বঙ্গবন্ধু কপ্লেক্সে মার্কেটে একদিন।।

আস্সালামু আলাইকমু ওয়া রাহমাতুল্লাহ

হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা সম্পর্কে কিছু কথা বলবো। আশা করি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।

আমি আপনাদের সাথে গত মাসে গুলিস্তানের সুন্দরবন স্কুয়ার মাকের্ট সম্পর্কে একটি ব্লগ শেয়ার করেছিলাম। আমি আর আমার এক ভাগিনা গিয়েছিলাম দোকানের কিছু মালামাল কিনতে। সেই দিন আমারা কয়েকটি মার্কেট ঘুরেছিলাম। সেখানে আমার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করা বাকি রয়েগেছিল। আমরা কাপ্তান বাজার মার্কেটেও গিয়েছিলাম। কাপ্তান বাজার মার্কেটকে বাংলাদেশের সব থেকে বড় ইলেক্ট্রনিক আইটেমের মার্কেট বলা হয়। বিশাল বড় কাপ্তান বাজার মার্কেট ঘুরে আমরা শেষ করতে পারি নাই। কত আইটেম যে সেই মাকের্টে আছে সে গুলো আমি গুনে শেষ করতে পারবো না। আমরা প্রথম বার কিছু কেনা কাটা করে চলে এসেছিলাম। পরের মাসে আবার গিয়েছিলাম।

আমরা দ্বিতীয়বার গিয়েছিলাম মোবাইলের পিছনে স্টিকার লাগানোর একটি মেশিন কিনতে। তবে আমরা সেদিন সেই মেশিনটা কিনতে পারি নাই। মেশিনের এত দাম যে শুনেই আমরা ঠান্ডা হয়ে গেলাম। তারপর আমরা বঙ্গবন্ধু কপ্লেক্সে মার্কেটে গেলাম। সেখানে গিয়ে মোবাইল এবং ইলেক্ট্রনিক জিনিস পত্র কিনলাম। জিনিষ পত্র দেখলে শুধু কিনতেই মন চাই।

মার্কেটে যাওয়ার পর বুঝা যায় দুনিয়াতে কত কিছু আছে। শুধু ইলেক্ট্রনিক জিনিষ পত্র যে এত আইটেমের আছে,সেটা আমি কল্পনাও করি নাই। শুধু বৈদ্যুতিক সুইচই দেখলাম ৫০ থেকে ৬০ প্রকারের। বৈদ্যুতিক বাল্ব রয়েছে ২০ থেকে ২৫ প্রকারের। কত ডিজাইনের ফ্যান রয়েছে,সেটা ঠিক ভাবে বলা যাবে না। এছাড়া আরো অনেক প্রকারের পন্য রয়েছে যে গুলোর নামও আমি জানিনা। সেখানে বেচা কেনার এক আজব খেলা।

গ্রামের বা শহরে যারা খুচরা ইলেক্ট্রনিক পার্টস বিক্রয় করতে চাই তারা সেখান থেকে মালামাল কিনে আনে। সেখানে গিয়ে আমি যেটা বুঝলাম জিনিষ পত্রের দাম তুলনামূলক অনেক কম। তবে খুচরা কিনতে গেলে দামটা বেড়ে যায়। ব্যবসা না করলেও এসব মার্কেটে গেলে অনেক অভিজ্ঞতা হয়। অনেক বিষয় সম্পর্কে জানা যায়। আপনি যখন দোকনে খুচরা জিনিস কিনতে যাবেন তখন বুঝতে পারবেন আপনার সাথে কত বড় বেইমানি করছে।

আমি যে বিষয়টা দেখে সব থেকে বেশি অবাক হয়েছি সেটা হলো মোবাইলের পার্টস। মোবাইলের পার্টস গুলো পাইকারি কিনলে দাম খুবই কম। তবে আমি এখানে কোন কিছুর দাম উল্লেখ করছি না। যারা ব্যবসা করে তাদের বিবেক থাকা দরকার। একটা মোবাইলের গ্লাস পেপারের দাম কত আর তারা নেয় কত টাকা। যায়হোক মানুষের বিবেক না থাকলে তাকে কিছু বলে লাভ হবে না। মোবাইলের জিনিষ পত্রও রয়েছে প্রচুর। আমি এত প্রকারের নাম এখানে লিখে শেষ করতে পারবো না।

মোবাইল হলো একটি শখের জিনিষ। সেই শখের জিনিষের পিছনে মানুষ যে কত টাকা ব্যায় করে সেটা ঐজাগায় না গেলে বুঝতাম না। আর এমন জিনিষ দেখলাম যে দেখলেই কিনতে মন চাই। সব থেকে বেশি আকর্ষন করে ব্লু-টুথ হেডফোন ও হেডসেট গুলো। অবশ্য আমি নিজে একটা হেডসেট কিনে এনেছি। সেটা পাইকারি দামেই নিয়েছে। আমি চিন্তা করেছি আমার মোবাইলের কোন পার্টস পাতি লাগলে সেখানেই চলে যাবো।

আপনারা যারা এই বিষয়ে ব্যবসা করতে চান,তারা নিঃসন্দেহে এই মার্কেট গুলোতে যেতে পারেন। আপনি বাংলাদেশের যে প্রান্তেই থাকেন না কেন,প্রথমবার গিয়ে পরিচয় হয়ে আসলে পরের বার থেকে মোবাইলে যোগাযোগ করলেই সব কিছু তারা কুরিয়ার করে পাঠিয়ে দিবে। এই ব্যবসায়ী গুলো আবার এত খারাপ না যে আপনি আমি টাকা দিলে তারা টাকা মেরে দিবে। তারা যথেষ্ট চেষ্টা করবে আপনার নিকট পন্য পৌছে দিতে। তারা খুবই আন্তরিক।

বন্ধুরা এই হলো আমার আজকের আয়োজন। ব্যবসা খুবই উত্তম একটি জিনিষ। যে কোন বিষয়ে ব্যবসা করতে পারলে আর কিছু লাগে না। ব্যবসার টাকা হলো আনলিমিটেড আর চাকরির টাকা হলো লিমিটেড। সুতরাং চাকরি থেকে হাজার গুনে উত্তম হলো ব্যবসা। আমি সবাইকে ব্যবসা করার পরামর্শ দিলাম। সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। আবার দেখা হবে।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।