আজ বৃহস্পতিবার
০১ই সেপ্টেম্বর -২০২২ ,
১৭ই ভাদ্র-১৪২৯ শরৎকাল
০৪ই সফর-১৪৪৪ হিজরী।
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমি আবার আপনাদের মাঝে হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে। সবার সুন্দর ভবিষ্যৎ ও শারিরীক সুস্থতা কামনা করে আজকে আমি নতুন পোষ্টটি সেয়ার করলাম..।
এই দেশটার নাম কি জানেন…? জি আপনি ঠিকই ভাবছেন,আপনাকেই বলছি। এই দেশটার নাম বাংলাদেশে। এই দেশে ভাল কাজের প্রতিদান দেওয়া হয় না। কোথাও কোন অন্যাই দেখলে সবাই চোখ বন্ধ করে চলে যায়। সবাই ভাবে এখানে অন্যাই হচ্ছে তাতে আমার কি, আমার সাথে তো অন্যাই হচ্ছে না। আমাদের মন মানুষিকতাই কেন জানি এমন। খুজে পায় না দুষটা কোথায়।
বেশ কয়েকমাস আগে পত্রপত্রিকায় একটি বিষয় নিয়ে অনেক লেখালেখি হয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়া্তে ও বিষয়টি ভাইরাল হয়েছিল। সেটি হলো কয়েকজন যাত্রি না কি বিনা টিকেটে ট্রেনের এসি বগিতে উঠে ঢাকা আসতেছিল। নিয়ম অনুযায়ী টিটি সাহেব তাদের কাছে টিকেট চাইলেন। পৃথিবীর সব টিটি সাহেবরা একই কাজ করেন। ট্রেনে ভ্রমন করা যাত্রিদের কাছ থেকে টিকেট চেক করেন। আর টিকেট না থাকলে জরিমানা নিয়ে টিকেট করে দেন। তো ঐ যাত্রীদের কাছে যখন টিটি সাহেব টিকেট চাইলো, তারা বললো তারা রেল মন্ত্রীয় আত্নীয় হয়। তাই তারা টিকেট সংগ্রহ করে নাই।
টিটি সাহেব তার উপরের কর্মকর্তার নিকট পরামর্শ নিয়ে তাদের প্রত্যেককে একটি করে সুলভ শ্রেণীর টিকেট করে দেন। সুলভ শ্রেনী হলো ট্রেনের সর্বনিম্ন শ্রেণীর টিকেট ও সর্বনিম্ন ভাড়া। তারপর ঐ যাত্রীরা ঢাকায় পৌছে রেলওয়ের উপরস্ত কর্মকর্তাদের নিকট টিটি সাহেবের নামে অভিযোগ করেন যে টিটি সাহেব না কি তাদের সাথে অসদাচরন করেছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে উক্ত টিটি সাহেবকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হলো। সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে টিটি সাহেব বরখাস্ত হলেন। টিটি সাহেবের অন্যায়টা কি ছিল….? সৎ ভাবে দায়িত্ব পালন করার ফল পেল। একজন টিটি হিসাবে যেই কাজ করার উচিত টিটি সাহেব ঠিক সেই কাজটিই করেছেন। বিনিময়ে সুন্দর একটি পুরষ্কার ও পেলেন।
আরো আছে ভেজাল ও অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনাকারী আলোচিত ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলম সাহেবের নাম শুনেছেন সবাই। প্রায় সময় টিভিতে,নিউস পেপারে দেখতাম তিনি অবৈধ ভাবে গোদামজাত করা,অতিরিক্ত মূল্য নির্ধারন, ভেজাল ইত্যাদির বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছন। সবাই তিনির অনেক প্রশংসা করেছেন। ভেজাল ও অনিয়মও কমে এসেছিল। কিন্তুু এর বিনিময়ে ভেজাল খাবারের বিরুদ্ধে গণজোয়ার সৃষ্টিকারী মো. সারোয়ার আলম সাহেব পদোন্নতি বঞ্চিত হন। পরে শুনেছি তিনিকে আর বাংলাদেশে রাখা হয়নি। বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বেশ কয়েক মাস আগে আমেরিকায় একটি বিজ্ঞান প্রতিযোগিতা হয়েছিল। বিষয় ছিল নিজের গভেষনার বিষয় বিডিও করে তাদের নির্ধারিত সাইটে আপলোড করা ও বিস্তারিত বর্ননা দেওয়া। এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন জন ছাত্র বিজয় হয়। আমেরিকার প্রতিযোগিতা আয়োজন কারী প্রতিষ্ঠান ঐ তিন জন ছাত্রকে ইমেল করে জানায় যে তারা যেন পুরষ্কার বিতরনের দিন স্বশরীরে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে পুরষ্কার গ্রহন করে।
ঐ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের দুইজন মন্ত্রীসহ কয়েকজন বড় ধরনের আমলা যাওয়ার দাওয়াত পায়। অনুষ্ঠানের দিন বিমান ভাড়া তথা টাকার অভাবে তিনজন ছাত্র অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারে নাই। কিন্তুু জনগনের টাকা খরচ করে দুইজন মন্ত্রী ও আমলারা ঠিকই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিল। বিষয়টা কেমন হলো…। বিয়ে বাড়িতে জামায় যেতে পারল না অথচ বরযাত্রী ঠিকই খাবার খেয়ে আসলেন।
যাদের মাধ্যমে বাংলাদেশের নামটা অনুষ্ঠানে প্রচার হলো তারা টাকার অভাবে যেতে পারে নাই। অথচ মন্ত্রী এবং আমলারা বিনা স্বর্থে বিনা লাভে জনগনের টাকা খরচ করে আমেরিকা গিয়ে ঘুরে এসেছে। যে দেশে তাদের মেধার মূল্য দেয় না, তারা বড় হয়ে কেন সেদেশে থাকবে, তারা কেন সেদেশের জন্য কাজ করবে।
আপনারা অবশ্যেই বাংলাদেশের মুভি দেখেন, মুভিতে দেখানো হয় যে যারা ভাল কাজ করে, খারাপ লোকেরা তাদেরকে হত্যা করে, যে অফিসারেরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করে,তাদেরকে দুষ্ট লোকেরা অপমান করে। তার পরিবারের উপর অত্যাচার চালায়। এগুলো দেখিয়ে মানুষদেরকে কি শিক্ষা দেওয়া হয়, আপনারাই বলেন।
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit