মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র কমিউনিটি
Image Source-https://pixabay.com/illustrations/ai-generated-drugs-drug-addiction-9032009/
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি গল্প শেয়ার করবো। যদি গল্পটি পড়েন তাহলে অবশ্যই মজা পাবেন।
সাম্প্রতিক সময়ে বহুল আলোচিত একটি মাদকের নাম হলো ক্রিস্টাল মেথ বা আইস। অনেকে হয়তো এটিকে পারভিটিন নামেও চিনে থাকবেন। মানসিক চাপের মধ্যে থাকলে, শরীরের উত্তেজনা বাড়াতে,অধিক সময় জেগে থাকতে অথবা দীর্ঘ সময়ের জন্য যেকোনো কাজ করতে মানুষ এই মাদক গ্রহণ করে থাকে। নাক দিয়ে, মুখ দিয়ে, সিগারেটের মাধ্যমে অথবা সিরিজের মাধ্যমে এই মাদক গ্রহণ করা হয়। এই মাদক গ্রহণ করলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে একজন মানুষের মধ্যে তার প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। এই মাদক গ্রহণ করলে খুব তাড়াতাড়ি বার্ধক্য চলে আসে, দাঁত পড়ে যায়, চামড়া ঢিলে হয়ে যাই, কিডনি অকেজো হয়ে যায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারায়। বাংলাদেশেও এ মাদক প্রবেশ করেছে। বিভিন্ন কলেজ ও ইউনিভার্সিটির ছাত্রছাত্রীরা এই মাদকে আসক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ হলো বাংলাদেশ। ১ লাখ ৪৭ হাজার বর্গমাইলের এই বাংলাদেশের সীমানা রয়েছে দুইটি দেশের সাথে । একটি হলো ভারত দ্বিতীয়টি হলো মায়ানমার। মায়ানমারের প্রতিবেশী রাষ্ট্র হলো থাইল্যান্ড। থাইল্যান্ড মায়ানমার হয়ে প্রতিদিনই বাংলাদেশে প্রবেশ করছে ক্রিস্টাল মেথ বা আইস মাদক। বাংলাদেশের কিছু লোভী ব্যবসায়ী অর্থের লোভে এই মাদকের ব্যবসা করছে। মায়ানমারের জান্তা সরকার এবং বিদ্রোহীদের মাধ্যমে মায়ানমারের অবস্থা খুবই খারাপ। যদিও মায়ানমারের মধ্যে প্রায় সময় জরুরি অবস্থা জারি থাকে। তারপরেও মায়ানমারের অনেক মানুষ এই মাদকের সাথে জড়িত রয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার এই মাদক নিয়ে খুবই চিন্তিত। সরকার বাংলাদেশের যুব সমাজ কে এ মাদক থেকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। মায়ানমারের সীমান্ত দিয়ে এ মাদক যেন বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দপ্তর থেকে কক্সবাজার থানার প্রধান হিসেবে এস পি সেলিমকে পাঠানো হয়। এসপি সেলিম একজন সৎ সাহসী ও ন্যায়পরায়ণ পুলিশ অফিসার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আশা করে এসপি সেলিম এর মাধ্যমে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো থেকে কক্সবাজারের স্থল বা জল পথে বাংলাদেশের মাদক আসতে পারবে না। এসপি সেলিম ঢাকা থেকে ট্রেনে চড়েই কক্সবাজার যায়। এসপি সেলিমের বাড়ি মূলত যশোর জেলায়। বাবা মা আত্মীয়-স্বজন ফ্যামিলি সবাই যশোরে থাকে।
এসপি সেলিম কক্সবাজার থানাতে প্রবেশ করার সাথে সাথেই মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে সেই খবর পৌঁছে যায়। কারণ কক্সবাজার থানার মধ্যে দুইজন ঘুষখোর পুলিশ রয়েছে। যারা অর্থের বিনিময়ে থানার সমস্ত তথ্য ঐ মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে ট্রান্সফার করে থাকে। এবং তাদের সামনে দিয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা প্রতিবেশী রাষ্ট্রসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে মাদক নিয়ে আসে। অথচ এই পুলিশগুলো ঘুষ খেয়ে সবকিছু দেখেও না দেখার ভান করে চোখ বন্ধ করে রাখে।
এসপি সেলিম কক্সবাজার থানায় পোস্টিং হয়ে আসার পরেই আসামি সহ কয়েকটি মাদক চালান আটক করে। অথচ উপরমহল থেকে একটি ফোন কলের মাধ্যমে আসামিদেরকে ছাড়িয়ে নেওয়া হয়। এভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে এসপি সেলিমের নাকের ডগা দিয়ে আসামিদেরকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়াটা পছন্দ হলো না সেলিমের। এসপি সেলিম খুব সহজে বুঝতে পারে এই ছোটখাটো আসামিদের পিছনে অনেক বড় হাত রয়েছে। খোঁজখবর নিয়ে জানা যায় কক্সবাজার-৪ আসনের এমপি খাইরুল আলমের ছেলে বদিউল আলম থাইল্যান্ডে থাকে। থাইল্যান্ডে বসে বাবার ক্ষমতা বলে মাদক ব্যবসা করে বদিউল আলম। যে পুলিশ অফিসার বদিউল আলম এর ব্যবসায় বাধা হয়ে দাঁড়ায় বাবার ক্ষমতা বলে তাকে ট্রান্সফার করে নেওয়া হয়। আর যদি ট্রান্সফার করা সম্ভব না হয় তাহলে ভাড়াটিয়া গুন্ডা দ্বারা সেই পুলিশ অফিসার কে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। কক্সবাজার থানার আগের অফিসার সৈকত আকবরকে বদিউল আলম ভাড়াটিয়া গুন্ডা দ্বারা মেরে বঙ্গোপসাগরে ভাসিয়ে দিয়েছে। সৈকত আকবরের পরে এসপি সেলিমকে কক্সবাজার থানার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
হাজী খাইরুল আলম সম্মানিত ব্যক্তি হিসেবে জনগণের মাঝে সুপরিচিত। সে সবকিছু থেকে ধরাছোঁয়ার বাহিরে থাকে। সাধারণ মানুষ বুঝতেও পারে না খাইরুল আলমের ছেলে বদিউল আলম মাদকের রমরমা ব্যবসা করে। এসপি সেলিম কিভবে এই মাদক ব্যবসা বন্ধ করবে, সেটা জানতে হলে দ্বিতীয় পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন। খুব তাড়াতাড়ি দ্বিতীয় পর্ব আসবে ইনশাল্লাহ।।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Task Done
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এইতো পুরো সিনেমার মতো সূত্রপাত হলো ভাই। টানটান উত্তেজনায় এগিয়ে চলল আপনার গল্প। এসপি সেলিম কিভাবে এই সম্পূর্ণ মাদকচক্র কে ধরে ফেলবে তা জানবার জন্য অপেক্ষা করে রইলাম পরের পর্বের জন্য। গল্পটি দারুন সুন্দরভাবে এগুলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit