হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে এইডস রোগ নিয়ে একটি সচেতনতা মূলক ব্লগ শেয়ার করবো। আশা করি এই ব্লগটি পড়লে সবাই এইডস সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবেন।
আমি আজকে আমার ব্লগের টাইটেল দিয়েছি ,পাচঁ বছরের লিজার এইডস রোগ....কিভাবে সম্ভব। হ্যা সত্যিই বলছি শুধু পাঁচ বছরের বাচ্ছা নয়,যে কোন বয়সের মানুষের এইডস রোগ হতে পারে। এখন আপনারা যারা জানেন যে এইডস রোগ কিভাবে ছাড়ায়....তারা হয়তো ধারনা করতে পারেন যে অবশ্যই লিজার বাবা অথবা মা এইডস রোগে আক্রান্ত। তাই তাদের থেকে তাদের মেয়ে আক্রান্ত হয়েছে। আমি বলতেছি লিজার বাবা মায়েরও এইডস রোগ নেই। তাহলে লিজা এইডস রোগে আক্রান্ত হলো কিভাবে। সেটাই আমার আজকের ব্লগের মূল বিষয়।
আগে আমাদের জানতে হবে এইডস রোগ কি এবং কিভাবে ছড়ায়। এইডস হলো একটি মারণব্যাধি। যাহা এইচআইভি ভাইরাস দ্বারা ছড়ায়। ১৯৮০ সালের প্রথম দিকে এই ভাইরাস ছড়াতে শুরু করে বলে জানা যায়। ১৯৮১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থা সর্বপ্রথম এই রোগটি শনাক্ত করে। এখন পর্যন্ত এই রোগ সম্পূর্ণ ভাবে নিরাময় করার মতো কোনো ওষুধ বা চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার হয়নি। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন রিপোর্ট পর্যালোচনা করে দেখা যায় বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ৩৪ মিলিয়ন মানুষ এইডস রোগে আক্রান্ত। প্রতিদিন এইডস রোগে গড়ে আক্রান্ত হচ্ছেন ৫ থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষ। এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫ মিলিয়ন মানুষ এ প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।
এইডস রোগ কীভাবে ছড়ায়..?
বিভিন্ন ভাবে এইডস রোগ ছড়াতে পারে। নারী অথবা পুরুষ কারো শরীরে যদি এইচআইভি ভাইরাস থাকে। আক্রান্ত ব্যাক্তির রক্ত যদি কোন সুস্থ মানুষের শরীরে দেওয়া হয়। তাহলে তার এইডস হবে। আক্রান্ত ব্যাক্তির শরীরে ব্যবহৃত ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জ, সূচ বা অস্ত্রোপচারের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি সুস্থ মানুষের শরীরে ব্যবহার করলে। এইডস রোগে আক্রান্ত প্রসূতির সন্তানেরও এইডস হতে পারে। আবার আক্রান্ত মায়ের দুধের মাধ্যমেও বাচ্ছার এইডস হতে পারে। আক্রান্ত ব্যাক্তির সাথে সতর্কতা ছাড়া ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করলে। আক্রান্ত ব্যাক্তির থুথু বা লালা সুস্থ মানুষের শরীরে প্রবেশ করলে এইডস হতে পারে। সাধারনত এই বিষয় গুলোর মাধ্যমেই এইচআইভি ভাইরাস ছড়াতে পারে।
এখন পূর্বের আলোচনায় ফিরে আসি। লিজার বাবা-মা কারোর এইডস রোগ নেই। লিজা জন্মের পরে এখনো তার শরীরে রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন হয়নি। তার রক্ত অনেকবার টেষ্ট করা হয়েছে কোন সমস্যা ছিল না। তাছাড়া থুথু বা লালা, ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এগুলো তার সাথে কল্পনাও করা যায় না। তাহলে রোগটা লিজার শরীরে আসলো কিভাবে।
লিজার বয়স পাঁচ বছর,সে একটি কিন্ডার গার্টেনে পড়ে। লিজার শরীরে এইচআইভি ভাইরাস আছে, সেটা তার বাবা-মা,আত্বীয় স্বজন,ডাক্তার,কবিরাজ, কোন সুস্থ মানুষও সেটা বিশ্বাস করতে পারছে না। একদিন ডাক্তার সাহেব লিজার বাবাকে ডেকে নিয়ে একটি বুদ্ধি দিলেন। লিজা যে কিন্ডার গার্টেনে পড়ে তার আশে পাশের সব গুলো খাবারের দোকান সহ ফুটপাতের খাবারের কর্মচারী ও মালিকের ব্লাড টেষ্ট করে আনতে। উক্ত কোন লোকের এইডস আছে কিনা সেটা জানতে হবে। যদিও এর মাধ্যমে লিজার বাবার কিছু টাকা খরচ হবে। তারপরও লিজার শরীরে ভাইরাসটা কিভাবে আসলো সেটা ধারনা পাওয়া যেতে পারে।
লিজার বাবা বেশ কিছু টাকা খরচ করে ঝালমুড়ি ওলা,চানাচুর ওলা থেকে ধরে,ফুচকা,চটপটি,হালিমের দোকানদার সবার ব্লাড টেষ্ট করে নিয়ে আসলো। ডাক্তার সাহেব সবার ব্লাড টেষ্ট দেখে জানতে পারে চানাচুর ওলা মামার শরীরে এইচআইভি ভাইরাস আছে। তাহলে সেই ভাইরাস লিজার শরীরে আসলে কিভাবে। চানাচুর ওলা মামা পেয়াজ মসলা কাটতে গিয়ে তার আঙ্গুল কেটে যায়। আর সেই আঙ্গুল থেকে রক্ত মিশে যায় পেয়াঁজ মসলার মধ্যে। দুর্ভাগ্যবশত সেই মসলা দিয়ে চানাচুর খেয়েছে পাঁচ বছরের ছোট লিজা। যার মাধ্যমে লিজার শরীরে এইচআইভি ভাইরাস প্রবেশ করে।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা,ডিজাইন করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পোস্টটি অনেক আগ্রহর সাথে পড়তেছিলাম। আমাদের সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। বাইরের কিছু খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। রক্তের মাধ্যমে মসলার সাথে মিশে যে এই রোগ হতে পারে, সত্যি আমি অবাক! বিশ অবাক করল আমাকে। আমি তো প্রথমত অবাক হয়ে গেলাম টাইটেল দেখে, যে মাত্র পাঁচ বছরের শিশু এই রোগে আক্রান্ত। তার বাবা অনেক কষ্ট পরিশ্রম করেছে প্রতিটা মানুষের রক্ত পরীক্ষা করতেছে এবং অবশেষে যাই হোক জানতে পারলাম এটা। এখান থেকে একটা শিক্ষা নেওয়ার যাবে, আমাদের কোন জায়গায় না জেনে কিছু না খাওয়া উত্তম
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী ভাইয়া কিভাবে যে আমাদের শরীরে রোগ প্রবেশ করে সেটা আমরা বুঝতেও পারি না। তাই যথা সম্ভব সতর্ক থাকতে হবে। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
খুব দুঃখজনক কিন্তুু জনসচেতন মূল্যক পোস্ট পোস্ট টি পড়ে খুব ভালো লাগলো আমার।এতো সুন্দর করে বুঝিয়ে দিয়েছেন পোস্ট টিতে এইডস কি কি কারণে হয় কেন হয় যা অসাধারণ। খুব দুঃখজনক ঘটনা।ভাবছি তাহলে আমরা কোথায় নিরাপদ। যে কোন ভাবেই এই মরনব্যাধি আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে পারে।এর প্রতিকার কি।ঝালমুড়ি মামাও মনে হয় এখনো জানেন না তার এইডস রোগ আছে।ধন্যবাদ ভাইয়া খুব সুন্দর গুছিয়ে সুন্দর পোস্ট টি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী আপু ঝালমুড়ি মামাও জানে না। তার এইডস হয়েছে। কিভাবে রোগটি ছড়ালো চিন্তা করেন। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit