ছোট বোনকে নিয়ে ম্যালিয়াস হসপিটালে।।

হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। কিছু দিন আগে আমার ছোট বোনকে নিয়ে দুটি ব্লগ শেয়ার করে বলেছিলাম যে, আমার বোনের গলা ফুলে গেছে, থাইরয়েডের সমস্যা আছে। তাকে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় তথা পিজি হাসপাতালে ডাক্তার দেখিয়েছিলাম কিন্তু সেখান থেকে যে ঔষধ লিখে দিয়েছিল, সেই ঔষধ খেয়ে প্রথমে কিছুটা কমলেও গত কয়েক দিন যাবত গলা ফুলা বৃদ্ধি পেয়েছে, ব্যাথাও বাড়ছে। সে জন্য গত শুক্রবারে আবার ঢাকায় এসেছে।

এখন বোনকে তার হাসবেন্ড সাথে করে নিয়ে এসেছে। অপারেশন করার চিন্তা ভাবনা করেই এসেছে। বোনের হাসবেন্ডের ইচ্ছে ম্যালিয়াস হসপিটালে ডাক্তার দেখাবে। যেটা মালিবাগের শান্তিনগর মোড়ে অবস্থিত। এখন ম্যালিয়াস হসপিটালের মেইন ডাক্তার হলো ডা. বাসুদেব কুমার সাহা, যিনি নাক কান গলা স্পেশালিস্ট। আগে তিনি সরাসরি রোগী দেখতেন। কিন্তু এখন তিনির আন্ডারে তিনজন ডাক্তার রেখেছেন। যারা আট ঘন্টা করে মোট ২৪ ঘন্টা হসপিটালে ডিউটি করে থাকে। এখন আর ডা. বাসুদেব কুমার সাহা সরাসরি নতুন রোগী দেখেন না। তিনির আন্ডারে থাকা তিনজন ডাক্তার যদি রোগীর অবস্থা ক্রিডিকেল মনে করে, তখন রোগীকে ডা. বাসুদেব কুমার সাহার নিকট রেফার করে। তখন তিনি রোগী দেখে।

আমরা চেয়েছিলাম সরাসরি ডা. বাসুদেব কুমার সাহার নিকট দেখাতে। কিন্তু সেটা ঔ খানের ম্যানেজমেন্ট রাজি না। মানে দুই জাগাতেই ভিজিট নেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। ডা. বাসুদেব কুমার সাহার ভিজিট হলো ২৫০০ টাকা আর তিনির আন্ডারে যে তিনজন ডাক্তার আছেন তাদের ভিজিট ১৫০০ টাকা করে। এখন কি আর করবো, শুক্রবারে ফোন করে ডা.সাব্বির আহমেদ স্যারের সিরিয়াল নিলাম। গতকাল সন্ধা সাতটার পরে ম্যালিয়াস হাসপাতালে গিয়েছিলাম

হসপিটালটা আকারে ছোট কিন্তু প্রচুর রোগী রয়েছে। ১৫০০ টাকা ভিজিট দিয়ে টোকেন সংগ্রহ করে অপেক্ষা করতে লাগলাম, কারন আমার বোনের সিরিয়াল পড়েছিল ১৩ নাম্বারে। সেখানে যেটা দেখলাম ডা. বাসুদেব কুমার সাহা শুধু রেফার করা রোগী আর রিপোর্ট করা রোগী দেখছেন। আর সব নতুন রোগী দেখছে ডা. সাব্বির আহমেদ স্যার। মানে ডা. সাব্বির স্যারের ডিউটি দুপুর ৩টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত। এই সময়টাতে তিনিই সব নতুন রোগী দেখেন।

রাত নয়টার দিকে আমরা সিরিয়াল পেলাম। ডা. সাব্বির আহমেদ স্যারের কাছে গিয়ে আমার বোনের সমস্যা গুলো খুলে বললাম। আমার বোনের সাথে আমি ও তার হাসবেন্ড চেম্বারে প্রবেশ করেছিলাম। এটার অনুমতি ছিল। সব কিছু দেখে ৬ টা টেস্ট দিলো,যেটা সাধারণত সব জাগায় সব ডাক্তার দিয়ে থাকে। টেস্ট গুলো হলো FNAC, UCG, FOL, S.Calcium ও দুটি X- ray. পিজি হাসপাতালে অনেক গুলো ব্লাড টেস্ট করিয়েছিলাম। যার ফলে বাড়তি টেস্ট দেয়নি। বাংলাদেশের কোন ডাক্তার টেস্ট ছাড়া রোগী দেখে না। এটা এখন নিয়মে পরিনত হয়েছে। সব থেকে বড় সমস্যা হলো এক ডাক্তারের টেস্ট অন্য ডাক্তার এলাউ করে না। যেখানে রোগীরা নিরুপায়।

এথানে S.Calcium, ও FOL এই দুটো টেস্ট ম্যালিয়াস হসপিটালে ছিল। আমরা ঐ দুটি টেস্ট করে পপুলার ডায়গনস্টিক সেন্টারে গেলাম বাকি চারটি টেস্ট করার জন্য। কিন্তু রাত দশটার পরে হয়ে যাওয়ার কারনে গতকাল আর সেই টেস্ট গুলো করা সম্ভব হয়নি। পরের দিন যাওয়ার জন্য বলে দিলো।

এই হলো প্রথম দিনের কার্যক্রম। হাসপাতালে গেলে বুঝা যায় কত ধরনের রোগী, আর কত মানুষ অসুস্থ। আজকে এখানেই রাখছি, আগামীকাল আবার আপডেট শেয়ার করবো, ইনশাআল্লাহ ।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।