প্রথমবারের মত বিশ্বকাপ ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা।।

বাংলাদেশকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো কোন আন্তর্জাতিক টুনামেন্টের সেমিফাইনালে উঠেছিল তালেবানের দেশ আফগানিস্তান। প্রথম থেকেই খুব ভালো বোলিং ও ব্যাটিং এর জন্য প্রশংসায় ভাঁসছিল রসিদ খানের দল আফগান বাহিনী। সেমিফাইনালে যাওয়ার পরে তাদের দেশ ব্যাপি আনন্দের বন্যা বয়ে গেছিলো। সেই খুশিতে হাজার হাজার ভক্ত সমর্থক রাস্তায় নেমে এসেছিল। সেই চিত্র ইন্টারনেটের মাধ্যমে স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। বিশ্বের সব তারকা প্লেয়ারগন তাদের বাহবা দিতে থাকে। তবে তাদের সেই খুশির সময় বেশিক্ষন স্থায়ী হয়নি। আজকে সকালে দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে সেমিফাইনালে হেরে মর্মাহত হয়েছে আকাশে উড়তে থাকা আফগান বাহিনী।

২৭শে জুন বাংলাদেশি টাইম সকাল সাড়ে ছয়টার সময় আফগানদের মুখমুখি হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। খেলাটি অনুষ্ঠিত হয় ব্রায়ান লারা ক্রিকেট স্টেডিয়াম,তারউবা, ত্রিনিদাদে। সেই স্টেডিয়ামে এখন পর্যন্ত সাতটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই মাঠের ব্যবহার কেমন হবে সেটা জানতো না রসিদ খানের দল। তবে এর আগে এই মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে দুইটি ম্যাচ খেলেছিল। যার ফলে এই মাঠের ধরন প্রোটিয়াদের কিছুটা ধারনা ছিল। যেটা খুব সুন্দর ভাবেই কাজে লাগিয়েছে প্রোটিয়াদের বোলাররা।

প্রথমেই টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় আফগান বাহিনী। অপেনিং করতে নামে রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইবরাহীম জাদরান । প্রথমেই প্রোটিয়া বোলিংয়ের সামনে পুরোপুরি ধ্বসে পড়ে আফগানদের ব্যাটিং লাইনআপ। মার্কো জ্যানসেনের বলে রেজা হেনড্রিক্সের হাতে ক্যাচ দিয়ে শূন্য রানে মাঠ ছাড়ে রহমানুল্লাহ গুরবাজ। তারপর রাবাদার বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে মাত্র ২ রান করে আউট হয়ে যায় ইবরাহীম জাদরান। আজকে আফগানদের ভাগ্য এতই খারাপ ছিল যে আজমতুল্লাহ ওমরজাই এর ১০ রান ছাড়া আর কোনো ব্যাটারই দুই অংকের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি। গুলবাদিন নায়েব ৯ বলে ৮ রান করে, মোহাম্মাদ নবী শূন্য, নাঙ্গেলিয়া খারোতে ২ রান, কারীম জানাত ৮ ও ক্যাপটেন রসিদ খান আট বলে ৮ রান করে আউট হয়ে যায়। এভাবে কেউ দলের হাল ধরতে পারেনি। সবাই আসা যাওয়ার মধ্যেই ছিল। সর্বসাকুল্যে মাত্র এগারো ওভার পাঁচ বলে খেলেই সব কয়টি উইকেট হারায় আফগান বাহিনী। এক্সট্রা ১৩ রান যোগ করেও মাত্র ৫৬ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ আফগানিস্তান।

দ্বিতীয় পর্বে ৫৭ রানের সহজ লক্ষ পায় প্রোটিয়া বাহিনী। প্রোটিয়াদের পক্ষে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে হার্ডহিটার ব্যাটার কুইন্টন ডি কক। সে আজকে নিজেকে তেমন ভাবে তুলে ধরতে পারেনি। আট বলে ৫ রান করে ফজলহক ফারুকীর বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে মাঠ ছাড়ে। কিন্তুু তাতে দলের মধ্যে তেমন কোন প্রভাব পড়েনি। তারপর রেজা হেনড্রিক্স ও ক্যাপটেন এইডেন মার্করামের ৫১ রানের জুটি দিয়ে জয় তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। রেজা হেনড্রিক্স পচিঁশ বলে ২৯ রান করে আর এইডেন মার্করাম একুশ বলে ২৯ রান করে। আট ওভার পাঁচ বলে মাত্র এক উইকেট হারিয়ে হেঁসে খেলে ৬০ রান তুলে প্রোটিয়া বাহিনী। আর এই জয়ের মাধ্যমে প্রথমবারের মত বিশ্বকাপ ফাইনালে চলে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

দক্ষিণ আফ্রিকা ফাইনালে যাওয়া মূল কারিগর হলো বোলিং লাইনআপ। আজকে মার্কো জ্যানসেন, রাবাদা, শামসি ও নর্টজে খুব ভালো বোলিং করেছে। আফগানিস্তান গ্রুপ পর্বে এবং সুপার এইটে যেভাবে খেলা দেখিয়েছে, সেমিফাইনালে তার ছিটেফোটাও দেখাতে পারেনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং তুপে আফগানদের কেউ মাঠে দাড়াতে পারেনি। ত্রিনিদাদের উইকেট কেমন আচরণ করতে পারে সেটা কল্পনাও করতে পারে নি রসিদ খানের দল। মার্কো জ্যানসেন ও শামসি তিনটি করে এবং রাবাদা ও নর্টজে দুইটি করে উইকেট পায়। এখন দেখা যাক প্রোটিয়ারা ফাইনালে কেমন খেলা দেখায়।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।