সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কলিগদের সাথে ক্রিকেট খেলতে যাওয়ার অনুভূতি।।

হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অফিস কলিগদের নিয়ে ক্রিকেট খেলার অনুভূতি শেয়ার করবো।

আপনারা সবাই জানেন যে, আমি ক্রিকেট খেলা দেখতে ও খেলতে খুবই পছন্দ করি। বিশেষ করে বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। বাংলাদেশ হারলে বা জিতলেও প্রত্যেকটা খেলা দেখার চেষ্টা করি। খেলার মধ্যে হারজিত আছেই। যেকোনো একদল হারবে, যে কোন একদল জিতবে, এটাই খেলার নিয়ম। আমি যেমন টিভিতে বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলা দেখতে পছন্দ করি, তেমনিভাবে ছোট থেকেই ক্রিকেট খেলা খেলতেও পছন্দ করি। ক্রিকেট খেলা নিয়ে আমার জীবনে অনেক স্মৃতি রয়েছে।

চাকরিতে জয়েন করার পরে তেমনভাবে খেলাধুলা করা হয়নি। কারণ শহরে খেলার জায়গা খুবই কম। বাচ্চাদের খেলাধুলা করার জন্য তেমন মাঠ নেই বললেই চলে। শহরের আশেপাশে কোন জায়গা বালু দিয়ে ভরাট করলে সেখানে কিছুদিন খেলাধুলা করা যায়। গত শুক্রবারে আমরা অফিসের কলিগরা মিলে আমাদের অফিসের পাশেই ডিসির মাঠ নামক একটি জায়গাতে খেলতে গিয়েছিলাম।

বিশাল বড় বালুর মাঠ। নতুন বালু ফেলে জায়গাটি ভরাট করা হয়েছে। শীতকাল আসার পরে মোটামুটি সবাই সেখানে খেলাধুলা করার চেষ্টা করে। তো আমাদের অফিসের কলিগরা প্রায় সময় সেখানে খেলতে যায়। গত শুক্রবারে তারা আমাকেও খেলতে যেতে বলেছিল। সেজন্য আমিও অনেকদিন পরে তাদের।সাথে ডিসির মাঠে খেলতে গিয়েছিলাম। আমি কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করতেছি, ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে বুঝতে পারবেন কত বড় মাঠ।

আপনারা দেখতে পাচ্ছেন কত বড় খেলার মাঠ। শুক্রবারে সাপ্তাহিক ছুটি থাকার কারণে অনেক মানুষ এ মাঠে খেলতে এসেছে। চার দেয়ালে বন্দি থেকে বের হয়ে উন্মুক্ত বাতাসে একটু শ্বাস প্রশ্বাস নিতে এসেছে। খেলার মাঠের চারপাশে একেবারে খালি। এখন পর্যন্ত বিল্ডিং উঠানো হয়নি। তো আমরা গত শুক্রবারে সেখানে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখতে পাই একটি টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে আমি কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে একটু সময় ব্যায় করলাম। যদি আমি না খেলতাম তাহলে এই খেলাটি উপভোগ করতাম।

তারপরে চলে গেলাম আমি আমার কলিকদের সাথে। আমি আমার কলিগদের কাছে পৌঁছে দেখি তারা অলরেডি টস দিয়ে ফেলেছে। আমি যে দলের হয়ে খেলবো তারাই টস জিতেছে। তারপর সবাই একে একে ব্যাটিং করা শুরু করলো। চার ছয়ের জন্য বিশাল বড় বাউন্ডারি দেওয়া হয়েছে। আমাদের সাথের প্লেয়ার গন মোটামুটি ভালই খেলতে ছিল। ১০ ওভারে খেলার কথা বলা হয়েছে। তবে আমাদের খেলোয়ারদের মাধ্যমে তুলনামূলকভাবে রান কিছুটা কমই এসেছে। অপর পক্ষের দুইজন প্লেয়ার খুবই ভালো বল করেছে। ওই দুইজন আমাদের চার পাঁচজন খেলোয়াড় কে আউট করে দিয়েছে। যার ফলে রান কিছুটা কম এসেছে।

দেখতে দেখতে আমার ব্যাটিং করার সুযোগ আসলো। শেষের দিকে আমি ব্যাট করতে নামলাম। আমি একটি বল মোকাবেলা করো অপর পাশে গেলাম। তারপর আর একটি ওভার বাকি ছিল। আমার সাথে যে ব্যাটিং করেছে অপর পাশে গিয়ে সে ছয়টি বল মোকাবেলা করেছে। এক ওভারে মাত্র চারটি রান এসেছে। সর্বমোট ১০ ওভার খেলে আমরা মাত্র ৭৪ রান করলাম।

৭৫ রানের টার্গেট নিয়ে অপর পক্ষের ওপেনারগণ খেলতে শুরু করলো। তাদের ওপেনিং খুবই সুন্দর হয়েছিল। দুই ওপেনার মিলেই ছয় অভারে ৬০ রান সংগ্রহ করে ফেলেছিল। ৬ ওভার অতিক্রম হয়ে যাওয়ার পরেও কোন উইকেটের পতন হয়নি। যার ফলে আমাদের দলের ক্যাপ্টেন নিশ্চিত হার মেনে নিয়ে দ্বিতীয় খেলার জন্য টস করলেন।

দ্বিতীয় খেলায় আট ওভারে খেলার কথা হয়েছে। তারা আগে ব্যাটিং করে ৮৪ রান করেছিল। কিন্তু আমাদের দলের প্লেয়ার গন আট ওভার শেষ করে মাত্র ৭০ রান সংগ্রহ করেছিল। দ্বিতীয় খেলার মধ্যে আমি ব্যাটিং করার সুযোগ পাইনি। কারণ আমাদের দলের মধ্যে যারা আগে ব্যাটিং করেছিল তারা অনেকগুলো বল নষ্ট করেছিল। যার ফলে আমরা দ্বিতীয় খেলার মধ্যেও হেরে গেলাম।

যায়হোক খেলার মধ্যে হারজিত আছেই। আনন্দ হলো মূল বিষয়। মোটামুটি ভালোই আনন্দ করেছি। আবার খেলতে যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।