বাৎসরিক বনভোজন উপলক্ষে কক্সবাজার ভ্রমণ। তৃতীয় পর্ব।।

হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে বাৎসরিক বনভোজন উপলক্ষে কক্সবাজার যাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করতে যাচ্ছি। আজকে আমি কক্সবাজার ভ্রমণের তৃতীয় পর্ব শেয়ার করবো।

বন্ধুরা আমি দ্বিতীয় পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম যে আমরা সবাই সকাল সাড়ে সাতটার সময় সকালের নাস্তা করে আমাদের হোটেলে এসে ড্রেস চেঞ্জ করে বিচের দিকে রওনা দিচ্ছিলাম। আমরা সর্বপ্রথম লাবনী পয়েন্টের দিক দিয়ে বিচে নামলাম। কলাতলী সুগন্ধা লাবনী তিনটি পয়েন্ট রয়েছে বিচে নামার জন্য। আমরা যে সময়টাতে বেঁচে গিয়েছিলাম ওই সময়টাতে লাবনী পয়েন্টের আশেপাশের সমস্ত দোকান বন্ধ ছিল। আপনারা যারা লাবনী পয়েন্টে গিয়েছেন তারা অবশ্যই জানেন যে জল তরঙ্গ রিসোর্টের পাশে অনেক ধরনের দোকান রয়েছে, সেখানে শুটকি থেকে ধরে সমস্ত ধরনের ঝিনুক, কসমেটিক্স, আচার, বিভিন্ন ধরনের মাছ সহ যাবতীয় সবকিছু পাওয়া যায়। আমরা যেহেতু সকালে গিয়েছি তাই সবগুলো দোকান বন্ধ ছিল।

আমরা সকাল আটটার দিকে বিচে গিয়ে দেখি তখনই প্রচুর মানুষ সমুদ্রে গোসল করছে। আর সমুদ্র তীরে প্রচুর মানুষ দাঁড়িয়ে বসে সমুদ্রের গর্জন ঢেউ দেখতেছে। তখন কিন্তু সমুদ্রের পানি তুলনামূলক ঠান্ডা ছিল। পানি ঠান্ডা হওয়ার কারনে আমরা সাথে করে ফুটবল নিয়ে গেছিলাম। সমুদ্রের তীরে সবাই কিছুক্ষণ ফুটবল খেলায় ব্যস্ত হয়ে পড়লো।

দুঃখের বিষয় হলো পিকনিকে যাওয়ার কয়েকদিন আগে আমি ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়ি। আমার সারা শরীরে প্রচন্ড রকমে এলার্জি দেখা দেয়। সারা শরীর কান চোখ সবকিছু ফুলে যাই। অসুস্থ শরীর নিয়ে আমার পিকনিকে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল না। আমাদের কলিকদের জোরাজুরির কারণে আমি গিয়েছি। সমুদ্র সৈকতে গিয়ে আমি প্রথমেই পানিতে নেমে পড়ি। যেটা আমার ভুল হয়ে গিয়েছে। যেহেতু আমার শরীরে এলার্জি ছিল আর সাগরের পানি লবণাক্ত। লবণাক্ত পানি আমার শরীরে লাগার কারণে আমার সারা শরীর জ্বলতে শুরু করলো। আমি তাড়াতাড়ি করে সমুদ্র থেকে উঠে হোটেলে চলে গেলাম। হোটেলে গিয়ে ফ্রেশ পানি দিয়ে গোসল করলাম। ফ্রেশ পানি দিয়ে গোসল করার পরে শরীর কিছুটা আরাম অনুভব করলাম । পরে নামাজের আগে আর সমুদ্র সৈকতে যাওয়া হয়নি।

তবে আমি যতক্ষণ বিচে ছিলাম বেশ কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছি। এখন শীতকাল হওয়ার কারণে সমুদ্রের পানি অনেক নিচে নেমে গেছে। ঢেউর পরিমাণ এবং আকার দুটোই কমে গেছে। এক এক সময় সমুদ্রের সৌন্দর্য এক এক রকম হয়ে থাকে। যখন সমুদ্রে পানি বেশি থাকে তখন একরকম সুন্দর্য উপভোগ করা যায়। আবার যখন সমুদ্রে পানি কম থাকে তখন আবার অন্যরকম এক সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। যাইহোক সবমিলিয়ে আমরা খুবই আনন্দ উপভোগ করেছি। নামাজের আগে আগেই সবাই বিচ থেকে উঠে হোটেলে চলে গেলো। হোটেলে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নামাজের প্রস্তুতি। আজ এ পর্যন্তই চলবে......

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।