লোকজ উৎসব ২০২৩ এর দ্বিতীয় পর্ব।।

হ্যালো প্রিয় বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই, আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আপনাদের সাথে আমি ভিন্ন ধরনের একটি পোষ্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। এই পোষ্টের মাধ্যমে বাংলার হারিয়ে যাওয়া অনেক ঐতিহ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। চলুন শুরু করি।

আজকে আপনাদের সামনে যে ফটোগ্রাফি গুলো তুলে ধরবো সে গুলোর মধ্যে রয়েছে বাশেঁর তৈরী মগ, বাশেঁর তৈরী দেয়াল ঘড়ি সহ বাশেঁর অন্যান্য জিনিষ পত্র। আরো আছে তাতেঁর শাড়ি, জামদানি শাড়ি তৈরী করার বাশেঁর মেশিন, আছে ঝিনুকের অনেক জিনিষ পত্র ও কামার ও কুমারের তৈরী জিনিষ পত্র।

এখানে এমন কিছু পিতলের কাসাঁর জিনিষ রয়েছে যে গুলো এখন খুজে পাওয়া বড় দায়। আপনার কাছে টাকা থাকলেও সব সময় এই জিনিষ পত্র গুলো পাবেন না। এই জিনিষ গুলো এখন আর তেমন কেউ ব্যবহার করে না। সবাই শো হিসাবে আলমারিতে সাজিয়ে রাখে। চলুন এখন একে একে জিনিষ গুলো দেখো যাক।

Location
Device-Redmi Not-7 Time-7.30pm

প্রথমেই দেখতে পাচ্ছেন বাশেঁর তৈরী বিভিন্ন জিনিষ পত্র। যে গুলো দেখলে মন জুড়িয়ে যায়। বাশেঁর তৈরী রুপচাঁদা মাছের দেয়াল ঘড়ি, বাশেঁর তৈরী ছিকা, নাস্তা রাখার পাত্র, বাশেঁর তৈরী মগ, ঘুড়ির নাটাই সহ আরো অনেক জিনিষ। এগুলো সচারাচর সব জাগায় দেখা যায় না।

Location
Device-Redmi Not-7 Time-7.30pm

এখানে দেখা যাচ্ছে তামা-কাঁসার তৈজসপত্র। এগুলোও সব জাগায় পাওয়া যায় না। সবাই ব্যবহারও করে না। মাঝে মাঝে বিভিন্ন মার্কেটে দেখা যায়। এই জিনিষ গুলো অরিজিনাল তামা-কাঁসার জিনিষ। তাই এগুলোর দামও অনেক। ছোট ছোট জিনিস গুলোর দামা একহাজার বারশো টাকা। আমার কাছে একটা কিনার টাকাও নাই,হি হি হি।

Location
Device-Redmi Not-7 Time-7.30pm

এখানে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের প্রাচীন ঐতিহ্য তাঁতের শাড়ি বানানোর মেশিন। আপনি বললে তারা সাথে সাথেই এখানে বানিয়ে দিবে। এই তাঁতের শিল্পটা টাঙ্গাইলে বেশি দেখা যায়। এই শাড়ি পড়তে যেমন আরাম দেখেতেও সুন্দর। এগুলো এখন বিলুপ্তির ধারপ্রান্তে দাড়িয়ে আছে।

Location
Device-Redmi Not-7 Time-7.30pm

এই ফটোগ্রাফির মাধ্যমে অনেক ধরনের ঝিনুকের জিনিষ দেখা যাচ্ছে। ঝিনুকের ঝর্ণা শোপিস,ঝিনুকের পাখি,ঝিনুকের চেইন, ঝিনুকের গিফট সামগ্রী সহ নানা জিনিষ পত্র। এগুলো কক্সবাজার গেলে বেশি দেখা যায়। সেখানে দামেও অনেক কম পাওয়া যায়।

Location
Device-Redmi Not-7 Time-7.30pm

এখানে বাংলার ঐতিহ্য বাংলার গৃহ বধূরা কি কি কাজ করে সে গুলো পুতুলের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। আগে বাংলার বধূরা বিভিন্ন রঙের শাড়ি পড়ে হাতের কাজ করতো। ঢেকিতে পিসে ধান,গম,চাউল গুড়া করতো।

Location
Device-Redmi Not-7 Time-7.30pm

এখানে মৃৎশিল্পীদের হাতের কারিশমা ফুটিয়ে তুলা হয়েছে। মৃৎশিল্প বাংলা ঐতিহ্য। আগে মানুষ মাটির পাত্রে রান্না করতো মাটির পাত্রে খাবার খেত। এখানে মাটির তৈরী বিভিন্ন খেলার জিনিষ বিক্রয় করা হয়। বিভিন্ন দেওয়ালিকাও আছে।

Location
Device-Redmi Not-7 Time-7.30pm

এখানে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য কর্মকারের জিনিষ পত্র বিক্রয় করা হয়। দা,ছুরি,বটি সহ আরো অনেক কিছু। আপনি যা যা বলবেন তারা সে গুলো আপনার চোখের সামনে বানিয়ে দিবে। এগুলো সাধারনত সব জাগায় দেখা যায়।

বন্ধুরা আজকে এ পর্যন্তই। কেমন হলো আজকের পোষ্ট অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফির নিচে বর্ণনা দিয়ে দিলাম।যেন আপনাদের বুঝতে সহজ হয়। প্রতি পর্বে বারোটা চৌদ্দটা করে ফটো শেয়ার করবো। সবাই ভাল থাকবেন। সুস্থ থাকবেন। আবার দেখা নতুন কোন বিষয়ের আপডেট নিয়ে।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।