বাংলা ভাষাভাষীর মিলন মেলা-
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে একটি বৌভাতের অনুষ্ঠানে যাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করবো। আশা করি ব্লগটি সবার কাছেই ভালো লাগবে।
আমি যে কোম্পানিতে জব করি সেখান থেকে ছুটি পাওয়া কঠিন ব্যাপার। এখানে ঈদ ছাড়া অফিস বন্ধ থাকে না। এখানে জব করে পারিবারিক ও আত্নীয় স্বজন বন্ধুবান্ধবের অনেক অনুষ্ঠানে এটেন করা হয় নাই। তার কারন হলো এখানে সঠিক সময়ে ছুটি পাওয়া যায় না। ছুটি চাইতে গেলে নানা বাহানা করে,নানা ধরনের সমস্যা এসে দাড়ায়। অর্থাৎ সব প্রাইভেট সেক্টরেই খুব চাপের মধ্যে চাকরি করতে হয়। এদিক থেকে সেদিক হলেই বিভিন্ন ধরনের কথা শুনতে হয়, কথায় কথায় চাকরি ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখায়। যায়হোক এসব নিয়েই প্রায় দশ বছর যাবৎ চাকরি করে যাচ্ছি।
আপনারা হয়তো অনেকই জানেন যে, আমি চাকরির পাশাপাশি একটি মেডিকেল কোর্স করতেছি ও সেই সাথে প্রেক্টিকেল বিষয় গুলোর জানার জন্য একটি ফার্মেসিতেও সময় দিতেছি। তো যেই ফার্মেসিতে সময় দিচ্ছি সেই ফার্মেসির মালিকের ছেলেও যাত্রাবড়িতে আমার সাথে ডিএমএস কোর্স করেছে। তার কোর্স অবশ্য শেষ হয়ে গেছে। সে তার বাবার পুরাতন ফার্মেসিতে বসে আর আমি ও তার বাবা নতুন একটি ফার্মেসিতে বসি। তো গত ১১ই সেপ্টেম্বর রোজ শুক্রবার তার বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছে। আর ১২ই সেপ্টেম্বর শনিবার তার বিয়ের বৌভাতের অনুষ্ঠান হয়েছে।
গত দুই মাস আগেই বিয়ের দিন তারিখ ঠিক হয়েছে। ধীরে ধীরে সময় ঘনিয়ে আসতে লাগলো। দাওয়াত দেওয়া ও শুরু হলো। আমি ও আমার ফেমিলিকে আঙ্কেল বিয়েতে বরযাত্রী ও বৌভাতের অনুষ্ঠানের জন্য দাওয়াত দেয়। বিয়ের অনষ্ঠান হয়েছে কমিউনিটি সেন্টারে। তো আমি আঙ্কলকে আগেই বলে দিয়েছি যে আমার যাত্রাবাড়িতে শুক্রবারে কোচিং এর ক্লাস থাকে, আমি বরযাত্রী হিসাবে যেতে পারবো না তবে বৌভাতে থাকার চেষ্টা করব, ইনশাআল্লাহ।
ফোনে খোঁজখবর নিলাম। সব কিছু ঠিকঠাক ভাবেই আয়োজন হয়েছে। শনিবারে যোহরের আজানের পরে আমি অফিস থেকে বৌভাতের অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য বের হয়। সেখানে একটি মসজিদে গিয়ে যোহরের নামাজ পড়ে বৌভাতের অনুষ্ঠানে হাজির হলোম। আমি একাই গিয়েছি ফেমিলি যায়নি। বৌভাতের অনুষ্ঠান করেছে তাদের বাসার সামনে একটি নতুন বেল্ডিং এর ভিতরে। বেল্ডিংটি পাঁচ তলা ফাউন্ডেশন হলেও দুই তালার ছাদ দেওয়া হয়েছে। মোটামটি জায়গাটা ভালোই দেখলাম। শহরে তো সব কিছু কমিউনিটি সেন্টারে করা হয়। তারা এখানেই একটি জায়গা পেয়ে সব কিছু ম্যানেজ করেছে। আমি সেখানে পৌছে দেখি খাওয়া দাওয়া শুরু হয়ে গেছে। আঙ্কেলের সাথে মোসাফা করে খাবারের জন্য সোজা দুই তলায় চলে গেলাম। বর কনে তখনও স্টেজে আসে নাই। প্রায় সাতশো মানুষের খাবারের আয়োজন করা হয়েছে। আমি আর আমার এক কলিগ খালি টেবিল পেয়ে বসে গেলাম।
টেবিলে বসতেই সামনে খাবার চলে আসলো। প্রথমেই পোলাও ভাতের সাথে চিকেন ফ্রাই দিলো। আমার সাথে অনেক মানুষ বসেছে। আমি খাবারের মাত্র একটি ফটোগ্রাফি করেছি। তখন খাবারের ফটোগ্রাফি করতে কিছুটা লজ্জা অনুভব করলাম,হে হে হে। সে জন্য খাবারের আর কোন ফটোগ্রাফি করি নাই। খাবারের মেনুতে ছিল পোলাও, চাইনিজ সালাদ, চিকেন ফ্রাই, চিকেন রোস্ট, চিলি চিকেন, গরুর মাংস আর আনলিমিটেড বোরহানী। খাবার মাসাআল্লাহ অনেক টেষ্ট হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমানে খেয়েছি। খাওয়া দাওয়া শেষ করে আঙ্কেলের সাথে দেখা করে যাওয়ার জন্য রেডি হলাম।
তারপর পরিচিত কয়েক জনের সাথে দেখা স্বাক্ষাত হলো। আমারা প্রথম বেইচে খাবার খেয়েছি। খাবার শেষ করতে করতে প্রায় আড়াইটা বেজে গেছে। আমার আবার অফিসে আসতে হবে। সেই জন্য সেখানে আর বেশি দেরি করি নাই। বর কনে পার্লারে সাজুগুজু করতে গেছে। সে জন্য তাদের সাথে দেখা হয়নি। আমি একটি স্পিড ক্যানের বোতল হাতে নিয়ে ধীরে ধীরে চলে আসলাম।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
নাম | এক ছোট ভাইয়ের বৌভাত অনুষ্ঠানে কিছু সময়।। |
স্থান | নারায়নগঞ্জ, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
তারিখ | ১২/১০/২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
প্রাইভেট সেক্টরের জব গুলো তে আসলেই ছুটি পাওয়া বেশ মুশকিল। আর এর কারনে আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধু-বান্ধবদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও এটেন্ড করা যায় না। ছোট ভাইয়ের বৌভাতে খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। সবার সামনে খাবারের ফটোগ্রাফি করতে আসলেই একটু লজ্জা লাগে। মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী সে জন্যই খাবারের ফটোগ্রাফি তেমন করতে পারি নাই। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া মাঝে মাঝে মানুষের মধ্যে ফটোগ্রাফি ধারণ করতে গেলে একটু লজ্জা বোধ হয়। ছোট ভাইয়ের বৌ ভাতে অনেক সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। খাবারের আয়োজনটা বেশ ভালই ছিল। বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী আপু বিশেষ করে খাবারের ফটোগ্রাফি করতে কিছুটা লজ্জা লাগে। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ছুটি চাইতে গেলেই বিভিন্ন রকমের কথা শুরু হয়ে যায় মালিকপক্ষের। এটা সত্যিই অনেক খারাপ লাগার বিষয়। যাইহোক ভাইয়া আপনি আপনার এক রিলেটিভ এর বিয়েতে গিয়েছিলেন দেখে ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করলে কি যে জামেলা বলে বুঝানো যাবে না। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ছোট ভাইয়ের বউ ভাত খেতে যাওয়ার সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। মেয়ে পক্ষ খাওয়া-দাওয়ার জায়গাটা অনেক সুন্দর করে সাজিয়েছে দেখে বেশ ভালো লাগলো। আপনি ঠিকই বলেছেন ভাই অনেক মানুষের মাঝে ছবি তোলা বিষয়টা একটু লজ্জা জনক ব্যাপার । কে কি মনে করে সে বিষয়টা শুধু মনের ভেতর উদয় হয়। ধন্যবাদ ভাই অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মেয়ে পক্ষ নয় ভাইয়া ছেলে পক্ষ সাজিয়েছে। আমি ছেলে পক্ষের হয়ে গিয়েছিলাম। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ওহ আচ্ছা ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি। শুকরিয়া ভাই ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
যারা চাকরি করে তারাই কেবল বুঝে চাকরির কত জ্বালা। আমার আপুর মুখেও শুনি যে ছুটি চাইতে গেলে অনেক ঝামেলা করে। কিন্তু বিষয় হলো একা একা দাওয়াত খেলেন। আমাকে তো একটু নিতে পারতেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী আপু আসলে পরের অধিনে চাকরি মানেই প্যারা। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit