হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই,আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে বাস্তব ভিত্তিক একটি জেনারেল পোষ্ট শেয়ার করবো। আশা করি আপনারা সবাই ব্লগটি মনযোগ সহকারে পড়বেন।
গত কাল বিকাল বেলা বাসা থেকে লাঞ্চ করে আসার পথে অফিসের সিড়িতে এক কলিগ আমার হাতে কয়েকটি বাদাম ধরিয়ে দিলেন। আমি বাদাম গুলো খেতে খেতে আমার ডেস্কে এসে বসলাম। বাদাম গুলো খেতে আমার কাছে ভালোই লেগেছে। এমনটা না যে,আমি বাদাম প্রথম খেয়েছি তাই ভালো লেগেছে। প্রায় সময় আমি লাঞ্চ করে আসার পথে রাস্তার পাশ থেকে দশ বিশ টাকার বাদাম কিনে নিয়ে আসি। গত কাল হঠাৎ করে বাদাম খেতে খুব মন চাইলো। কিন্তুু কাজের চাপের কারনে দ্বিতীয় বার বাহিরে যাওয়ার সময় পাচ্ছিলাম না। এভাবেই আছরের আজান দিয়ে দিলো। নামাজ পড়তে চলে গেলাম আর বাদামের কথাও ভুলে গেলাম। নামাজ পড়ে এসেও কাজে মনযোগ দিলাম।
এখন সন্ধার দিকে ভালোই শীত পড়ে। ছয়টা বাজার অনেক আগেই মাগরিবের আজান ও নামাজ শেষ হয়ে যায়। আবহাওয়া,মৌসুম,পরিবেশ কেমন সেটা আমরা মাথায় রাখি না। মাথায় থাকে কখন ছয়টা বাজবে,কারণ ছয়টার সময় অফিস ছুটি হয়। ছয়টার আগে জড়-তুফান,ঘূর্ণিঝড় টর্নেডো,ভূমিকম্প যায়হোক না কেন ছয়টার আগে কোন ছুটি নেয়। বলতে পারেন এক প্রকারের জেল খানা। ছয়টা টু নয়টা এই নয় ঘন্টা একটি বাউন্ডারিতে বন্দি থাকা। কাজ থাক বা না থাক সেটা দেখার বিষয় না। যায়হোক চাকরি করতে হলে এই বিষয় গুলো মানতেই হবে। তো যেটা বলতে ছিলাম, বাদামের কথা।
মাগরিবের নামাজ শেষ করে বসে বসে ডিস্কর্ডে ম্যাসেজ করছি আর কখন ছয়টা বাজবে তার উপেক্ষা করছি। ছয়টা বেজেছে কিন্তুু ম্যানাজার আবার বসে আছে তাই বের হতে পারছি না। সাড়ে ছয়টার দিকে ম্যানাজার বের হয়েছে,তারপর আমরা ধীরে ধীরে বের হলাম। অফিস থেকে কিছু দুর হেটে যাওয়ার পরেই দেখলাম এক লোক একটি ভ্যানগাড়িতে বাদাম,বোট,মাসকলাই,শিমের বিচি ভেজে ভেজে বিক্রয় করছে। তাকে দেখেই আমার ভিতের সেই বাদামের নেশা আবার জেগে উঠলো। বাদাম বিক্রেতার দিকে এগিয়ে গিয়ে বললাম ভাই,দশ টাকার বাদাম দেন। সাথে সাথে সে বলে দিলো, দশ টাকার বাদাম বিক্রি করি না। বিশ টাকার নেন। আমি বললাম কেন ভাই,তোমার কাছে কি দশ টাকার দাম নেই। সে বলে বর্তমানে টাকার কোন মূল নেই। এক কেজি পেয়াঁজের দাম ২২০ টাকা। আমি কিভাবে দশ টাকার বাদাম বিক্রি করবো।
বুঝলাম কিছুদিন আগে সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে ২৪ ঘন্টার জন্য পেঁয়াজের দাম ২২০ টাকা হয়েছিল। অনেক মানুষ ভেবেছে হয়তো এবারও পেঁয়াজের দাম তিনশো টাকা ছাড়িয়ে যাবে তাই হুড়হুড়ি করে সবাই পেঁয়াজ কিনেছে। একেকজন দশ কেজি, পনের কেজি করে পেঁয়াজ কিনেছে। বাদাম বিক্রেতা মামা আরো কিছু কথা বললেন সেটা শুনে আমি চুপ করে দাড়িয়ে রইলাম। সে বলে আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এমপি মন্ত্রীদের হলফনামা দেখে বুঝা যায় তাদের কাছে টাকা হলো কাগজের মত। একেক জন ক্ষমতায় থেকে সিন্ডিকেট করে সম্পদের পাহাড় গড়েছে।
একজন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী তারও সম্পদ বেড়েছে ৩৯ গুণ এবং তাঁর স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে ১৩ গুণ। একেক জন এমপি মন্ত্রীদের সম্পদ বেড়েছে ২০০ গুন ৩০০ গুন। তারা এত টাকা কোথায় পেল। এমনকি তাদের স্ত্রী সন্তানদের সম্পদ বেড়েছে কয়েকশত গুন। তারা কি আলাদিনের চেরাগ পেয়েছে,যে পাঁচ বছরে এত এত সম্পদ বেড়ে যায়। আর আমরা দশ টাকার বাদাম না দিলে আমাদের কাছে কৈফিয়ত চান,আমাদের দিকে আঙ্গুল তুলেন। যারা অবৈধ ভাবে সম্পদ জমা করছে আর বিদেশ পাচার করছে তাদেরকে তো কিছু বলতে পারেন না। বাদাম বিক্রি ছেয়ে দিয়ে রাজনীতি করবো।
এই মামার সব গুলো কথাই ঠিক আছে। নির্বাচনের হলফ নামা অনুযায়ী পত্রপত্রিকায় দেখা যায় এমপিমন্ত্রীদের সম্পদ আকাশ পাতাল ব্যবধানে বেড়েছে। অথচ জনগনের পকেটে টাকা নেই। গার্মেন্টেস শ্রমিকরা আট হাজার টাকার বেতন ১২ হাজার টাকা করতে গুলি খেয়ে প্রাণ হারায়। ভাতের বদলে গুলি খায়,পুলিশের পিটুনি খায়,দলীয় সন্ত্রাসদের হাতে মার খায়। সবজির মৌসুমে বাজারে গেলেও দাম শুনে হার্ট এটার্ক হয়। কোন জিনিষের দাম বাড়লে সেটা জিন্দিগীতে কমার কোন খবর নেয়। আইন আছে প্রয়োগ নেই। ব্যবসায়ীরা সরকারের বেধেঁ দেওয়া মূল্যকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে তাদের নিজের খেয়াল খুশিতে পন্য বিক্রয় করে।
বাদাম বিক্রেতা মামার সব কথা শুনে বিশ টাকা বাদাম নিয়ে খেতে খেতে বাসার দিকে রওয়ানা দিলাম। কিছু বলার নেই,আমরা নিজেরাই আমাদের কর্মের ফল ভোগ করতেছি।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা,ডিজাইন করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit