একটি নতুন ফ্রিজ কিনার অভিজ্ঞতা ।। 10% beneficary for @shyfox ❤️

দিন যত অতিবাহিত হচ্ছে মানুষ তত আধুনিক হচ্ছে। সেই সাথে মানুষের চাহিদাও বেড়ে যাচ্ছে। মানুষ যখন কোন বিপদের সম্মুখীন হয় তখন সাথে সাথে তার সমাধান খুঁজার চেষ্টা করে। সব সমস্যারই কোন না কোন সমাধান আছে। তবে সেই সমাধানটা মাথা ঠান্ডা করে খুঁজে বের করতে হয়। আমরা বাঙ্গালি মানুষ যে কোন সমস্যার মাঝে মাথা গরম করে ফেলি। যার কারনে আমাদের ধারা তেমন কোন আবিষ্কার সম্ভব হয় না। যায়হোক এবার মূল কথায় আসি।

আপনারা সবাই জানেন যে গত কয়েকদিন যাবৎ আমি নতুন সংসার শুরু করেছি। সংসারে যে এত কিছু লাগে সেটা আমি আগে জানতাম না। গত আটদিন যাবৎ সংসারের আসবাব বা জিনিষ পত্র কিনতেছি। তারপরও শেষ হচ্ছে না। এটা থাকলে ওটা নাই,ওটা থাকলে এটা নাই। সব থেকে বড় কথা হলো জিনিষ পত্রের দাম দেখে মাথার চুল পড়ে যেতে চাই। ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর একটি জিনিষের দামও আকাশ সমান। দাম কমানোর ব্যাপারে বিক্রেতাদের সাথে কোন কথাই বলা যায় না। তারা এক কথা বলে দেয় ভাই নিলে নিবেন না নিলে রেখে যান, দাম কমানো যাবে না। এদিকে ঘর থেকে যেটা অর্ডার হয়েছে সেটা না নিয়ে গেলে ঘরে আবার তুলকালাম শুরু হয়ে যাবে। সুতরাং দাম বেশি থাকা সত্বেও বাধ্য হয়ে নিতে হয়।

Location
Device-Redmi Not-8 Time-8.00pm

সংসারের গুরুত্ব পূর্ণ একটি জিনিষ হলো ফ্রিজ। যেটা না হলে বর্তমানে ঘর সংসার করা বড় মুশকিল। গত কাল সিঙ্গার শোরুমে গিয়েছিলাম ছোট দেখে একটি ফ্রিজ আনতে। ফ্রিজের যা দাম, সেটা বলে বুঝাতে পারবো না। বাংলাদেশে টাকার যেন কোন মূল্যই নাই। বিশ,পঞ্চাশ হাজার বা এক লাখ টাকা যেন তাদের কাছে কোন টাকাই না। যাদের কাছে টাকা নাই তারা বুঝে টাকার কি মূল্য। অনেক দেখে শুনে বেছে শোরুমের সব থেকে ছোট ফ্রিজটা চয়েজ করলাম। পকেটের দিকে তাকালে ফ্রিজের দিকে তাকাতে পারি না আবার ফ্রিজের দিকে তাকালে পকেটের দিকে তাকাতে পারি না। যায়হোক সব থেকে ছোট ফ্রিজটার দাম হলো ৩৬ হাজার টাকা। আমার দুই মাসের সেলারি।

Location
Device-Redmi Not-8 Time-8.00pm

শোরুমের ম্যানাজার আবার আমার এক কলিগের মামা লাগে। তিনিকে পরিচয় দেওয়ার পরে তিনি আমাকে বললেন আপনার যেটা চয়েজ হয় সেটাই নিয়ে যান। টাকা পয়সা নিয়ে কোন টেনশন করবেন না। আমি মনে মনে বলি দাম তো কমাবেন না। আজ দেয় কাল দেয় টাকা তো আমাকেই দিতে হবে। যত বড় ফ্রিজ টাকার অঙ্কটাও তত বড়। তাই বেশি বড় ফ্রিজের দিকে গেলাম না। তাছাড়া দুইজন মানুষ এত বড় ফ্রিজ দিয়ে কি করবো। তাই ১৮৫ লিটার একটি ফ্রিজ নিলাম। সবাই বলে নিবা যখন বড় দেখে একটি ফ্রিজ নাও। আমি বললাম দরকার নাই। যখন বড় ফ্রিজ দরকার লাগবে তখন দেখা যাবে।

Location
Device-Redmi Not-8 Time-8.00pm

সিঙ্গারের শোরুমটা অনেক বড়। তাদের কাছে সিঙ্গার অনেক পন্যই দেখলাম। টিভি,ফ্রিজ,ওভেন,আয়রণ মেশিন,ব্লেন্ডার মেশিন,ওয়াশিং মেশিন,ল্যাপটপ সহ আরো অনেক ধরনের পন্য আছে তাদের কাছে। আমি যে শোরুমে গিয়েছিলাম সেটার লোকেশন হলো পাগলা বাজার,নারায়ণঞ্জ। ম্যানাজরের ব্যবহার খুবই ভাল। সিঙ্গারের শোরুমের পাশেই একটি ওয়ালটনের শোরুম রয়েছে। সিঙ্গারে যদি পাচঁটি ফ্রিজ বিক্রি হয় ওয়ালটনে বিক্রয় হয় দশটা। ওয়ালটনের গ্রাহক বেশি।

Location
Device-Redmi Not-8 Time-8.00pm

অবশেষে অল্প কিছু টাকা দিয়ে বাকি টাকা পরে মাসে মাসে দিবো বলে একটি ফ্রিজ নিয়ে আসলাম। ফ্রিজ এনে আবার আরেক বিপদ। বিদ্যুৎ বিল আসবে বেশি,ফ্রিজ খালি রাখা যাবে না। ফ্রিজ খালি রাখলে কেমন দেখা যায়। ফ্রিজকে ভরাট করার জন্য আবার অনেক কিছু কিনলাম। সব মিলিয়ে গত কাল প্রায় চল্লিশ হাজার টাকার মত খরচ হয়েছে। অনেকের কাছে চল্লিশ হাজার টাকা বেশি কিছু না। তবে আমার কাছে সেটাই চল্লিশ লাখের মত।

Location
Device-Redmi Not-8 Time-10.00pm

তারপর রাত ১০টার সময় বাসায় ফ্রিজ এনে,জায়গা মত সেটিং করে দিয়ে গেছে। কালারটা আমার কাছে ভাল লেগেছে। দেখতেও সুন্দর দেখা যায়। এখন ভাল ভাবে সার্ভিস দিলেই হবে। আমি এর আগে সিঙ্গারের একটি টিভি ব্যবহার করেছিলাম। আপনাদের কে কি সিঙ্গারের পন্য ব্যবাহার করেন,কমেন্ট করে জানাবেন। সবাইকে ধন্যবাদ।।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।