হ্যালো বন্ধুরা,আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে মৈনট ঘাট (মিনি কক্সবাজার) ভ্রমন পর্ব-০২ শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আজকের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদেরকে সেখানে যেতে বাধ্য করবে।
বন্ধুরা আপনারা অনেকেই মৈনট ঘাট ভ্রমনের দ্বিতীয় পর্ব দেখার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। যার ফলে আমি খুব তারাতারি দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমরা নদী পথ পাড়ি দিয়ে চরে গিয়ে কি কি কাজ করে সময় অতিক্রম করেছি,সে গুলো বর্ননা করবো। আজকের পরে হয়তো আর একটি পর্ব থাকবে। তিনটি পর্ব দিয়ে আমি মৈনট ঘাট ভ্রমনের সব কিছু শেষ করে দিবো।
আমরা ইলিশ বাড়ি রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার আনতে গিয়ে দেখি,যে তারা এখনো আমাদের খাবার গুলো রেডি করতে পারে নি। তারা আমাদের কাছে ত্রিশ মিনিট সময় চাইলো। যার ফলে আমরা নদীর পারে কিছুক্ষন ঘুরা ফেরা করলাম। নদীর তীরে ড্রেজারের মাধ্যমে মাটি কাটা হচ্ছে। মনে হয় নদী ভাঙ্গন রোধে পাথরের ইট বসাবে। তখন জায়গাটা আরো বেশি আকর্ষনীয় লাগবে। সাড়ে এগারোটার দিকে আমাদের সমস্ত খাবার আমাদেরকে বুঝিয়ে দিলো। আমরা অর্ধেক বিল পরিশোধ করে খাবার নিয়ে ট্রলারে উঠে গেলাম। সেখান থেকে নৌকা ছুটলো চরের দিকে।
আপনারা দেখতে পাচ্ছেন যে, আমাদের মানুষজন বেশি হওয়ার কারনে ভিতরে উপরে সব জাগায় মানুষ বসেছে। যুবক বৃদ্ধ বাচ্ছা সবাই খুব আগ্রহ নিয়ে গেলো। কারন এখানে শুধু আমি একবার গিয়েছিলাম। তাছাড়া আর কেউ সেখানে যায়নি। সবাই নিজেদের মত করে বসে ফটোগ্রাফি আর পরিবারের কাছে ফোন করে জানাচ্ছে। আর খুবই রোদ ছিল। যার ফলে সান গ্লাস ছাড়া কোন দিকে তাকানো যাচ্ছিলো না। আমার সব গুলো ছবিতে সানগ্লাস রয়েছে। তাই বলে আমাকে আবার কানা ভাববেন না,হা হা হা।
সেখানে গিয়ে সবাই অবাক। বিশাল বড় চর। এই মাথা থেকে ঐ মাথা কিছুই দেখা যায় না। ঐদিন আমরা যখন গিয়েছি তখন মাত্র একটি ট্রলার সেখানে গিয়েছে। আমরা দ্বিতীয় ট্রলারে গিয়েছি। ধীরে ধীরে লোক সংখ্যা বাড়তে লাগলো। দুরে কয়েকটা মাছ ধরার নৌকা দেখা যায়। আমাদের অনেক স্টাফ আবার তাদের থেকে মাছ কিনেছে। ট্রলার চরে যাওয়ার সাথে সাথে সবাই টাউজার,থ্রী কোয়াটার,টু কোয়াটার পড়ে পানিতে ঝাপিয়ে পড়লো। আর একদল ফুটবল খেলায় মগ্ন হয়ে গেলো।
আমি ফুটবল না খেলে প্রথমে চরে একটু দৌড়ালাম। বিশাল বড় চর। চার দিকে পানি আর বালু ছাড়া কিছু দেখা যায়। আমাদের মধ্যে অনেকেই হাটতে হাটতে অনেক দুরে চলে গেলো। তাদেরকে পরে ফোন করে কাছে আনতে হয়েছে। আপনারা উপরের ছবিতে লক্ষ করলে বুঝতে পারবেন,পানিটা খুবই পরিষ্কার আর নীল। ঐ চর থেকে বিশ ত্রিশ কিলোমটার উত্তরে রয়েছে আরিচা ঘাট। আর দক্ষিণে রয়েছে পদ্মা সেতু। তবে কুয়াশার কারনে পদ্মা সেতু দেখা যায় নি। নদীতে তেমন কোন স্রোত নেই। তবে জোয়া বাটা আছে। আমরা যখন সেখানে গিয়েছি তখন জোয়ার ছিল। আর আসার সময় বাটা ছিল। সবাই নিজেদের মত করে আনন্দ উপভোগ করতে লাগলো।
বন্ধুরা আমার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে যথা সম্ভব জায়গাটা ফুটিয়ে তুলার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগলে সেখানে ঘুরতে যাবেন। বাকি কিছু কথা আছে সে গুলো পরের পর্বে বলে শেষ করে দিবো,ইনশাআল্লাহ।।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
শিরোনাম | মৈনট ঘাট (মিনি কক্সবাজার) ভ্রমন পর্ব-০২।। |
স্থান | মৈনট ঘাট,দোহার,ঢাকা,বাংলাদেশ। |
তারিখ | ১৬ /০২/২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর একটি পোস্ট। আপনি ভ্রমণ করেছেন এবং সেখান থেকে বেশ কয়েকটি সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফির সাথে খুব সুন্দর বর্ণনা করে শেয়ার করেছেন। আপনার পোস্ট করে জানতে পারলাম আপনি খুব চরে গিয়ে ফুটবল না খেলে প্রথমে দৌড়াদৌড়ি করেছেন। এবং আপনি খেয়াল করেছেন সেখানে শুধু পানি আর বাল তাছাড়া আর কিছুই যেন দেখা যায় না। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী ভাইয়া চরে গিয়ে দারুন সময় অতিবাহিত করেছি। খুবই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই ভ্রমণের প্রথম পর্বটি আমি দেখেছিলাম। খুব সুন্দর ছিল ওই পর্বটি। আজকে এর দ্বিতীয় পর্বটি দেখে খুব ভালো লাগলো। খুব সুন্দর ভাবে আপনি এই ভ্রমণের দ্বিতীয় পর্বটি শেয়ার করেছেন৷ এখানে আপনি খুব ভালোভাবে মজা করছেন এবং খুব সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফিও শেয়ার করছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী ভাইয়া আমরা দারুন সময় অতিবাহিত করেছি। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit