কম্পিউটারের কিবোর্ড কিনতে সমবায় নিউ মার্কেটে একদিন।

in hive-129948 •  2 years ago  (edited)

আসসালামুআলাইকু/ নমস্কার/ আদাব।

হ্যালো @amrbanglablog বাসি আমি @joniprins বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে,
নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের সাথে।

01.jpg

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই, আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আপনাদের সাথে আমি একটি নতুন কিবোর্ড কেনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো। চলুন শুরু করি।

গত কয়েকদিন আগে সন্ধার সময় বাসায় বসে কাজ করতেছিলাম। সম্ভবত একটি ডিজাইন করতেছিলাম। তো আমার কাজের মনোযোগটা আরেকটু চাঙ্গা করার জন্য বউয়ের কাছে এক কাপ চা চাইলাম। বউ আবার লং,এলাচি,আদাঁ,তেজঁপাতা দিয়ে খুব সুন্দর ভাবেই চা তৈরী করে দিলো। চায়ের ঘ্রানটা ধারুন ছিল। চায়ের কাপটা আমার কম্পিউটার টেবিলের পাশে রাখলো। আমার কম্পিউটার টেবিলটা আবার একটু ছোট। তারপরও আমি সর্তক অবস্থায় থেকে চা খাচ্ছিলাম। প্রথম বার চুমুক দিয়ে রেখে দিয়ে কিছুক্ষন কাজ করলাম। দ্বিতীয় বার চুমুক দেয়ার জন্য হাতে নিতেই চায়ের কাপটি হাত থেকে ফসকে কম্পিউটারের কির্বোডের উপর পড়ে গেল। সাথে সাথে আমি কিবোর্ডটি খুলে কাপড় দিয়ে টিসু পেপার দিয়ে মুছে কম্পিউটারের সাথে সংযোগ দিলাম। কিন্তুু লক্ষ করলাম কিবোর্ডটি উল্টা পালটা কাজ করতেছে। এক অক্ষরে চাপ দিচ্ছি অন্য অক্ষর আসছে। কিবোর্ডের এই অবস্থা দেখে আমার মাথটা নষ্ট হয়ে গেল।

আবার কিবোর্ডটি খুলে কিবোর্ডের প্রায় অর্ধেক বাটন খুলে ফেললাম। দেখলাম যে ভিতরে তখনও চা রয়েগেছে। আবার শুকনা কাপড় আর টিসু দিয়ে মুছে বেলকুনিতে রেখে দিলাম। সারারাত শুকিয়ে সকালে আবার কম্পিউটারের সাথে সংযোগ দিলাম। নাহ কাজ হচ্ছে না। তখনও আমি ব্যর্থ হলাম। এখন কিবোর্ড ছাড়া তো পোষ্টও করতে পারতেছি না। নতুন একটি কি বোর্ডের অভাব অনুভব করলাম।

খুজ খবর নিয়ে জানতে পারলাম আমার বাসার পাশেই একটি মার্কেট আছে সেখানে ভাল মানের কির্বোড পাওয়া যায়। তবে মার্কেটটি সন্ধা ছয়টা বাজার সাথে সাথে অফ করে দেয়। কিন্তুু আমার অফিসও ছুটি হয় সন্ধা ছয়টার সময়। তাই বাধ্য হয়ে দুপুর একটার সময় কিবোর্ড কিনতে গেলাম।

02.jpg

মার্কেটের নাম হলো সমবায় নিউ মার্কেট। মার্কেটটির লোকেশন হলো চাষাড়া চত্তর বা শহীদ মিনারের পূর্বে পাশে। মার্কেটের সামনে বিদ্যুৎ, ওয়াইফাই আর ডিশ লাইনের তার দেখে আমি বিস্মিত।

03.jpg

05.jpg

মার্কেটের এরিয়াটি অনেক বড় ছিল। মার্কেটের প্রথম এবং দ্বিতীয় তলায় কাপড়ের দোকান ছিল। আর তৃতীয় তলায় মোবাইল কম্পিউটারে এক্সেসরিজের দোকান। নতুন পুরাতন অনেক পার্টসপাতি পাওয়া যায়। আমি এই দোকনটিতে প্রথম গিয়েছিলাম। কিবোর্ডের দাম শুনে ডাকাত ডাকত মনে হয়েছে। A4TEC এর একটি কিবোর্ড ৭৫০ টাকা চাইলো। আমি বললাম ভাইয়া এত দাম দিয়ে নিবো না।

04.jpg

তারপর ঐ দোকান হতে বের হয়ে এই দোকানে গেলাম। এখানেও A4TECH এর অনেক কিবোর্ড দেখলাম। দাম সেই আগের মতই। দাম কমানোর কোন লক্ষন না দেখে নেটে সার্চ দিলাম। দেখলাম ৭৫০ টাকা ই আছে।

06.jpg

07.jpg

তারপর কয়েকটি দোকান ঘুরে পূর্বপরিচিত এই দোকানটিতে গেলাম। সেখানে কিছু কম রাখার জন্য বলা হলেও তারা জানায় সব কিছুর দাম বাড়ার সাথে সাথে এগুলোর দামও প্রচুর বেড়েছে। কয়দিন আগে ৫০০ টাকা করে বিক্রয় করেছি। এখন আমাদের কিনে আনতে হয় দাম দিয়ে আবার বিক্রয় ও করতে হয় দাম দিয়ে। জনগনের সাথে আমরাও নিরুপায়।

08.jpg

৭৫০ টাকা বিল দিয়ে কিবোর্ডটি নিয়ে চলে আসলাম। বাসায় এসে নতুনটি লাগানোর আগে পুরাতনটি একবার লাগিয়ে ট্রাই করলাম। এখন দেখি পুরতানটাই চলতেছে। এখন কেমন লাগে। নতুন কিবোর্ডটি রেখে দিলাম। এখনও প্যাকেট থেকে বের করি নাই।

বন্ধুরা আজকে এ পর্যন্তই। কেমন হলো আজকের পোষ্ট অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। সবাই ভাল থাকবেন। সুস্থ থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন বিষয় নিয়ে।

ফটোগ্রাফির বিবরণ:

2gsjgna1uruv8X2R8t7XDv5HGXyHWCCu4rKmbB5pmEzjYSj1ATxRsaEvyH89EyziiK3D1ksn1tTDvDwLCveqrhctVcDnDqtNbsqFMtuqD1RetzrgjG.png

ডিভাইসমোবাইল
মডেলরেডমি নোট-৮
স্থানচাষাড়া,নারায়নগঞ্জ
কমিউনিটিআমার বাংলা ব্লগ
ফটোগ্রাফার@joniprins

সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7xbS7ungTbMjNMsQ7fPnm8uUBT2bU8Azf8zCDQrq3tkzHjjCFyraxJQeY79tPTN45w8XxU9wtvaFmWRaLhgHSy5GYKQ6bg.png

IMG_20190907_175336_618.JPG

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।

FNeY1coMNUL9WkErUPeUKmtGszS37qoEdLJEhh8bj8LkMZg4ZnLbSCPtsqdFwbPFaU6vxamfJRhKsAXwWBZmAwtf2KFjktn9asDsnKpUF6cbBcNYFzwcTbFb5dfFf7N5Lt5j8KUqpB64Bhu5yFCR9Qn5uG4sQo8t4PYbc7VJq37PW7258mLRbFTrsBTtbAnos9AJnU46Lv3HqXsN7s.gif

45GhBmKYa8LQ7FKvbgfn8zqd6W2YEX34pMmaoxBszxVcFaFYLUUkHV6dSwLV7zz7zNE5rVJ5qtN3Zm6SdmcqGFekXXVnJVmd6y7N12FUdQdbdzipDFEFaWmdmFe1K9CCqMuRmX9o7cDLXe7oZxUwNZXbSxanRUefX7PYzUbi2zovtPsG5QcGuGgiyhkJur9LnLhaBtL31haW2181Ss.png

KNoz79cGRt58XHcjM3shjWsSEtKgRtxoVdChppmw4FvW2CQtZxVJGen4yBCeRMj2Y2h9ttHevCs9rtWncvn3FXAHo5MrkNBCbLay5LtH7wgCA27mBRvWM5GDKNQKzJk62Dz8KRvqdiFsZ66guzvyhyBYqJu6KB21dLiPDmtFGR2yvqBCtUPp3Rscm37PwtDEWYMtuKM5v3qhNod24L.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png

Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন

HNWT6DgoBc14riaEeLCzGYopkqYBKxpGKqfNWfgr368M9VRjuxKSTKuNvqEk1nfiYiKKnHbcTuABq9Fu2qE77V9BjGsoqkb23ngKUAk2mCBmjpG3wz3go7Vd2YW.png

2r8F9rTBenJQfQgENfxADE6EVYabczqmSF5KeWefV5WL9WP87ckB6VoL3UD42BtkosJzLXYjuCC4ws3sxuihZ3nhDfd815qMJiiETpWAiutfN7bjurhaBbivMFVTYEDiv.png

download-03.png

2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9xBEnshRDSVua5J9tfneqYmTykad6e45JWJ8nD2xQm2GCLhDHXW9g25SxugWCoAi3D22U3571jpHMFrwvchLVQhxhATMitu.gif

এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য

download-044.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP

RGgukq5E6HBM2jscGd4Sszpv94XxHH2uqxMY9z21vaqHt1rDaeRdtDvsXGmDbuRg1s1soomTEddbTFxfMMYzob4oRFK8fTZQyYP8LbQ4tbMTAd2enV3Wq9Ze3N8TTU2.png

Click Here For Join Heroism Discord Server

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

বর্তমানে কোন কিছু একটার দাম বাড়লে সেটাকে কেন্দ্র করে সব কিছুর দাম বাড়ে। আর আপনি যে কিবোর্ড টি দেখিয়েছেন এটি একটা সময় আমরা ২৮০ টাকা করে কিনেছিলাম। সেই জায়গাতে এখন আপনার কাছ থেকে ৭৫০ টাকা নিয়ে গেছে। কিছুই করার নাই ভাই আসলেই আমরা নিরুপায়। তবে বাড়িতে এসে দেখেন যে পুরনো কিবোর্ডটা চলতেছে এটা পড়ে হাসি পেল। আগে থেকে চললে তো আর ৭৫০ টাকা জরিমানা দিতে হতো না। যাইহোক কোন কথা বলে চেষ্টা করে দেখেন রিটার্ন করা যায় কিনা। আর না হলে কি আর করার কীবোর্ডটি রেখে দেন এক্সপায়ার হিসেবে । 🤣🤣

জী ভাইয়া দেশে কোন আইন দেখতেছি না। যে যেভাবে পারে জিনিষের দাম বাড়িয়ে দিতেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।

এ কারণেই দেশ ও জাতি দিন দিন রসাতলে যাবে।

ওরে বাপরে ৭৫০ টাকা একটা কিবোর্ড। আসলে ভাইয়া এ বিষয়ে যদি ও আমার কোন ধারণা নেই তবে আমার হাসবেন্ডের ধারণা ভালোই রয়েছে। তবে এটা ঠিক বলেছেন বর্তমানে সব কিছুরই দাম বাড়তি। মানুষ নিরুপায় হয়ে কিনতে হয় কিছুই করার নেই। অবশেষে মজা লাগলো বাড়িতে এসে যখন দেখলেন যে পুরনো কিবোর্ডটা চলতেছে। 😄😄😄

জী আপু বর্তমানে দেশের জনগন নিরুপায়। কিছু করার নাই। ধন্যবাদ আপু।

হা হা হা চায়ের কালার এর চুমু একেবারে এক নিমিষেই রোমান্টিক মুহূর্ত শেষ। প্রথমে বেশ হাসি পেয়েছে কারণ এত প্রশংসা করেছিলেন বউয়ের চায়ের সেই চা দেখি একেবারে নষ্ট করে দিলেন প্রশংসার ঠেলায়😛😍।
তবে শেষে দেখি যখন কিবোর্ডটা একেবারে নষ্ট তখন খুব আফসোস হলো কারণ অনেক মূল্যবান জিনিসটা নষ্ট হয়ে গেল। যাক অবশেষে কিবোর্ড নিয়ে নিলেন। কিন্তু কিবোর্ড এর কাছে চা কিংবা পানি রাখতে খুব সাবধানে রাখতে হয়। পানি এবং চা খুবই খারাপ জিনিস কিবোর্ড এর জন্য, ল্যাপটপ, কম্পিউটারের জন্য। পানির স্পর্শ পেলেই নষ্ট হয়ে যায় সেটা আমি আগেও অনেকের কাছ থেকে দেখেছি।

জী আপু কিবোর্ডটা হিংসা লাগছে তাই চায়ের কাপটা পড়ে গেছে,হি হি হি। ধন্যবাদ আপু।

আপনি যখন চা খাচ্ছিলেন কিবোর্ড মনে হয় বদদোয়া দিচ্ছিল যে একা একা খাচ্ছে। পরবর্তীতে আপনি কি বোর্ডকে চা খাইয়ে দিয়েছেন যার কারণে তার মাথা গোলমাল হয়ে গিয়েছে হা হা হা। সব জিনিসের দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে তাই বাধ্য হয়ে ৭৫০ টাকা দিয়েই কিবোর্ড কিনেছেন। সুন্দর ব্লগটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

জী ভাইয়া এক দিকে তো চা পরে কীবোর্ডটা নষ্ট হলো অন্য দিকে ৭৫০ টাকা জরিমানা লাগলো। কষ্টে আছি। ধন্যবাদ ভাইয়া।

ভাই আমিও কাল গেছিলাম এসএসডি কিনতে। কিছুদিন আগে ফ্রেন্ড কিনেছিল ১০০০ দিয়ে কাল গিয়ে শুনি দাম ১৫০০টাকা। সব খানেই একই অবস্থা। যাই হোক এরপর থেকে সাবধানে চা খাবনে।এক চায়ের মূল্য দিতে হল ৭৫০টাকা।হাহাহা। ধন্যবাদ ভাইয়া অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।

জী ভাইয়া পাচঁটার চায়ের মূল্য ৭৫০ টাকা,কিছু বলার নাই। ধন্যবাদ ভাইয়া।

আপনার এই কম্পিউটারের কিবোর্ড কেনার মধ্য দিয়ে আমি নতুন একটি মার্কেট সম্পর্কে অবগত হতে পারলাম। আরো অবগত হতে পারলাম এ দোকানদারদের বেচাকেনার একটি বিশেষ পর্যায়ের দৃশ্য দেখে। খুবই ভালো লাগলো। আপনার আজকের পোস্ট খুব সুন্দর ভাবে চমৎকার বর্ণনার সাথে উপস্থাপন করেছেন দেখে মন মুগ্ধ হয়ে গেল।

জী ভাইয়া কিবোর্ড কিনে নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।