বাংলা ভাষায় অনুভূতি শেয়ার করার একমাত্র কমিউনিটি-
ঘরের মাঠে অজেয় থেকে গেলে ভারত। বাংলাদেশের সাথে টানা দুই টেস্ট জয় পেয়ে সিরিজ জিতে নিলো রোহিত শর্মার দল। দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচটি একটু ভিন্ন রকম হয়েছে । কারন বৃষ্টি দুই টিমকেই ভুগিয়েছে। টানা দুইদিন কানপুরের গ্রীন পার্ক স্টেডিয়াম বৃষ্টির দখলে ছিল। কোন দল বল ব্যাট নিয়ে মাঠে নামতে পারে নাই। ২৭শে সেপ্টেম্বর সকাল দশটায় খেলা শুরু হলেও অর্ধেক দিন খেলার পরেই বৃষ্টি হানা দেয়। সবাই মাঠ ছেড়ে দৌড়ে উঠে আসে গ্যালারিতে। চা কফি আর কোমল পানীয় খেয়ে বৃষ্টি থামার অপেক্ষায় থাকে দুই দল। দিন যার রাত যায় বৃষ্টি থামার কোন লক্ষণ দেখা যায় না। সবাই ভাবতে শুরু করেছিল দ্বিতীয় টেস্টে আর হয়তো বোল মাঠে গড়াবে না। অবশেষে অপেক্ষার পালা শেষ হয়ে প্রায় আড়াইদিন পরে বৃষ্টি শেষে খেলা শুরু হয়। তারপরেও বাংলাদেশের নিজেদেরকে মেলে ধরতে পারে নাই। পাকিস্তানের সাথে সিরিজ জিতে চার নাম্বারে এলেও ভারতের সাথে টানা দুই টেষ্ট হেরে আবার সাত নাম্বার র্যাঙ্কিং এ চলে যায় বাংলাদেশ টিম।
২৭শে সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে নয়টায় কানপুরের গ্রীন পার্ক স্টেডিয়ামে টস জিতে বোল করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় ক্যাপটেন রোহিত শর্মা। ফলে বাংলাদেশকে ব্যাটিং করার আমন্ত্রন জানায় স্বাগতিকরা। বাংলাদেশের পক্ষে সাদমান ও জাকের হোসেন অপেনিং ব্যাটিং করে। শূন্য উইকেটের ঘর বেশিক্ষন শূন্য থাকেনি। ২৪ বল খেলে জাকির হোসেন শূন্য রানে আউট হয়ে যায়। জাকির হোসেন বাংলাদেশেকে প্রথম ধাক্কাটা দেয়। তৃতীয় উইকেটে আসে বাংলাদেশের পুরাতন টেস্ট অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক। সাদমান আর মুমিনুল ধীরে ধীরে খেলার চেষ্টা করে। সাদমান ২৪ রান করার পরে আকাশ দীপের lbw এর ফাঁদে পড়ে আউট হয়ে যায়। এদিকে মুমিনুল ধরে খেলার চেষ্টা করলেও তাকে কেউ সঙ্গ দিতে পারে নাই। মুমিনুল ১০৭ রান করে অপরাজিত থাকলেও শান্ত ৩১ ও মেরাজ ২০ রান করে আউট হয়ে যায়। আর তেমন কেউ রান তুলতে পারে নাই। সব কয়টি উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ ২৩৩ রান তুলতে সক্ষম হয়।
ভারতের পক্ষে প্রথম ব্যাট করতে আসে যশস্বী জয়সওয়াল ও রোহিত শর্মা। তারা দুইজন এমনিতেও মারকুটে ব্যাটসমন। ওয়ান্ডে স্টাইলেই খেলেছে। জয়সওয়াল ৫১ বলে ৭২ ও রোহিত শর্মা ১১ বলে ২৩ রান করে আউট হয়ে যায়। তারপর শুভমান গিল, কোহেলি ও রাহুল ভালোই খেলেছে। গিল ৩৬ বলে ৩৯, কোহেলি ৩৫ বলে ৩৯ ও রাহুল ৪৩ বলে ৬৮ রান তুলে। তারা প্রথম দিকে ওয়ান্ডে স্টাইলে খেললেও শেষের দিকে তেমন ভালো করতে পারে নাই। এই ইনিংসে সাকিব ও মেরাজ দুইজনে চারটি করে উইকেট পায়। যার ফলে শেষের দিকে বিপর্যয়ে পরে টিম ইন্ডিয়া। তারা ৯ উইকেট হারিয়ে ২৮৫ রান করে ইনিংস ঘোষনা করে দেয়।
৫২ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে বাংলাদেশ দল। দিত্বীয় ইনিংসেও জাকির হোসেন ব্যর্থ হয়। ১৫ বলে ১০ রান করে অশ্বিনের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে আউট হয়ে যায়। তবে সাদমান ইসলাম ধরে খেলার চেষ্টা করেছিল। সে ১০১ বলে খেললেও ফিফটি তুলে নেয়। সাকিব, লিটন, মেরাজ সবাই ব্যর্থ। প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি করা মমিনুল দুই রান করে আউট হয়ে যায়। শান্ত ৩৭ বলে ১৯ রান ও ৬৩ বলে ৩৭ রান তুলে মাঠ ছাড়ে মুশফিকুর রহিম। চতুর্থ দিন লাঞ্চ বিরতির আগেই বাংলাদেশ টিম সব কয়টি উইকেট হারিয়ে ফেলে। মাত্র ১৪৬ রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংস শেষ করে শান্তর দল।
দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৯৫ রানের সহজ লক্ষ নিয়ে মাঠে নামে টিম ইন্ডিয়া। তবে দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ হয় রোহিত শর্মা। যশস্বী জয়সওয়ালের ব্যাটে দ্বিতীয় ইনিংসেও রান এসেছে। সে ৪৫ বলে ৫১ রান তুলে। শুভমান গিল ১০ বলে ৬ রান করে। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে বিরাট কোহেলি ধৈর্য ধরে খেলেছে সে ৩৭ বলে ২৯ রান তুলেছে। ঋষভ পন্ত চার রান করে অপরাজিত থাকে। তিন উইকেট হারিয়ে ৯৮ রান করে জয়ের বন্দরে পৌছে যায় টিম ইন্ডিয়া।
আমরা প্রথমে হয়তো ভেবেছিলাম দ্বিতীয় টেষ্ট ম্যাচটি ড্র হবে। তবে বাংলাদেশ প্রথম, দ্বিতীয় কোন ইনিংসেই ধৈর্যের পরিচয় দিতে পারে নাই। খুবই ভাজে খেলেছে। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের বোলিং ভালো হয়েছিল। আর ভারতের দুই ইনিংসেই বোলিং ব্যাটিং ভালো হয়েছে। বুমরা, আশ্বিন, সিরাজ সবাই ভালো বোলিং করেছে। যায়হোক বাংলাদেশ যদি এই ম্যাচ গুলো থেকে শিক্ষ নিয়ে ভবিষ্যতে ভালো করতে পারে, তাহলে তাদের জন্য ভালো হবে।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
প্রথম টেস্টের কথা বাদ দিলাম ভাই। কিন্তু এই টেস্টে বাংলাদেশ এতো জঘন্য খেলেছে সেটা বলার মতো না। আড়াইদিন হয়েছে ম্যাচ টা। আমাদের দেশের খেলোয়ার রা সেটাও খেলতে পারেনি। এদের ব্যাটিং দেখে রীতিমতো রাগ হচ্ছিল আমার।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি ভাই আমরা ভেবেছিলাম এই খেলাটা হবে। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা এত বাজে খেলবে বুঝতে পারেনি। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit