কক্সবাজার বার্মিজ মার্কেট।।

হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। বন্ধুরা গত পর্বে আপনাদের সাথে আমি হিমছড়ির পর্ব শেষ করেছিলাম। আজকে বার্মিজ মার্কেট পর্ব শুরু করলাম।

আমরা হিমছড়িতে ঝর্ণা তেমন দেখতে পারি নাই। তবে পাহাড়ে আরোহন করে বিশাল সমুদ্রের সুন্দর্য উপভোগ করেছিলাম। পাহাড়ে উঠে বেশ কিছু ফটোগ্রাফিও করেছিলাম। সেখানের পর্ব শেষ করে দুপুর দুইটার দিকে হোটেলের দিকে রওনা দিয়েছিলাম। আমাদের অটোরিকশা রিজার্ভ করা ছিল। যার ফলে আসতে তেমন কোন অসুবিধা হয়নি। সমুদ্রের জলরাশি আর মেরিন ড্রাইভের প্রাকৃতিক সুন্দর্য দেখতে দেখতে চলে আসলাম।

সুগন্ধা পয়ন্টে এসে আগের নির্ধারিত হোটেলে লাঞ্চ করলাম। সবাই এক সাথে লাঞ্চ করার সুযোগ হয়নি। কারন এই হোটেলে আরেকটি বড় পার্টি ছিল। এত গুলো মানুষ এক সাথে খাওয়া দাওয়া করা সম্ভব ছিল না। যার কাছে যে হোটেল ভালো লেগেছে সেখানেই লাঞ্চ করেছে। আমি অসুস্থ থাকার কারনে হালকা খাওয়া দাওয়া করলাম। তখন আমার মারাত্মক এলার্জির সমস্যা ছিল। অনেক খাবার দাবারে বিধি নিষেধ ছিল। যার ফলে নরমাল খাবার খেয়েই হোটেলে ফিরে গেলাম।

আমি এই প্রথম বারের মত বার্মিজ মার্কেটে গেলাম। এর আগে কখনো সেখানে যাওয়া হয়নি। হোটেল থেকে অটোতে বিশ টাকা ভাড়া লাগে বার্মিজ মার্কেটে যেতে। মার্কেট টি কক্সবাজার মেইন শহরের মধ্যে অবস্থিত। কক্সবাজার শহর খুবই সুন্দর সাজানো গুছানো। বার্মিজ মার্কেটে শত শত শপ রয়েছে। অনেক কিছু সেখানে দেখতে পেলাম। লাখ লাখ টাকার মার্কেট করলেও শখ পুরন হবে না। যেটা দেখি সেটাই ভালো লাগে।

দেশি বিদেশি অনেক ধরনের জিনিসপত্র সেখানে দেখলাম। সব থেকে বেশি আচার আর চকলেট। আমি দুই প্যাকেট চকলেট নিলাম, কিছু আচার নিলাম। আমার সাথে যার গিয়েছে সবাই কম বেশি আচার কিনেছে। কত রকমের আচার সেখানে দেখলাম তার কোন হিসাব নেই। পাশের দেশ মায়ানমার ও থাইল্যান্ড থেকেও আচার আসে। জিনিসপত্রের নাম বলে শেষ করা যাবে না।

চকলেট আর আচার কেনার পরে গেলাম শুটকি মার্কেটে। সেখানে বাংলাদেশের সব থেকে বড় পাইকারী শুটকির মার্কেট রয়েছে। সেখানে অনেক বড় বড় শুটকি দেখলাম। আমার থেকে বড় শুটকিও রয়েছে। আমাদের সাথে যারা গিয়েছে সবাই কম বেশি শুটকি কিনেছে। আমি কোন শুটকি কিনি নাই।

এইবার গিয়ে অনেক কিছু দেখলাম,শিখলাম। পরে যখন যাবো তখন অনেক কিছু কেনাকাটা করা যাবে। তাছাড়া এখন একদিনের জন্য গিয়ে সময় পায়নি। অল্প সমযের মধ্যে যতটুকু সম্ভব ঘুরাঘুরি করার চেষ্টা করেছি। যায়হোক আজকে এখানেই শেষ করছি। পরে আবার আসবো সুগদ্ধা পয়ন্টের মার্কেট নিয়ে।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।