সাজাও মন রাঙাও হৃদয় বাংলা ভাষার রঙে
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন,আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে মজার একটি বিষয় শেয়ার করবো। আশা করি ব্লগটি পড়লে অনেক মজা পাবেন।
গত পরশুদিন সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে গেছে। যার ফলে ফ্রেশ হয়ে বাসায় নাস্তা করার সুযোগ পায়নি। সে জন্য রুটি আর ডিম ভাজি বক্সে করে অফিসে নিয়ে এসেছিলাম। অফিসে এসে তো কাজের মধ্যে মগ্ন হয়ে পড়লাম। আমি যে সকালে নাস্তা করি নাই, সেটা ভুলে গেছিলাম। কাজ করতে করতে দশটার দিকে পেটের ভিতরে খাবার হজম করার কর্মী গুলো বিদ্রোহ ঘোষনা করলো। সবাই এক জোট হয়ে হাতে মশাল নিয়ে খাবারের দাবিতে রাস্তায় নেমে পড়লো। মিশিল করতে করতে যখন রাস্তা শেষ হয়ে গেলো তখন সবাই নিজেদের সাধ্য মত আঘাত শুরু করলো। হঠাৎ করে আমি অনুভূব করলাম যে আমার পেটের মধ্যে কেউ আঘাত করছে। তখন হঠাৎ মনে হলো আরেহ ! আমি তো আজকে সকাল বেলা অফিসে আসার সময় নাস্তা করি নাই। সেই জন্য তো পেটের মধ্যে এত আঘাত আসতেছে। পেটের হজম কর্মীর বিদ্রোহ দমানোর জন্য তারাতারি করে নাস্তা করতে বসলাম।
যখন ব্যাগ থেকে নাস্তার বক্স নিতে গেলোম তখন দেখতে পেলাম ব্যাগের মধ্যে তিনটি আমড়া। মাঝে মাঝে অফিস থেকে যাওয়ার সময় মৌসুমি ফল নিয়ে যায়। এখন তো আমড়ার সিজন চলতেছে। মাঝে মাঝে আমড়া কিনে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন বুঝতে পারলাম হোম মিস্টিার সকালে নাস্তার বক্সের সাথে তিনটি আমড়াও দিয়েছে। যায়হোক আমড়া গুলো রেখে রুটি আর ডিম দিয়ে নাস্তা করে পোকাদের বিদ্রোহ বন্ধ করলাম। তারপর আবার কাজে মনোযোগ দিলাম। এবার কাজ করতে করতে লাঞ্চের সময় হয়ে গেলো। যোহরের নামাজ শেষ করে বাসায় গেলাম লাঞ্চ করতে। বাসায় যাওয়ার পরে হোম মিস্টিার জিঙ্গেস করলো ব্যাগে আমড়া পেয়েছি কি না। আমি বললাম পেয়েছি কিন্তুু তখনও খায়নি বিকালে খাবো। লাঞ্চ শেষ করে আবার অফিসে চলে আসলাম।
চারটার সময় কাজ করতে একটু টায়ার্ড ফিল করলাম। আর তখনই হঠাৎ করে আমড়ার কথা মনে পড়লো। চিন্তা করলাম আমড়া গুলো খাওয়া দরকার। ব্যাগ থেকে তিনটি আমড়া বের কলাম। এখন যেহেতো অফিসে আছি আমড়া তো আর একা খাওয়া যাবে না। কমপক্ষে আমাদের কক্ষে যারা আছে তাদেরকে নিয়ে খেতে হবে। আমার কাছে আমড়া তিনটি আবার আমার ডানে বামে কলিগ ও তিনজন, আমাকে নিয়ে চারজন। পরিসংখ্যান দাড়ালো তিনটি আমড়া মানুষ চারজন। একজন একটি করে খেলে একজন বাদ যাবে। পরে আবার বাদ যাওয়া ব্যাক্তি আন্দোলন শুরু করবে “কেউ খাবে কেউ খাবেনা, তা হবে না তা হবে না” হা হা হা😂। সুতরাং সবাইকে নিয়ে আমড়া খেতে হলে কেটে টুকরো টুকরো করা ছাড়া খাওয়া সম্ভব নয়। সেই জন্য আমি নিজেই দায়িত্ব নিয়ে ছুরি দিয়ে আমড়া গুলোর ছাল তুলে নিলাম। ছুড়ি প্লেট আমার ড্রয়ারেই ছিল। মাঝে মাঝে এগুলো কাজে লাগে। সেই জন্য স্টোক রেখে দিয়েছি।
আমড়ার ছাল তুলে আমি নিজেই পানি দিয়ে ধুয়ে নিলাম। পাশে যারা ছিল সবাই কাজে ব্যস্ত থাকলেও আমার গতিবিধি তারা লক্ষ করছিলো। কিন্তুু কেউ কিছু বলতেছিলো না। এখন আমরা সবাই জানি যে টক জিনিষ লবন দিয়ে খেতে ভালো লাগে। কিন্তুু আমার কাছে আমড়া আছে লবন নেই। লবন আছে আবার কলিগ সিদ্দিক ভাইয়ের ড্রয়ারে। তিনির ড্রয়ারে কি কি থাকে, সেটা বলতে হলে নতুন করে একটি ব্লগ লিখতে হবে। সে জন্য ঐদিকে আর গেলাম না। সিদ্দিক ভাইয়ের ড্রয়ার থেকে লবন নিয়ে এসে ছুরি দিয়ে আমড়া গুলো ছোট ছোট টুকরো করে নিলাম। তারপর সবাইকে ডেকে এক সাথে হয়ে আমড়া খাওয়া শুরু করলাম। সবাই হাঁসতে হাঁসতে গল্প করতে করতে আমড়া খেলাম। আহ কি স্বাদ।
এই ব্লগটি লিখতে গিয়ে আমাদের কমিউনিটির ফাউন্ডার সম্মানিত দাদার একটি কথা মনে পড়ে গেলো। তিনি একদিন স্পেশাল হ্যাংআউটে একটি কথা বলেছিলেন যে, একটি পিজ্জা একা একজন মানুষ খেয়ে আনন্দ উপভোগ করতে পারে। আবার একটি পিজ্জা পাঁচ সাতজন বন্ধু , কলিগ বা পরিবার মিলে খেতে পারে। কিন্তুু দুই ভাবে খাওয়ার আনন্দ দুই রকম। সবাই মিলে পিজ্জা খেয়ে যে আনন্দ উপভোগ করা যায়, সেটা একা খেয়ে উপভোগ করা যায় না। শতভাগ বাস্তব ভিত্তিক সুন্দর একটি উদাহরন।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
নাম | তিনটি আমড়া চারজন মানুষ।। |
স্থান | নারায়নগঞ্জ, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
তারিখ | ০৭/১০/২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
এখন আমড়ার সৃজন চললেও আমাদের গাছের আমড়াগুলো সব শেষ হয়ে গেছে ভাই। ছোট ছোট গুলো অনেক রয়েছে। তবে যাই হোক খুব সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। অফিসে যাওয়ার সময় ব্যাগের মধ্যে সিজনাল ফল রাখেন। সবকিছু পড়ে ভালো লাগলো এবং শেষে দাদার উদাহরণ টা পড়ে আরো ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী ভাইয়া এখন আমড়ার সিজন প্রায় শেষের পথে। আপনাদের আমড়া গাছ থাকলে তো ভালোই, আমড়া খেতে পারেন ভরপুর। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
তিনটা আমড়া ছয় জন মানুষে ভালোভাবে খাওয়া যায়। সে জায়গায় না হয় একজন বেশি। অনেক অনেক ভালো লেগেছে আপনার সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরতে দেখে। আসলে আমার খুব প্রিয় একটি ফল আমড়া। দাদার উদাহরণটা জানতে পারলাম আজকে। দাদা কিন্তু সঠিক উদাহরণ দিয়েছেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী আপু পরে সবাই মিলেই আমড়া গুলো খেয়েছি। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit