"আমার বাংলা ব্লগ" এর নতুন একটি পরামর্শ পোষ্টে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম।।
হ্যালো ডিয়ার ফ্রেন্স,
কেমন আছেন সবাই,আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। স্টিমিট হলো মুক্ত ব্লগিং সাইট। এখানে মনের মত করে আপনি আপনার মনের অনুভূতি গুলো শেয়ার করতে পারবেন। এই সাইটের মাধ্যমে আমরা আপনার মনের যে কোন ধরনের অনুভূতি জানতে এবং জানাতে পারি। এমনই একটি ব্যাক্তিগত পরামর্শ চেয়ে আমি আমার আজকের পোষ্টটি সাজিয়েছি। চলুন শুরু করি।
আপন বাড়ির জামেলা থেকে মুক্ত হয়ে,ভাল ভাবে পড়া শোনা করে মাধ্যমিকে ভাল রেজাল্ট করার আশায় তার গ্রাম থেকে দুই তিন গ্রাম পড়ে একটি স্কুলে ভর্তি হয় এবং স্কুলের প্রিন্সিপালের মাধ্যমে ঐ স্কুলের হোস্টেলে থাকার ব্যবস্থা করে নেয়। আর ঐ গ্রামেরই একটি বাড়িতে জায়গীর বা লজিং মাস্টার হিসাবে প্রাইভেট পড়ানোর বিনিময়ে খাওয়ার ব্যবস্থাও করে। দশম শ্রেনীতে থাকা অবস্থায় যে বাড়িতে খাবার খেয়েছে সেই বাড়ির ছেলে মেয়েকে পড়িয়ে তাদের মন জয় করে ফেলে। আর নিজেও পড়া শোনা করে দশন শ্রেণীতে ভাল রেজাল্ট করে। মানে এ+ পায়।
দশম শ্রেণীতে ভাল রেজাল্ট করার কারনে ঐ গ্রামেরই কলেজের অধ্যক্ষ আপনকে উনার কলেজে ভর্তি করিয়ে নিলো। আপন খুব ভাল ছেলে এবং ক্লসের ফাষ্ট বয়।কারো সাথে আপন কোনদিন জগড়া বা বিয়াদবী করে নাই। গ্রামের মাঝে মোটামুটি সবাই তাকে ভাল ছেলে হিসাবেই চিনে। আপন আগের লজিং বাড়িতেই খেয়ে আর কলেজের হোস্টেলে থেকে পড়া শোনা করে উচ্চ মাধ্যমিকেও ভাল রেজাল্ট করে।
আপন যে বাড়িতে লজিং মাস্টার হিসাবে খাবার খেত,সেই বাড়িতে আপনের সমবয়সি একটি মেয়ে ছিল। যে পড়তো ঐ গ্রামের মহিলা কলেজে। তাকেও আপন পড়িয়েছে। মেয়েটার নাম হলো ইশরাত। তার একটি ছোট বোন আছে যান নাম হলো নুসরাত। আর সবার ছোট একটি ভাই আছে যার নাম হলো ইবনি। মানে ইশরাতরা দুই বোন এক ভাই। ইশরাত সবার বড়। তাদের সবাইকেই আপন পড়িয়েছে। তারাও ভাল ভাল রেজাল্ট করেছে।
আপন উচ্চ মাধ্যমিক পরিক্ষা দিয়ে ঢাকায় চলে আসে পড়া শোনা করার জন্য। ঐদিকে ইশরাত তাদের জেলা সদরে সরকারি কলেজে পড়া শোনা করে। আপন ঢাকায় চলে আসার পরে ইশরাতের মায়ের সাথে বছরে দুই একবার কথা হতো। এছাড়া আর কারো সাথে কথা বলতে পারে নাই। কারন বাড়ি অন্য কোন সদস্যের ফোন নাম্বার আপনের কাছে ছিল না। তো ঐ গ্রাম থেকে চলে আসার তিন বছর পড়ে মানে অনার্স তৃতীয় বর্ষে পড়ার সময় ফেসবুকের মাধ্যমে ইশরাতের সাথে যোগাযোগ হয়। তারপর পর থেকে আপন আর ইশরাতের মাঝে প্রায় সময় কথা হয়। আপন এক এক করে লজিং বাড়ির সবার অবস্থা জানার চেষ্টা করে। এভাবেই আপন এবং ইশরাত অনার্স কম্পিলিট করে।
আপন এবং ইশরাত দুই জনেই অনার্স শেষ করে ইশরাত মাস্টার্সে ভর্তি হয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালেয়ের অধিনে তাদের সরকারি জেলা কলেজে আর আপন ভর্তি হয় ঢাকা বিশ্বাবিদ্যালয়ের অধিনে ঢাকা কলেজে। এর মাঝেই ইশরাতের বিয়ের জন্য ছেলে দেখা শুরু হয়। আপন ইশরাতের পাশাপাশি তার ছোট বোন নুসরাতের সাথেও মাঝে মাঝে ম্যাসেজের মাধ্যমে কথা বলে। তাদের কারো সাথে আপন কোন দিন অডিও বা বিডিও কলে কথা বলেনি। তবে ঈদ বা বিশেষ দিনে ছবি আদান প্রদান হয়।
হঠাৎ করে একদিন কোন কারনে ইশরাত আপনের কাছে ত্রিশ হাজার টাকা চাই। এবং বলে যে সে তিন মাস পড়ে টাকাটা রিটার্ন করে দিবে। আপন জানে ইশরাত কোনদিন টাকা চাওয়ার কথা না। কারন ইশরাতের বাবার মোটামুটি ভালই টাকা পয়সা আছে। তার বাবা মাছের বিজনেস করে। তাদের নিজের অনেক গুলো বড় বড় পুকুরে মাছ চাষ করে আর সব মিলিয়ে ৮০ কাটার মত জমি আছে। ধানের দিনে প্রায় ১০ থেকে ১২ জন মানুষ তিন থেকে সাড়ে তিন মাস তাদের বাড়িতে থেকে কাজ করতে হয়। ইশরাতের দাদা উনিশ শতকের দুইবারের চেয়ারম্যান ছিল। দুই হাজার শতকেও তার বড় কাকা দুই বার চেয়ারম্যান হয়েছে। শেষ দুই বার সরকারি দলের লোক অটো চেয়ারম্যান হয়ে যাওয়ার কারনে তার কাকা আর চেয়ারম্যান হতে পারে নি। আর ইশরাতের ছোট ভাই ইবনি বর্তমানে সাউথ আফ্রিকা থাকে। তো সব মিলিয়ে ইশরাতের টাকা চাওয়ার ব্যাপারটা আপনকে ভাবিয়ে তুলছে। সবশেষে আপন ইশরাতকে ত্রিশ হাজার টাকা দিয়েছে।
কিছুদিন যাবৎ ইশরাত আপকে প্রায় সময় জিঙ্গেস করে সে কবে বিয়ে করবে। আপন বলে এখন বিয়ে করবে না আরো পরে বিয়ে করবে। এভাবে একদিন দুইদিন ইশরাত আপনকে বলে সে আপনকে খুব পছন্দ করে। সে যেন তাদের বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠায়। আপন তো ইশরাতের কথা শুনে স্তব্ধ হয়ে গেল। কারন ইশরাত আর আপন সমবয়সি। আর আপন মনে মনে ইশরাতের বোন নুসরাতকে পছন্দ করে। যদিও তার মনের কথা কাক পক্ষিও জানে না। ইশরাত আপনকে একথাও বলেছে যে সে যদি ইশরাতকে বিয়ে করে,আপনের চাকরির জন্য,ব্যবসার জন্য বা বিদেশ গেলে যত টাকা লাগে সে দিবে। কারন তার বাবার অনেক টাকা আছে। কিন্তুু আপন তো মনে মনে চয়েজ করে নুসরাত কে। আপন কখনো ইশরাতকে বিয়ে করবে না। আর ইশরাতও আপনকে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করতে চাই না। সে ভেবেছিল ইশরাতের বিয়ে হয়ে গেলে নুসাতের বিষয়ে ইশরাতের মাধ্যমে সুপারিশ করবে। এখন ইশরাতই আপনকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেছে।
সবার কাছে মতমত আশা করি।
আল্লাহ হাফেজ।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
প্রথমত নুসরাত আপনের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা কেন নিল এবং সেই টাকা কি ফেরত দিয়েছে? দ্বিতীয়তঃ আপন যেহেতু তার ছোট বোনকে পছন্দ করে সেক্ষেত্রে নুসরাতকে সে কেন বিয়ে করতে যাবে। তাছাড়া আপন নুসরাতকে বিয়ে করতে চাইলেই যে তার বাসা থেকে মেনে নিবে তারও তো কোন ঠিক নেই। নুসরাত আপনকে যে লোভ দেখিয়েছে তাকে বিয়ে করার জন্য এর ফলে নুসরাতের মন-মানসিকতা আমার কাছে খুব একটা ভালো লাগেনি। আমার মনে হয় আপনের নুসরাতের প্রস্তাবে রাজি না হয় উচিত।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী আপু এক ইশরাতের বিয়ে হয়ে গেল তখন আপন নুসরাত কে বিয়ের প্রস্তাব দিতে পারবে। ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনের পছন্দ যেহেতু নুসরাত কে সেহেতু তাকেই বিয়ে করা উচিৎ। অপেক্ষা করে হলেও। সমবয়সী ইশরাত এতে তাদের বন্ডিং এ ও অনেক ঝামেলা হবে। তো ভালো হবে যদি আপন নুসরাত এর জন্য অপেক্ষা করে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ইশরাত সুন্দর হলেও সে সমবয়সি। সমবয়সি হলে লাষ্টে গিয়ে ঝামেলা হতে পারে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit