স্মৃতির পাতায় অনেকগুলো ফটোগ্রাফি।।

হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি বিভিন্ন সময় স্মৃতি হিসেবে ধরে রাখা কিছু আলোকচিত্র শেয়ার করবো। আশা করি আপনাদের সবার কাছে ব্লগ টি অনেক ভালো লাগবে।

ফটোগ্রাফি মানে হলো কোন সময়কে, কোন মুহূর্তকে বন্দি করা। ফটোগ্রাফি করার একটি উপকারিতা হলো অবসর সময়ে সেই স্মৃতিগুলোকে দেখা যায়। স্মৃতিগুলোকে মনে করা যায়। ফটোগ্রাফির মাধ্যমে স্মৃতিগুলোকে বন্দী করে বছরের পর বছর যুগের পর যুগ সংরক্ষণ করা যায়। আর সেগুলো যদি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করা যায়, তাহলে তো আর কোন কথা থাকে না। এই স্মৃতিগুলো কখনোই হারাবেনা। একদিন হয়তো হারিয়ে যাবে আমাদের হাতের ডিভাইস,হাতের মোবাইল, নষ্ট হয়ে যাবে আমাদের কম্পিউটার, ল্যাপটপ। তারপরেও স্টিমিটে শেয়ার করা ফটোগ্রাফিগুলো কখনোই নষ্ট হবে না। কখনোই হারাবে না। আর সেজন্যই আমি মাঝে মাঝে বিভিন্ন ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করে আমার বিভিন্ন স্মৃতিগুলো ফটোগ্রাফির মাধ্যমে বন্দী করে এই প্লাটফর্মে শেয়ার করে থাকি। আমার যখন মনে চায় তখন আমি আবার স্মৃতির পাতা উল্টিয়ে এই মুহূর্তগুলো স্মরণ করতে পারি। সেই হিসেবে আজকে কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি।

ভৈরব ব্রিজের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় এই ফটোগ্রাফি টা ক্যাপচার করেছিলাম। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এখনে পদ্মা ওয়েল কোম্পানির বেশ কিছু গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। এই ফটোগ্রাফিটা আমি নিয়েছিলাম নয়টার সময়। হয়তো গাড়িগুলো তেল নেওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে আছে। মেঘনা নদীর মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গা থেকে তেল এনে এখানে স্টক করা হয়। তারপর এখান থেকে গাড়ির মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় ডিস্ট্রিবিউট করা হয়।

বর্তমানে আমি এই বগিতে চড়ে ঢাকায় আসতেছি। আজকে আমার ভাগ্যটা অনেক ভালো এসি বগির সিট পেলাম। মাঝে মাঝে ভাগ্যটা অনেক খারাপ থাকে, দু এক মিনিটের জন্য ট্রেন পায় না। আবার মাঝে মাঝে ভাগ্যটা এত সুপ্রসন্ন হয় যে কল্পনাও করতে পারিনা। এই মুহূর্তটা ও ক্যাপচার করে স্মৃতির পাতায় রেখে দিলাম। হয়তো কোন এক সময় মনে পড়বে।

এখানে দেখতে পাচ্ছেন দুইটি ফটোগ্রাফি। কিছুদিন আগে আমি বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে কমলাপুরে যাওয়ার পথে তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে আটকে গেছিলাম। তখন আমি এই ফটোগ্রাফিগুলো করেছিলাম। দেখতে পাচ্ছেন সরাসরি প্রমাণ দিয়ে দিলাম, কিছুদিন আগে ভুল করে লোকাল ট্রেনে উঠে এক জায়গায় আটক হয়ে আমার শিক্ষা হয়েছে। সেই মুহূর্তটা ক্যাপচার করে আজকের শেয়ার করে প্রমাণ করে দিলাম। আর কোনদিন লোকাল ট্রেনে যাবো না।দরকার হলে ২০ মিনিট আধা ঘন্টা লেইট করে হলেও ইন্টারসিটি ট্রেনে যাতায়াত করবো।

এ দুটো ফটোগ্রাফি আপনারা এক নজর দেখলেই চিনে ফেলবেন। এটা হলো আমাদের রাজধানীর ঢাকা শহরের একমাত্র এয়ারপোর্ট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাহিরের অংশের ফটোগ্রাফি। আমার ছোট ভাইকে রিসিভ করতে গিয়ে এই ফটোগ্রাফি টা করেছিলাম। এখানে গেলে দুটি দৃশ্য চোখে পড়ে। একটি হাসির একটি কান্নার। কেউ আপনজনকে পেয়ে হাসে, কেউ আপনজনকে ছেড়ে দিয়ে কাঁদে। এটাই বাস্তবতা। আপনার ফটোগ্রাফি তে দেখতে পাচ্ছেন একজন লোক বিদেশ থেকে আসা একটি লাগেজ নিয়ে যাচ্ছে। তার মুখে অবশ্য হাসি। আর সামনে যাকে দেখতে পাচ্ছেন, একা একা হেঁটে যাচ্ছে, সে বিদেশে চলে যাবে। তার আত্মীয়-স্বজনদের চোখে পানি।

সর্বশেষ একটি প্রাকৃতিক ফটোগ্রাফি দিয়ে ব্লগটি শেষ করতে চাই। এই ফটোগ্রাফি টা কিছুদিন আগে আমার এক ফ্রেন্ডের বাসায় দাওয়াত খেতে গিয়ে ক্যাপচার করেছিলাম। এটাও একটি মুহূর্তের স্মৃতি বহন করে। হঠাৎ করে ফটোগ্রাফ টা দেখে মনে হলো, এটা আমার ফ্রেন্ডের বাসার নিচতলা থেকে ক্যাপচার করেছিলাম। আসলে স্মৃতি থাকা ভালো, এই স্মৃতি গুলোর মাধ্যমে আমাদের অনেক কিছু মনে পড়ে। অবশেষে অনেকগুলো স্মৃতি এ প্লাটফর্মে রেখে দিলাম। কোন একদিন হয়তো মনে পড়বে।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।