শীতকালীন ভাপা পিঠা খাওয়ার অনুভূতি।।

হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে শীতকালীন ভাপা পিঠা খাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করবো।

বন্ধুরা আপনারা সবাই জানেন যে, শীতকাল আসলে আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের পিঠা দেখতে পাওয়া যায়। কিছুদিন আগে আমাদের দেশে কৃষক ভাইদের ঘরে ঘরে নতুন ধান এসেছে। আর নতুন ধান আসলেই সেই ধানকে চাউল করে, গুড়ো করে বিভিন্ন ধরনের পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে। আমাদের এখনো মনে আছে আমরা শীতকালে চুলার পারে বসে আগুনের ভাব নিতাম। হাত পাও গরম করার চেষ্টা করতাম। আর আমার আম্মু গরম গরম পিঠা বানিয়ে আমাদেরকে খেতে দিতেন। পিঠাগুলোর মধ্যে রয়েছে খোলা পিঠা, খোলা জালি পিঠা, ম্যারা পিঠা, ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, নকশী পিঠা সহ আরো অনেক ধরনের পিঠা। গ্রামের মহিলারা এখনো সেই ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছে। এখনো শীতকাল আসলে তারা বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি করে। ছোট সময়ে গ্রামের সেই স্মৃতিগুলো খুবই মনে পড়ে।

আজকে সন্ধ্যার পরে অফিস থেকে বের হওয়ার সময় আমার এক কলিগ আমাকে বলল সে ভাপা পিঠা খাবে। আমি বললাম ঠিক আছে চলো দেখা যাক কোথায় ভাপা পিঠা পাওয়া যায়। অফিস থেকে বের হয়ে আমার বাসার দিকে হাঁটতে রাখলাম। অফিস থেকে বের হয়ে তিন চার মিনিট হাটার পরেই মোস্তফা কামাল প্লাজার নিচে এক মামাকে দেখতে পেলাম ভাপা পিঠা বিক্রয় করছে। তখন আমার কলিগকে বললাম চলো তাহলে এখান থেকেই ভাপা পিঠা খাওয়া যাক। লোকটি এখানে অনেক বছর যাবত বিভিন্ন ধরনের পিঠা বানিয়ে বিক্রয় করে থাকে।

এই মামার বাড়ি বরিশাল জেলার দশমিনা থানায়।মামার কাছে গিয়ে বললাম দুইটা ভাপা পিঠা দেন। তিনি ছোট ছোট মেলামাইনের বাটিতে আমাদের দুজনকে দুইটি ভাপা পিঠা দিলেন। আমি পিঠাটি হাতে নিয়ে একটি ফটোগ্রাফি করলাম। মামা বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে এ পিঠাটি তৈরি করে থাকে। প্রথমে চাউলের গুড়ো দিয়ে মাঝখানে নারিকেলের কিছু টুকরো দেন। তারপর আবার চাউলের গুলো দেন। তারপর অল্প একটু গুড় দিয়ে একটি জালি দিয়ে ডেকে গরম পানির ভাপের মধ্যে বসিয়ে দেন। এভাবে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখার পরেই ভাপা পিঠা হয়ে যায়।

এই মামা প্রতিটি ভাপা পিটার দাম রাখছেন বিশ টাকা করে। যদিও আগে এই পিঠাগুলো ১০ টাকা করেছিল। আমি মামাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন নারিকেল, গুড়, গ্যাসের দাম বেড়ে গেছে। এজন্য তিনি ২০ টাকা করে রাখছেন। আমি তাকে বলেছি দশ টাকার জায়গায় ১৫ টাকা রাখতে পারেন। বিশ টাকা হলে বেশি হয়ে যায়। তারপর আমরা দুইজন কলিগ দুইটি পিঠা খেয়ে চলে আসলাম।

রাস্তা দিয়ে আসার সময় কত মানুষকে কত পেশায় দেখতে পেলাম। অর্থ ইনকামের জন্য মানুষ কত ধরনের পেশা অবলম্বন করছে। জীবিকা নির্বাহ করতে হলে কিছু না কিছু কাজ করতে হয়। শহরে আসলে দেখা যায় অর্থ ইনকামের জন্য কত ধরনের পদ্ধতি রয়েছে। অর্থ ইনকামের পদ্ধতি যেমন বেশি, তেমনি অর্থ খরচ করার পদ্ধতি ও বেশি। অর্থাৎ যেমন আই হয়, কেমন ব্যয় হয়।

যাই হোক শীতকালীন ভাপা পিঠা খেয়ে খুবই ভালো লেগেছে। মামা খুব সুন্দর ভাবেই পিঠাগুলো বানিয়ে পরিবেশন করে থাকেন। খেয়ে আমার কাছে ভালোই স্বাদ লেগেছে। তো বন্ধুরা আজকে এখান থেকেই বিদায় নিলাম। আগামীকাল আবার আপনাদের সাথে দেখা হবে। সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।