বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে কিছু কথা শেয়ার করবো। আশা করি আপনারা ব্লগ টি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
বর্তমানে আমি যে বাসাতে বসবাস করছি সে বাসার পাশে একটি মাজার রয়েছে। যেটাকে সবাই কাঁলাচান পাগলার মাজার বলে থাকে। আমি জানি প্রতিবছর জানুয়ারির ১ তারিখ থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত এই মাজার কে কেন্দ্র করে মেলা বসে। গত বছর প্রথম আমি এই মেলাতে এসেছিলাম। ঘটনাক্রমে এ বছর আমি মেলার কাছে বাসা নিয়েছি। যে ভুল করেছি, সেটা হারে হারে এখন টের পাচ্ছি।
এখানে বাসা নিয়ে আমি যে এমন পরিস্থিতি ফেস করবো সেটা আমি কখনো চিন্তা করতে পারি নাই। আজকে জানুয়ারির ৬ তারিখ অতিক্রম হচ্ছে। জানুয়ারির ১ তারিখ থেকে মেলা শুরু হয়েছে। মাজারের প্রাণকেন্দ্রে একটি মাঠ রয়েছে, যে মাঠের মধ্যে প্রতিদিন বিকালবেলা এলাকার ছেলেপেলেরা বিভিন্ন ধরনের খেলায় মগ্ন থাকে,সে মাঠের মধ্যে মাজার কে কেন্দ্র করে প্রতিদিন রাতের বেলা গান-বাজনা হচ্ছে।
এই আধুনিক যুগে এসে মানুষের ধ্যানধারণা এত নিম্ন লেভেলের রয়েছে সেটা আমার কল্পনার বাহিরে ছিল। আমি কখনো কল্পনাও করতে পারিনি একটি মাজারের সামনে, কবরস্থানের সামনে মানুষ গান-বাজনা নাচানাচি করতে পারে। তবে দুঃখের বিষয় হলো এসব গান বাজনার আয়োজন করেছে উক্ত মাজার কর্তৃপক্ষ। কবরস্থানের মধ্যে যিনি শুয়ে আছেন, তিনির উত্তরশরীরা এই গান-বাজনার আয়োজন করে থাকেন। যেটা আমাদের জন্য খুবই লজ্জাজনক একটি ব্যাপার।
ইসলাম ধর্মে এভাবে কবরস্থানের সামনে, পুরুষ মহিলা একসাথে হয়ে গান-বাজনা করা কখনোই সাপোর্ট করে না। ইসলাম ধর্মে এগুলো খুবই নিকৃষ্ট কাজ। এর মাধ্যমে সমাজে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। প্রতিদিন রাত আটটা থেকে পরের দিন সকাল পাঁচটা পর্যন্ত এই গান বাজনা চলে। আশেপাশের যারা বসবাস করে তাদের ঘুমের সমস্যা হয়, তাদের বাচ্চাদের পড়াশোনায় সমস্যা হয়, আশেপাশে অসুস্থ রোগী রয়েছে, ছোট বাচ্চাদের ঘুমের প্রবলেম হয়। কিন্তু এসব বিষয়ে পাড়া-প্রতিবেশী তেমন কেউ কিছু বলে না।
এর মূল কারণ হলো প্রতিবছর এই গান-বাজনা কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধরনের খাবার রান্না করা হয়, অধিকাংশ সময়ে খিচুড়ি রান্না করা হয়। আর সেই খিচুড়ি মাজারের আশেপাশে সমস্ত বাড়ি ঘরের মধ্যে বন্টন করে দেওয়া হয়। এই খিচুড়ি পেয়ে আশেপাশে মানুষের মুখ বন্ধ থাকে। যার ফলে সবাই অন্যায় কাজটি দেখার সত্ত্বেও কেউ প্রতিবাদ করে না। বরং মানুষ দলবেঁধে সেই গান বাজনা উপভোগ করে।
মাজার এবং কবরস্থানের সামনে এরকম গান বাজনা নাচানাচি হওয়ার কারণে আমার নিজের কাছে বিষয়টি খুবই খারাপ লেগেছে। অন্য কার কাছে বিষয়টি কেমন লাগে সেটা আমি জানি না। তবে আমি যতটুকু জানি ইসলাম ধর্মে এসব গান বাজনা নাচানাচি, পর্দা লঙ্ঘন, পাড়া প্রতিবেশীর ঘুমের সমস্যা করা, অসুস্থ বাচ্চা ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনায় ডিস্টার্ব করা এগুলো কখনোই ইসলাম ধর্ম সাপোর্ট করে না।
জানুয়ারির ১ তারিখ থেকে গান বাজনা কারণে ঠিকভাবে ঘুমাতে পারছি না। আমি যে বাসাতে বর্তমানে আছি, তার একটি বিল্ডিং পড়েই সেই মাজার এবং গান বাজনার অবস্থান। শুনেছি আরো কিছুদিন এরকম গান বাজনা থাকবে। তাদের গান-বাজনা চলাকালীন সময় আমার ঘুমের খুবই সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু তারপরও কিছু বলার নেই। সৃষ্টিকর্তা যেন সবাইকে সঠিক বুঝ দান করেন। কোনটা সঠিক কোনটা বেঠিক, কোনটা হালাল কোনটা হারাম, কোনটা ন্যায় অন্যায় এগুলো যেন বিচার করার মতো জ্ঞান আল্লাহ তায়ালা দান করেন। তাদের প্রতি আমার এই কামনা রইল।
আজকে সেই গান-বাজনা কে কেন্দ্র করে কি পরিমান মানুষের উপস্থিতি হয়েছে, সেটা আপনারা ফটোগ্রাফি গুলো লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন । এই আধুনিক যুগে এসেও কত মানুষ এখনো অন্ধ বিশ্বাস নিয়ে জীবনযাপন করছে। এই আধুনিক যুগে এসেও এসব চিত্র দেখতে হচ্ছে। যাই হোক আজকে আর কথা বাড়াচ্ছি না, এখান থেকেই বিদায় নিতেছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
Device- Realme C53
Location - Fatullah, Narayanganj, Dhaka.
Time- 10.00 pm
Date- 06-01-2024
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Done
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit