বাবুর জন্য ফল ও খেলনা কেনার অনুভূতি।।

হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আবার আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে বাবুর জন্য খেলনা এবং ফল কেনার অনুভূতি শেয়ার করবো।

আমাদের বাবুর বয়স বর্তমানে ১১ মাস চলিতেছে। সামনের মাসের ২৫ তারিখ আমাদের বাবুর এক বছর পূর্ণ হবে। বাবুর ছয় মাস পর থেকেই আমরা বাবুকে দুধের পাশাপাশি অন্যান্য খাবার খাওয়ানো শুরু করেছিলাম। বাবুর জন্য খিচুড়ি, নুডুলস, মাছ ও শাক দিয়ে ভাত সহ বিভিন্ন ধরনের নরম ফল খাওয়ানো শুরু করি। তবে আমাদের বাবু কমলাটা খেতে বেশি পছন্দ করে। আমি প্রায় সময় বাবুর জন্য অফিস থেকে আসার সময় কমলা কিনে নিয়ে আসি।

কিছুদিন আগে আমাদের বাসায় বা্বুর খালা বেড়াতে এসেছিল। তিনি বাবুর জন্য ছোট ছোট কমলা নিয়ে এসেছিলেন। এই কমলাগুলো খুবই মিষ্টি ছিল। যার ফলে বাবু কমলা গুলো খুবই মজা করে খেয়েছে। এর আগে আমি যতগুলো কমলা এনেছিলাম, বাবু তেমন মজা করে খাইনি। হয়তো তার কাছে তেমন ভালো লাগেনি। বাবুর খালার কমলাগুলো শেষ হওয়ার পরে আমি চিন্তা করলাম ছোট ছোট চায়না কমলা গুলো বাবুর জন্য কিনে আনবো।

আজকে অফিস থেকে বের হয়েই মার্কেটে গিয়ে চায়না কমলা খুঁজতে শুরু করলাম। বর্তমানে মনে হয় এই কমলাগুলোর সিজন চলতেছে। যার ফলে প্রত্যেক দোকানেই ছোট কমলাগুলো ঝুলিয়ে রাখতে দেখলাম। তবে আমি বিভিন্ন জায়গায় কমলাগুলোর বিভিন্ন দাম জানতে পেরেছিলাম। প্রতি প্যাকেট ২০০ টাকা থেকে ধরে ৩০০ টাকা পর্যন্ত আমার কাছে চেয়েছিল। অবশেষে আমি ভালো দেখে এক প্যাকেট কমলা নিয়ে নিলাম। কমলাগুলো আনার আগে আমি একটা কমলা খেয়ে দেখেছিলাম সেগুলো মিষ্টি কিনা। কারণ মিষ্টি না হলে বাবু আবার খেতে পারবে না। অনেক কমলা রয়েছে, যেগুলো উপরে দেখতে সুন্দর হলেও খাওয়ার সময় টক লাগে। সেজন্য টেস্ট করে আনলাম। খেয়ে দেখলাম মোটামুটি মিষ্টি। একেবারে যে মধুর মত মিষ্টি তেমন ছিল না। যাইহোক তারপরেও মোটামুটি ভালই ছিল।

কমলা নিয়ে আসার পরে একটি দোকানে রাবারের খেলনা দেখে বাবুর জন্য কিনার চিন্তা করলাম। এর আগে অনেকগুলো প্লাস্টিকের খেলনা কিনে এনেছিলাম। সেগুলো দুই-তিন দিনের মধ্যেই ভেঙ্গে গুড়া করে ফেলে। নতুন খেলনা আনার দুইদিন পরেই খেলনার পার্টস পাতি খুঁজে পাওয়া যায় না। আর এক সপ্তাহ পরে খেলনার অস্তিত্বই বিলীন হয়ে যায়,হে হে হে😄। মানে এক সপ্তাহ আগে যে একটি খেলনা এনেছিলাম, সেটার কোন চিহ্ন কোন রুমের মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায় না।

সেজন্য আমি চিন্তা করলাম রাবারের খেলনা কিনতে হবে। যেন ভাঙতে না পারে। রাবারের খেলনাগুলোর উপরে যতই অত্যাচার করুক। সেগুলো মচকাবে কিন্তু ভাঙবে না। অনেক দিক চিন্তা করে পাঁচটি রাবারের খেলনা কিনে আনলাম। এ গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এখানে খেলনা গুলোর মধ্যে দুইটি রূপচাঁদা মাছ, একটি জাহাজ, একটি কুমির, ও একটি তিমি মাছ ছিল। খেলনা গুলো পেয়ে বাবু অনেক খুশি হয়েছে। জানিনা এ খেলনা গুলো কতদিন থাকবে। এই খেলনাগুলো সে ভাঙতে পারবে না, তবে দুই তিন দিন পরে একটাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। মানে কোথায় কোনটা ফেলবে সে তো জানবেই না, আমরা নিজেরাও খুঁজে পাবো না। যাই হোক তারপরও খেলাধুলা করুক। খেলাধুলা করা অনেক ভালো।

তো বন্ধুরা দেখতে দেখতে আমার ব্লগটি লেখা শেষ হয়ে গেছে। এখনই আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিতে হবে। আগামীকাল আবার নতুন কোন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।