাছ গুলো মাজারের পশ্চিম পাশে মাটির নিচে দাফন করা হয়। আমি বিখ্যাত সেই মাছের কিছু ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। যে গুলো দেখার জন্য মানুষ হাজার হাজার মাইল ভ্রমন করে সেখানে যায়।
মাঠ পেরিয়ে মসজিদের উত্তর পাশে পনের থেকে বিশটি সিড়ি পার হয়ে হাতের ডান পাশে রয়েছে হযরত শাহ জালাল রহঃ এর মূল মাজার শরীফ। সেখানে অনেক মানুষ রয়েছে। সেই মাজারের পাশে অনেক মানুষ কোরআন শরীফ পড়ছে আবার কেউ বসে বসে জিকির করছে। সেখানে কাউকে ছবি তুলতে দেয় না। আমি অনেকবার চেষ্টা করেছিলাম মাজারের ছবি তুলতে কিন্তুু পারি নাই।
মসজিদের সামনে মাঠের মধ্যে অনেক গুলো খেজুর গাছ রয়েছে। খেজুর গাছের মধ্যে তরতাজা খেজুর ঝুলতেছে। আমাদের দিকে খেজুর গাছ তেমন দেখা যায় না। সিলেটে গিয়ে দেখলাম। আরেকটি বিষয় লক্ষ করলাম মাঠের মধ্যে যতটুকু জায়গায় গাছ রয়েছে ততটুুক লোহা দিয়ে বেরিকেট দেওয়া। এটা কেন দিলো সেটা ঠিক বুঝলাম না।
এই হলো হযরত শাহ জালাল রহঃ এর সেই গজার মাছ। এই ছবি গুলো পুকুরের পশ্চিম পাশ থেকে তুলেছি। এখানে পানি গুলো পরিষ্কার। তাই মাছ গুলা সুন্দর ভাবে দেখা যাচ্ছে। এখানে ছোট ছোট মাছ কিনে পুকুরে ছিটিয়ে দিলে মাছ খাওয়ার জন্য গজার মাছ গুলো পানির উপরে ভেসে উঠে। আর তখনই ছবি তুলা যায়।
পুকুরের উত্তর পাশে এক কোণায় কিছু কচুরি পানা রয়েছে। সেই কচুরি পানার নিচের বড় বড় গজার মাছ রয়েছে। আমি সেখানে গিয়েও কিছু ছবি তুলেছিলাম। এখানে মাছ গুলো বেশি উপরে উঠে আসে। পানির মাঝখানে একটি ঝর্না রয়েছে যার ফলে পানিটা পরিষ্কার থাকে।
মাজারের চারপাশে কবুতর উঠছে, প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আসতেছে মাজার জিয়ারত করতে। সব মিলিয়ে পরিবেশটা দারুন। আমাদের আরেকটু সময় নিয়ে যাওয়ার দরকার ছিল। তাহলে আরেকটু সময় বেশি থাকতে পারতাম। আমরা আছরের নামাজ পড়েই সেখান থেকে বের হয়ে গেছিলাম।
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আর বাড়াবো না। আরো কিছু ফটো রয়েছে সে গুলো আরেকদিন শেয়ার করবো। যারা এখনো যাননি তাদেরকে যাওয়ার আমন্ত্রন রইল। আর যারা গিয়েছেন তারা তো ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছেন। সেখানে আবার কোন ভান্ডামি নেই। অন্যান্য মাজারে ভন্ডামি,কুসংস্কারে জর্জরিত। সেখানে উল্লেক যোগ্য তেমন কিছু দেখলাম না। যায়হোক সবাই ভাল থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবাইকে ধন্যবাদ ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
বিষয় | হযরত শাহ জালাল (রহঃ) এর মাজার জিয়ারতের তৃতীয় পর্ব। |
স্থান | সিলেট |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
তারিখ | ০৯-০৫-২০২৩ |
সময় | বিকাল .৫.00 টা |
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit