হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন,আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে মিরপুর শেরে-ই -বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএল খেলা দেখার অনুভূতি-অন্তিম পর্ব শেয়ার করবো। আশা করি ব্লগটি আপনাদের সবার কাছে অনেক ভালো লাগবে।
বন্ধুরা আমি কয়েকদিন আগে আপনাদের সাথে মিরপুর শেরে-ই -বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএল খেলা দেখার অনুভূতি নিয়ে প্রথম পর্ব শেয়ার করেছিলাম। আমরা টিকেট নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে দেখি কোথাও বসার মত জায়গা নেই। স্টেডিয়ামের চারপাশ মানুষে কানায় কানায় পূরিপূর্ণ। তখন বরিশাল বনাম চট্রগ্রামের খেলা চলতেছিলো। চট্রগ্রাম আগে ব্যাটিং করে তেমন রান তুলতে পারে নাই। যার ফলে বরিশাল খুব সহজেই জিতে গিয়েছিলো। আমরা যখন স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেছি তখন সূর্য পশ্চিম আকাশে ছিল,যার ফলে পূর্বদিক দিয়ে প্রচুর রোদ ছিল। আমরা পূর্বে দিকের গ্যালারির টিকেট পেয়েছিলাম।
বরিশালের খেলা শেষ হওয়ার পরে কিছু সিট খালি হয়ে গেছে। আমি আমার ফ্রেন্ড টপ করে দুইটি সিটে বসে গেলাম। যদিও আমার ফ্রেন্ডের টিকেট ছিল দুই তলার। কিন্তুু সিকিরিটি গার্ড বললো যে উপর থেকে নিচ থেকে খেলা সুন্দর দেখা যায়। কারন নিচ থেকে ম্যান গুলো স্পষ্ট দেখা যায়। তাই সে দুই তলায় না গিয়ে আমার সাথে নিচ তলায় রয়ে গেলো। টিকেটের মধ্যে সিট নাম্বার আছে। তবে স্টেডিয়ামের ভিতরে কেউ টিকেটের সিট নাম্বার ফলো করে না। যে যেখানে জায়গা পায় সেখানেই বসে যায়। বাঙালি জাতি নিজের দেশে কখনই নিয়ম কানুন মানে নাই। সেটা পৃথিবীর সবাই জানে। অন্য দেশে গেলে আবার সাধু হয়ে যায়।
উপরের ছবি গুলো দেখতে পাচ্ছেন,কি পরিমান মানুষের উপস্থিতি হয়েছে। ঐদিন সরকারি বন্ধের দিন থাকার কারনে তুলনা মূলক ভাবে মানুষ বেশি হয়েছিল। বরিশালের আর চট্রগ্রামের খেলা শেষ হওয়ার পরে কিছু সিট ফাঁকা হয়ে যায়। একটি খেলা শেষ হওয়ার পরে দ্বিতীয় খেলার জন্য মাঠকে প্রস্তুুত করা হয়। কারন একটি খেলা খেলার পরে পিচের মাটি উঠে পিচ কিছুটা নষ্ট হয়ে যায়। সে গুলো পরিষ্কার করে আবার নতুন করে আটা বা ময়দা দিয়ে দাগ দেওয়া হয়। অর্থাৎ সব কিছু নতুননের মত করা হয়। আমি মাঠের পরিস্থিতি বুঝানোর জন্য বেশ কিছু ফটোগ্রাফি নিচে শেয়ার করছি। ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে সব কিছু বুঝতে পারবেন।
এইদিন মাঠের মধ্যে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের দর্শক বেশি ছিল। আপনারা ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে বুঝতে পারবেন। ঐদিন দ্বিতীয় খেলাটি রংপুর রাইডার্স বনাম কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আমরা মাঠের গ্যালারিতে বসে বিদেশি অনেক খেলোয়ারকে দেখেছি তারা প্রেক্টিস করতেছিল। কুমিল্লার মধ্যে নামিদামি অনেক বিদেশি খেলোয়ার ছিল। আফগানিস্তানের মোহাম্মাদ নবী,ওয়েস্ট ইন্ডিজের সুনিল নারিন,এন্ডার রাসেল আফ্রিকা ও ইংল্যন্ডের খেলোয়ার ও ছিল। ঠিক সাড়ে ছয়টার সময় খেলা শুরু হয়েছিল। রংপুর টজ জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয়।
রংপুর প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে তেমন সুবিধা করতে পারে নাই। প্রথম পাচঁ অভারে মাত্র ত্রিশ প্লাস রান করতে পেরেছিল। তবে শেষে দিকে আফ্রিকার একটি খেলোয়ার একাই ৯৬ রান করে ফেলে। সব মিলিয়ে তারা ১৮৬ রানের মত করেছিল। মোটামুটি ফাইটিং করার মত একটি স্কোর করেছিল। দ্বিতীয় পর্বে কুমিল্লার পক্ষে নেমে প্রথম বলেই সুনিল নারিন আউট হয়ে যায়। যার ফলে কুমিল্লা প্রথম দিকেই চাপে পড়ে। তবে লিটন দাশ আর তৌহিদ হৃদয় খেলাটা এগিয়ে নিয়ে গেছে। তারা দুইজনই ফিফটি প্লাস রান করেছিল। তাদের উপর নির্ভর করেই কুমিল্লা সেইদিন খেলাটা জিতেছিল।
যখন চার ছয় হয় তখন গ্যালারির মধ্যে আনন্দের জোয়ার বয়তে থাকে। আর সাউন্ড বক্সে ডিজে গান চলে। সবাই নাচানাচি করে খেলা উপভোগ করেছে। আমার টিকেটের টাকা টা উসল হয়েছে। আমি কুমিল্লার পক্ষ হয়ে খেলা দেখতে গেছিলাম। আর আমার ফ্রেন্ড গিয়েছিল রংপুর রাইডার্সের পক্ষ হয়ে। খেলা শেষ হতে হতে দশটার উপরে বেজে গেছিলো। খেলা শেষ হওয়ার পরে উপরে বাজি বা ফটকা ফুটেছে। কুমিল্লার জয় নিয়ে সবাই ঘরে ফিরেছে।
আমি আসার সময় একটি গেন্জি কিনতে গিয়ে আমার সানগ্লাসটা ফেলে এসেছিলাম। ঐদিক দিয়ে আমার লস হয়ে গেছে। পাচঁশো টাকা টিকেট আবার পাচঁশো টাকার সানগ্লাস গেছে। খেলা দেখে বাসায় আসতে আসতে রাত বারোটার উপরে বেজেছিল। যায়হোক গ্যালারিতে বসে প্রথম খেলা দেখার অনুভূতি দারুন ছিল।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
শিরোনাম | মিরপুর শেরে-ই -বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএল খেলা দেখার অনুভূতি-অন্তিম পর্ব।।।। |
স্থান | মিরপুর স্টেডিয়াম,ঢাকা,বাংলাদেশ। |
তারিখ | ২৬ /০২ /২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মিরপুরে খেলা দেখার ভাগ্য একবার হয়েছে। যদি ইস্টার্ন বা ওয়েস্টার্ন দিকে বসেন তাহলে উপরে বসাই ঠিক। এতে করে ভালোভাবে খেলাটা দেখা যায়। আপনার প্রথম পর্বটা পড়েছিলাম যেখানে আপনি কয়েকগুণ বেশি টাকা দিয়ে টিকিট কিনেছিলেন ব্ল্যাকার এর কাছ থেকে। ম্যাচটা বেশ ভালোই উপভোগ করছেন দেখছি। এবং সত্যি বেশ অনেক লোক এসেছে। সুন্দর ছিল আপনার পোস্ট টা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী ভাইয়া ঐবার ফাষ্ট গেছিলাম। টিকেট না পেয়ে পরে ব্ল্যাকার থেকে নিছিলাম। আর যাওয়ার ইচ্ছা নেই। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
খেলা দেখার দারুণ এক অনুভূতি আমাদের মাঝে প্রকাশ করেছেন আপনি। আপনার এই অনুভূতি দেখে বেশ ভালো লাগলো ভাই। স্টেডিয়ামের সরাসরি খেলা দেখার মজাই আলাদা। তবে এমন বড় কোন স্টেডিয়ামে খেলা দেখার সৌভাগ্য আজ পর্যন্ত হয়নি। আপনার অনুভূতি দেখে খুবই খুশি হলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী ভাইয়া প্রথম বার দেখেছিলাম। ভালোই লেগেছে। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit