বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে কক্সবাজার ভ্রমন ষষ্ঠ পর্ব শেয়ার করবো। আজকের পর্বে থাকবে হিমছড়ি ভ্রমনের দ্বিতীয় অধ্যায়।
বন্ধুরা গত পর্বে আমি আপনাদের সাথে হিমছড়ি ভ্রমণের প্রথম অংশটা শেয়ার করেছিলাম। কক্সবাজার ডলফিন মোড় থেকে অটো দিয়ে হিমছড়ি যেতে ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় লাগে। আর যদি চাঁদের গাড়ি দিয়ে যাওয়া হয়, তাহলে পাঁচ থেকে সাত মিনিট সময় লাগে। মেরিন ড্রাইভ রাস্তাটি খুবই সুন্দর, যত সামনের দিকে যাওয়া যায়, তথা টেকনাফির দিকে যাওয়া যায়, ততই সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। আমরা হোটেলের সামনে থেকে ডলফিন মোর হয়ে অটো দিয়েই হিমছড়ি গিয়েছিলাম। সেখানে জনপ্রতি ৩৫ টাকার টিকেট সংগ্রহ করলাম। তারপর ধীরে ধীরে বিশাল বড় পাহাড়ে উঠতে লাগলাম। আমি পাহাড়ে ওঠার সময় বেশ কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছি। সেগুলোর নিচে শেয়ার করছি।
হিমছড়িতে গিয়ে বিশাল বড় একটি পাহাড় দেখলাম। সিমেন্ট কংক্রিট দিয়ে পাহাড়ে উঠার সিড়ি বানানো হয়েছে। পাহাড় টি অনেক উঁচু, বয়স্ক মানুষ এই পাহাড়ে উঠতে পারবে না। যুবক বাচ্চারা উঠতেই হাঁপিয়ে উঠে। আমরা বেশ কয়েকজন ছিলাম। আমরা ধীরে ধীরে পাহাড়ের উপরে চলে গেলাম। তবে পাহাড়ের বিভিন্ন স্তরে স্তরে রেস্ট নেওয়ার ব্যবস্থা আছে। সরকারি জায়গা তো বসার জায়গা গুলো কোনরকম তৈরী করে রেখেছে। ইজারাদার গণ শুধু টাকা নেয়, কোন সংস্কার করে না। আপনারা ফটোগ্রাফিতে দেখতে পাচ্ছেন মানুষ খুব কষ্ট করেই উপরের দিকে উঠতেছে।
বন্ধুরা উপরের দুটি ফটোগ্রাফিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন হিমছড়ি পাহাড়ের বিভিন্ন স্তরে বসে গল্প করার ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে বসে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন ধরনের ভিউ অবলোকন করা যায়। এখানে বসে রেস্ট নেওয়া যায়। চারপাশে পাহাড় গাছপালা সবুজ প্রকৃতি। বর্ষার সময় জায়গাটা অনেক বেশি সুন্দর লাগে। তখন চারপাশে পুরোপুরি ভাবে সবুজ গাছ থাকে। এছাড়াও আরো কয়েকটি এরকম স্থান রয়েছে।
ধীরে ধীরে অনেকটা পথ সিড়ি বেয়ে উপরে উঠার পর আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত স্থানে পৌছালাম। যে স্থান থেকে বঙ্গোপসাগরের সুন্দর একটি ভিউ অবলোকন করা যায়। যে দৃশ্যটা দেখার জন্য মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে সেখানে ছুটে যায়। যেখান থেকে সমুদ্র দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। যেখানে দাঁড়িয়ে সমুদ্র দেখলে অন্যরকম একটি অনুভূতি কাজ করে। আমি পাহাড়ের উপরে দাঁড়িয়ে সমুদ্রের দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে ছিলাম। কত সুন্দর সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি। কোথায় থেকে এত পানি আসলো, কোথায় থেকে এত বড় বড় ঢেউ আসে। সবকিছু সৃষ্টিকর্তার কুদরত। এগুলো চিন্তা করলে, মনে মনে কেমন যেন ফিল হয়। এই সবকিছু থাকবে, ঢেউ থাকবে, সমুদ্র থাকবে, পানি থাকবে, পাহাড় থাকবে রাস্তা থাকবে, শুধু আমরা এই পৃথিবীতে থাকবো না। একটি ফটোগ্রাফি স্মৃতির পাতায় রেখে দিলাম। হয়তো কোন এক সময় দেখলে সেদিনের কথা মনে পড়বে।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রিয়েলমি সি-৫৩ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
তারিখ | ১৭-০১-২০২৫ |
সময় | দুপুর ১২.৩০ মিনিট |
স্থান | হিমছড়ি,কক্সবাজার |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
@joniprins, [12/30/2024 3:52 PM]
Click Here For Join Heroism Discord Server
ধন্যবাদ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
বাহ আপনারা তো দেখছি হিমছড়ির পাহাড়ে গেলেন। এত উঁচু পাহাড়ে উঠলে খুব সুন্দর করে সমুদ্রের দৃশ্যগুলো দেখা যায়। বিশেষ করে অনেক দূর থেকে ঢেউয়ের গর্জনের আওয়াজ আসে। এখনে আমিও কয়েকবার উঠেছিলাম। আর আপনারা সবাই গেলেন অনেক আনন্দ করলেন। বেশ সুন্দর কিছু মুহূর্ত আপনি আমাদের সাথে বর্ণনা সহকারে শেয়ার করলেন। বিস্তারিত পড়ে অনেক ভালো লেগেছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী পাহাড়ে উঠতে সবাই হাঁপিয়ে পড়েছিল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হিমছড়ি আমি গিয়েছিলাম।আজ আপনার পোস্ট পড়ে সেই স্মৃতি মনে পরে গেলো।সেখানে গিয়ে সিঁড়ি ভেঙ্গে ভেঙ্গে পাহাড়ের উপর উঠে সম্পুর্ন সমুদ্রের সৌন্দর্য আমি ও দেখেছিলাম।সেই ক্ষনটি ভীষণ আনন্দের।পাহাড় আমার ভীষণ পছন্দ ও।আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী অনেক গুলো সিঁড়ি বেয়ে তারপর উপরে যেতে হয়। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Done

Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit